খিলগাঁওয়ে প্রকাশ্যে গুলি অস্ত্রের মহড়া দিতো সন্ত্রাসীরা

খিলগাঁও থানা এলাকার যুবলীগ নেতা শুভ’র সঙ্গে তৌহিদ হাসান ও নাহিদের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। আধিপত্য বিস্তার ও ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়েই ছিল তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেন শুভর পক্ষের কাউকে সরিয়ে দিতে হবে। তাহলেই শুভর গ্রুপ কিছুটা নড়বড়ে হবে। গত মাসের ২৭ তারিখ তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডাও হয়। পরে তৌহিদ ও নাহিদসহ তাদের গ্রুপের অন্যরা মিলে পরিকল্পনা করে শুভর ভাগ্নে শাকিলকে গুলি করে হত্যা করবে। পরিকল্পনামাফিক তারা ৩০শে জানুয়ারি খিলগাঁও মেরাদিয়া এলাকায় গিয়ে প্রকাশ্য পিস্তল দিয়ে শাকিলকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। দুটি গুলি শাকিলের হাঁটুর নিচে লাগে।

মারাত্মকভাবে আহত হয় শাকিল। মৃত্যু নিশ্চিত না হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার ১৭ দিন পর  মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে সেই পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি।

গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসীরা হলো- মো. কামরুল হোসেন ওরফে রুবেল (৪০), মো. জামাল উদ্দিন (৩৮), মো. তৌহিদ হাসান (৩৭) ও  নাহিদ হোসেন (৩৮)। গত বৃহস্পতিবার তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের একটি দল। উদ্ধার করা হয়েছে শ্যুট করা সেই পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি।

ডিবি’র তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য শুভর ভাগ্নে শাকিলকে মেরে ফেলার জন্য তারা গুলি করে। তারা সবাই এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিল। স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তারা বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করতো। করতো নানা অপরাধ। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পেতো না। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে তাদের নামে।
ডিবি জানায়, ৩০শে জানুয়ারি ওই ঘটনার পরদিন শাকিলের বাবা খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশে তারা বরিশাল, রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছে গোয়েন্দাদের জালে। গ্রেপ্তারের পর নাহিদ ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার জবানবন্দিতে উঠে এসেছে অস্ত্রের যোগান ও মদতদাতার নাম।

শাকিলের বাবা দাদন ব্যাপারী খিলগাঁও থানার মামলার অভিযোগে বলেন,  ৩০শে জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার সময় মেরাদিয়া ভূঁইয়াপাড়া মারিয়া জেনারেল স্টোরের সামনে শাকিল তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার সময় সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এরমধ্যে দুটি গুলি শাকিলের ডান ও বাম হাঁটুর নিচে লাগে। এতে শাকিল রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় ওই সন্ত্রাসীরা শাকিল ও তার সঙ্গে থাকা অন্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে শাকিলের ছোট ভাই সাব্বির  ঘটনাস্থলে এসে শাকিলকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে বলেন- একটি গুলি বের করা হয়েছে। আর আরেকটি গুলি একপাশ দিয়ে প্রবেশ করে আরেক পাশ দিয়ে চলে গেছে।

ভুক্তভোগী শাকিল বলেন, তারা হঠাৎ করে এসেই এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে আমাকে। আমার পায়ে দুটি গুলি লেগেছিল কিন্তু আমি তাৎক্ষণিক টের পাইনি। পরে আমি রাস্তার মধ্যে পড়ে যাই। সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল। এ জন্য আমার পরিবার এখন আতঙ্কের মধ্যে আছে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলাম  বলেন, এই চক্রের মূল হোতা রুবেল। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রায়ই তারা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতো। ওইদিনও রুবেলের নেতৃত্বে তৈহিদ বাবু, নাহিদ ও জামাল শাকিলকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ শাকিলের মামা শুভ’র সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ও ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতেই এ ঘটনা ঘটায় তারা। আমরা ওই এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে এমন আরও অনেকের নাম পেয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি তাদেরকে গ্রেপ্তার করবো। আপাতত গোয়েন্দা নজরদারিতে রেখেছি।  সূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নতুন মায়েরা সকালে এই ৫ সুপারফুড খান

» হার্ট অ্যাটাক পরবর্তী ১ থেকে ২ ঘণ্টা কেন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

» বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার ক্যাভিয়ার আসলে কী?

» এশিয়া কাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশ, ফাইনালে ভারত

» মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত

» সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা ও আয়ের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

» সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল

» অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা

» যুবলীগ কর্মী জুয়েলকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা

» কেন বিষাক্ত মানুষদের ছেঁটে ফেলতে বললেন পরিণীতি?

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

খিলগাঁওয়ে প্রকাশ্যে গুলি অস্ত্রের মহড়া দিতো সন্ত্রাসীরা

খিলগাঁও থানা এলাকার যুবলীগ নেতা শুভ’র সঙ্গে তৌহিদ হাসান ও নাহিদের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। আধিপত্য বিস্তার ও ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়েই ছিল তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেন শুভর পক্ষের কাউকে সরিয়ে দিতে হবে। তাহলেই শুভর গ্রুপ কিছুটা নড়বড়ে হবে। গত মাসের ২৭ তারিখ তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডাও হয়। পরে তৌহিদ ও নাহিদসহ তাদের গ্রুপের অন্যরা মিলে পরিকল্পনা করে শুভর ভাগ্নে শাকিলকে গুলি করে হত্যা করবে। পরিকল্পনামাফিক তারা ৩০শে জানুয়ারি খিলগাঁও মেরাদিয়া এলাকায় গিয়ে প্রকাশ্য পিস্তল দিয়ে শাকিলকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। দুটি গুলি শাকিলের হাঁটুর নিচে লাগে।

মারাত্মকভাবে আহত হয় শাকিল। মৃত্যু নিশ্চিত না হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার ১৭ দিন পর  মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে সেই পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি।

গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসীরা হলো- মো. কামরুল হোসেন ওরফে রুবেল (৪০), মো. জামাল উদ্দিন (৩৮), মো. তৌহিদ হাসান (৩৭) ও  নাহিদ হোসেন (৩৮)। গত বৃহস্পতিবার তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের একটি দল। উদ্ধার করা হয়েছে শ্যুট করা সেই পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি।

ডিবি’র তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য শুভর ভাগ্নে শাকিলকে মেরে ফেলার জন্য তারা গুলি করে। তারা সবাই এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিল। স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তারা বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করতো। করতো নানা অপরাধ। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পেতো না। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে তাদের নামে।
ডিবি জানায়, ৩০শে জানুয়ারি ওই ঘটনার পরদিন শাকিলের বাবা খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশে তারা বরিশাল, রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছে গোয়েন্দাদের জালে। গ্রেপ্তারের পর নাহিদ ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার জবানবন্দিতে উঠে এসেছে অস্ত্রের যোগান ও মদতদাতার নাম।

শাকিলের বাবা দাদন ব্যাপারী খিলগাঁও থানার মামলার অভিযোগে বলেন,  ৩০শে জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার সময় মেরাদিয়া ভূঁইয়াপাড়া মারিয়া জেনারেল স্টোরের সামনে শাকিল তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার সময় সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এরমধ্যে দুটি গুলি শাকিলের ডান ও বাম হাঁটুর নিচে লাগে। এতে শাকিল রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় ওই সন্ত্রাসীরা শাকিল ও তার সঙ্গে থাকা অন্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে শাকিলের ছোট ভাই সাব্বির  ঘটনাস্থলে এসে শাকিলকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে বলেন- একটি গুলি বের করা হয়েছে। আর আরেকটি গুলি একপাশ দিয়ে প্রবেশ করে আরেক পাশ দিয়ে চলে গেছে।

ভুক্তভোগী শাকিল বলেন, তারা হঠাৎ করে এসেই এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে আমাকে। আমার পায়ে দুটি গুলি লেগেছিল কিন্তু আমি তাৎক্ষণিক টের পাইনি। পরে আমি রাস্তার মধ্যে পড়ে যাই। সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল। এ জন্য আমার পরিবার এখন আতঙ্কের মধ্যে আছে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলাম  বলেন, এই চক্রের মূল হোতা রুবেল। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রায়ই তারা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতো। ওইদিনও রুবেলের নেতৃত্বে তৈহিদ বাবু, নাহিদ ও জামাল শাকিলকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ শাকিলের মামা শুভ’র সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ও ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতেই এ ঘটনা ঘটায় তারা। আমরা ওই এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে এমন আরও অনেকের নাম পেয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি তাদেরকে গ্রেপ্তার করবো। আপাতত গোয়েন্দা নজরদারিতে রেখেছি।  সূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com