ছবি সংগৃহীত
ঈদের দিন সকালে নামাজ শেষেই শুরু হয় পশু কোরবানি। সারাদিন মাংস কাটা, বর্জ্য পরিষ্কার, মাংস ভাগ করা, বিলিয়ে দেওয়া নিয়ে থাকে নানা ব্যস্ততা। এরমধ্যে মাংস সংরক্ষণের কাজটিও ওই দিনই সেরে নিতে হয়। শুধু পশুর মাংস নয়, এর সঙ্গে পায়া, ভুঁড়ি পরিষ্কার করা ও সংরক্ষণ করা নিয়েও থাকে ঝামেলা। বিশেষ করে গরুর পা ও ভুঁড়ি পরিষ্কার করে কেটে ফ্রিজে রাখতে হয়।
অনেকে গরুর ভুঁড়ি খেতে পছন্দ করেন। খেতে সুস্বাদু হলেও ভুঁড়ি পরিষ্কারে বেশ খানিকটা ঝামেলা পোহাতে হয়। সঠিকভাবে ধোয়া, পরিষ্কার করা এবং কেটে সংরক্ষণ করা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ভুঁড়ির গায়ে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। কাজেই খাওয়ার আগে খুবই ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হয়।
অনেকে ঝামেলার কারণে গরুর ভুঁড়ি অন্যদের দিয়েও দিচ্ছেন কিংবা ফেলে দিচ্ছেন। চাইলে চুন ছাড়াই সহজে ভুঁড়ি পরিষ্কার করতে পারেন। কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক সহজ দুটি পদ্ধতি সম্পর্কে।
পদ্ধতি ১
ভুঁড়ি ছোট ছোট টুকরায় কেটে নিন। একটি হাঁড়িতে পানি গরম করুন। একটি একটি করে টুকরা আলাদা করে ধুয়ে ঘষে পরিষ্কার করুন। পানি ফুটে উঠলে অল্প পানি আলাদা একটি পাত্রে নিন। তাতে ভুঁড়ির কালো পাশ চুবান। ১২ থেকে ১৩ সেকেন্ড রেখেই তুলে ফেলুন।
এবার একটি চামচের সাহায্যে ভুঁড়ির এক কোণা ধরুন। অন্য একটি চামচের সাহায্যে আঁচড়ে কালো ময়লা তুলে নিন। ভুঁড়ির খাঁজকাটা অংশ কয়েক সেকেন্ড বেশি ভেজাবেন গরম পানিতে। চামচের বদলে স্টিলের গ্লাস বা ছুরি দিয়েও ময়লা ওঠাতে পারেন ময়লা। তবে গরম পানিতে ১৩-১৭ সেকেন্ডের বেশি ভুঁড়ি রাখবেন না। এতে ময়লা নরম হওয়ার বদলে উলটো আটকে যায়।
কালো ময়লা পরিষ্কার পর ভুঁড়ির টুকরোগুলো পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। অবশ্যই একটা একটা টুকরা নিয়ে ধোবেন। সুন্দর মতো ধোয়া শেষে ভুঁড়ি সেদ্ধ করে নিন। একটি হাঁড়িতে এমনভাবে পানি নিন যেন তাতে ভুঁড়ি ডুবে থাকে। পানিতে ১ থেকে দেড় চামচ হলুদ মেশান। ভুঁড়ি দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে সেদ্ধ করে নিন।
পদ্ধতি ২
এই পদ্ধতিতে ভুঁড়ি পরিষ্কার করতে প্রথমে ভুঁড়ি কয়েকটি বড় টুকরা করে নিন। পানি গরম করে তাতে টুকরা চুবান। গরম থাকা অবস্থান হাতে গ্লাভস পরে চামচ দিয়ে ঘষে ময়লা উঠিয়ে ফেলুন।
প্রাথমিকভাবে পরিষ্কার করা হলে আবার পানি গরম করুন। এতে ১ চামচ হলুদের গুঁড়া দিন। কেটে রাখা ভুঁড়ির টুকরা তাতে দিয়ে দিন। বলক ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সূএ : ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকম