ছবি সংগৃহীত
ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালোবাসা ও দয়ার। স্বাভাবিক নিয়মে স্বামী অসুস্থ হলে স্ত্রীরা মনপ্রাণ দিয়ে স্বামীর সেবা করে থাকেন। এর বিপরীতে স্বামীদের পক্ষ থেকে স্ত্রীদের তেমনটা সেবা করতে দেখা যায় না। অথচ ইসলামের শিক্ষা হলো- স্ত্রী অসুস্থ হলেও তার সেবা করা স্বামীর কর্তব্য।
এর ফজিলত অনেক বেশি। ইবন ওমর (রা.) বলেন, ওসমান (রা.) বদর যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন। কারণ, তাঁর স্ত্রী আল্লাহর রাসুল (স.)-এর কন্যা অসুস্থ ছিলেন। তখন নবী কারিম (স.) তাঁকে বলেন, বদর যুদ্ধে যোগদানকারীর সমপরিমাণ সওয়াব ও (গনিমতের) অংশ তুমি পাবে। (সহিহ বুখারি: ৩১৩০)
সুবহানাল্লাহ! বদর যুদ্ধে যোগদানের মতোই সওয়াব লাভ হবে অসুস্থ স্ত্রীকে সেবা করলে। ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি হলো- স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য পোশাকের মতো। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তারা তোমাদের পোশাকস্বরুপ এবং তোমরাও তাদের পোশাকস্বরুপ।’ (সুরা বাকারা: ১৮৭)
আয়াতে ‘পোশাক’ শব্দ ব্যবহার করে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হবে নিবিড় ও দৃঢ়, যা ঠুনকো কারণে ছিন্ন হবে না। পোশাকের মতোই তারা পরস্পরের সম্মান রক্ষাকারী, আশ্রয়স্থল এবং পরস্পরের হৃদয়ের প্রশান্তি লাভের মাধ্যম হবেন।
ভালো মানুষের পরিচয় দিতে গিয়ে এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানুষ তারাই, যারা তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে।’ (সুনানে তিরমিজি: ১১৬২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক বিষয়ে ইসলামি নির্দেশনা মেনে চলার তাওফিক দান করুন। মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শান্তি, বিশ্বাস, ভালোবাসা ও দয়ামায়া সৃষ্টি করে দিন। আমিন।