আত্মহত্যাকারীর জানাজা পড়া যাবে কি?

ছবি সংগৃহীত

 

গুনাহগার মুসলমানের জানাজা নিয়ে শরিয়তের বিধান হলো—একজন মানুষ যখন মুসলিম প্রমাণিত হবে, তার ইন্তেকালের পর মুসলিমদের ওপর তার জানাজা ও কাফন-দাফন ফরজে কেফায়া, চাই সে যত বড়ই পাপকারী হোক না কেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘তোমরা নেককার ও বদকার সব মুসলিমেরই জানাজা পড়ো।’ (সুনানে দারাকুতনি: ১৭৬৮; বায়হাকি: ৬৮৩২)

 

অন্য বর্ণনায় ওই হাদিসে এ শব্দও রয়েছে যে ‘যদিও সে কবিরা তথা বড় গুনাহে লিপ্ত হয়’। (মুসনাদে শামিয়্যিন-তাবারানি: ৩৪৬১)

 

কিছু মানুষ মনে করেন, আত্মহত্যাকারীর জানাজা পড়া যাবে না বা তার জন্য মাগফেরাতের দোয়া করা যাবে না—এ ধারণা সঠিক নয়। বরং তার জানাজা পড়া হবে, তার জন্য মাগফেরাতের দোয়াও করা যাবে।

 

তবে এমন ব্যক্তির জানাজায় শীর্ষস্থানীয় দ্বীনি ব্যক্তিত্ব না গিয়ে সাধারণ লোক দিয়ে জানাজার নামাজ পড়িয়ে নেওয়াই উত্তম। (শরহু মুসলিম, নববি: ৭/৪৭ (৯৭৮ নং হাদিসের অধীনে); সুনানে কুবরা, বায়হাকি: ৪/১৯)

 

শীর্ষস্থানীয় দ্বীনি ব্যক্তিত্ব জানাজায় না যাওয়া প্রসঙ্গে দলিল হলো- হাদিস শরিফে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (স.) তার জানাজায় শরিক হননি, বরং সাধারণ লোকেরা তার জানাজা দিয়ে কবর দিয়ে দেয়। (মুসলিম: ৯৭৮) হাদিসের ব্যাখ্যাকাররা বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) জানাজায় শরিক না হওয়ার কারণ হলো- আত্মহত্যার গুনাহের প্রতি মুসলিমদের সতর্ক করা। (শরহে মুসলিম-নববি: ৭/৪৭)    সূএ:ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নারী বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ

» বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে বিএনপির শুভেচ্ছা

» আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

» জুলাই আন্দোলন দমাতে ব্যবহৃত হয় শুটিং ফেডারেশনের অস্ত্র: ক্রীড়া উপদেষ্টা

» ৭১ এর রাজনীতি ভুল ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে : উপদেষ্টা শারমীন

» একজন মুসল্লির মতো এলেন জীর্ণশীর্ণ দেখতে, এমন শাসক আর শাসনই আমাদের স্বপ্নময় ছিল! : প্রেস সচিব

» হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ’-এর নিবন্ধন শুরু

» লোকসাহিত্য গবেষক ও কবি অ আ আবীর আকাশ এর জন্মদিনে বিভিন্ন মহলের উষ্ণ অভ্যর্থনা

» প্রাইম ব্যাংকের অগ্রযাত্রার ৩০ বছর: টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসাথে পথ চলার অঙ্গীকার

» বাগেরহাটের বলভদ্রপুর বাস-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আত্মহত্যাকারীর জানাজা পড়া যাবে কি?

ছবি সংগৃহীত

 

গুনাহগার মুসলমানের জানাজা নিয়ে শরিয়তের বিধান হলো—একজন মানুষ যখন মুসলিম প্রমাণিত হবে, তার ইন্তেকালের পর মুসলিমদের ওপর তার জানাজা ও কাফন-দাফন ফরজে কেফায়া, চাই সে যত বড়ই পাপকারী হোক না কেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘তোমরা নেককার ও বদকার সব মুসলিমেরই জানাজা পড়ো।’ (সুনানে দারাকুতনি: ১৭৬৮; বায়হাকি: ৬৮৩২)

 

অন্য বর্ণনায় ওই হাদিসে এ শব্দও রয়েছে যে ‘যদিও সে কবিরা তথা বড় গুনাহে লিপ্ত হয়’। (মুসনাদে শামিয়্যিন-তাবারানি: ৩৪৬১)

 

কিছু মানুষ মনে করেন, আত্মহত্যাকারীর জানাজা পড়া যাবে না বা তার জন্য মাগফেরাতের দোয়া করা যাবে না—এ ধারণা সঠিক নয়। বরং তার জানাজা পড়া হবে, তার জন্য মাগফেরাতের দোয়াও করা যাবে।

 

তবে এমন ব্যক্তির জানাজায় শীর্ষস্থানীয় দ্বীনি ব্যক্তিত্ব না গিয়ে সাধারণ লোক দিয়ে জানাজার নামাজ পড়িয়ে নেওয়াই উত্তম। (শরহু মুসলিম, নববি: ৭/৪৭ (৯৭৮ নং হাদিসের অধীনে); সুনানে কুবরা, বায়হাকি: ৪/১৯)

 

শীর্ষস্থানীয় দ্বীনি ব্যক্তিত্ব জানাজায় না যাওয়া প্রসঙ্গে দলিল হলো- হাদিস শরিফে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (স.) তার জানাজায় শরিক হননি, বরং সাধারণ লোকেরা তার জানাজা দিয়ে কবর দিয়ে দেয়। (মুসলিম: ৯৭৮) হাদিসের ব্যাখ্যাকাররা বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) জানাজায় শরিক না হওয়ার কারণ হলো- আত্মহত্যার গুনাহের প্রতি মুসলিমদের সতর্ক করা। (শরহে মুসলিম-নববি: ৭/৪৭)    সূএ:ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com