সংগৃহীত ছবি
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডায়াবেটিসকে মাদার অব ডিজিজ বলা হয়। কারণ এই একটি রোগই আরও অনেক রোগের কারণ হয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীকে সবসময় থাকতে হয় সাবধানে। তাদের সময়মতো বুঝেশুনে খাবার খেতে হয়, সময়মতো ইনসুলিন নিতে হয় কিংবা ওষুধ খেতে হয়। তাই কোথাও ভ্রমণে গেলেও ডায়াবেটিসে ভোগা ব্যক্তিদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
আপনি কি একজন ডায়াবেটিক পেশেন্ট এবং সামনে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? তাহলে জেনে নিন আপনার কোন কাজগুলো করতে হবে-

ভ্রমণের আগে
১. ডাক্তারের পরামর্শ:
দেশের বাইরে ঘুরতে গেলে ভ্রমণের আগে সম্পূর্ণ মেডিকেল চেকআপ করিয়ে নিন এবং চিকিৎসকের কাছ থেকে একটি পেসক্রিপশন নিয়ে নিন যেখানে ডায়াবেটিসের বর্তমান অবস্থা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের কথা উল্লেখ থাকবে।
২. ওষুধ ও সরঞ্জাম:
ডায়াবেটিসের সব ওষুধ, যেমন ইনসুলিন বা মুখের খাওয়ার ওষুধ এবং সরঞ্জাম (যেমন: গ্লুকোমিটার, সিরিঞ্জ) সঙ্গে রাখুন। ওষুধের একটি অংশ (অর্ধেক) হাতব্যাগে এবং বাকি অংশটি চেক-ইন লাগেজ বা অন্য কোনো নিরাপদ ব্যাগে রাখুন।

৩. টিকাকরণ:
ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় সব টিকা নিয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত করুন। ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হয়। যে এলাকায় বা দেশে যাচ্ছেন সেখানে কোনো সংক্রমণ আছে কি না খোঁজ নিন। সেই অনুযায়ী টিকা গ্রহণ করুন।
বিমানবন্দরে করণীয়
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের জানাতে হবে যে আপনার ডায়াবেটিস আছে এবং আপনি ইনসুলিন পাম্প বা অন্যান্য সরঞ্জাম বহন করছেন। আপনার সব চিকিৎসা সামগ্রী অন্যান্য জিনিসপত্র থেকে আলাদা রাখুন এবং প্রয়োজনে এক্স-রে বা হ্যান্ড-স্ক্রিনিং-এর জন্য প্রস্তুত থাকুন।

ভ্রমণের সময়
১. রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা:
বাড়িতে থাকার মতোই, ভ্রমণের সময়ও নিয়মিতভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন। নিয়মিত পরীক্ষা না করালে হঠাৎ করে ব্লাড সুগার অনেক বেড়ে যেতে পারে কিংবা অনেক কমে যেতে পারে।
২. খাবার ও স্ন্যাকস:
ভ্রমণের সময় বিশেষ করে বিমানে, আপনার সাথে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস রাখুন। খাবার এবং ওষুধের সময়সূচী যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন। চিপস, ভাজাপোড়া জাতীয় অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সময় অঞ্চলের পরিবর্তন হলে আপনার ওষুধ গ্রহণের সময়সূচী কীভাবে সামলাবেন, তা আগে থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।
ভ্রমণের পর
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কার্যকলাপ এবং ওষুধের ব্যবহার নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করুন। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে সহজে।







