বন্ধুত্বের বাঁধন

সুলেখা আক্তার শান্তা :
গ্রামের কিছু লোক দল বেঁধে বিলে মাছ ধরতে যায়। রায়হান আর রাকিব দূর থেকে দেখে খুব মজা পায়। তাদের মন চায়, “আহা! আমরাও যদি মাছ ধরতে যেতে পারতাম!” কিন্তু তাদের বাবা-মা বলেন, “মাছ ধরতে যাওয়া যাবে না। সময় নষ্ট করা যাবে না। পড়াশোনা করতে হবে।”
রায়হান আর রাকিব মন খারাপ করে। তারা ভাবতে থাকে, “আমরা যদি ছুটির দিনে যাই, তাহলে তো পড়াশোনার ক্ষতি হবে না!” তারা দুজনে মিলে ঠিক করে, শুক্রবার স্কুল বন্ধের দিন তারা মাছ ধরতে যাবে।
শুক্রবার সকালে তারা চালন আর পাতিল নিয়ে চুপিচুপি বেরিয়ে পড়ে। কাউকে কিছু না বলে তারা বিলের দিকে হাঁটতে থাকে। পথে যেতে যেতে তারা হাসে, গল্প করে, আর ভাবে—আজ কত মজা হবে! মাছ ধরার আনন্দে তাদের চোখে খুশির ঝিলিক।
হাঁটতে হাঁটতে তারা রাস্তার পাশে একটা ছোট্ট বাগান দেখতে পেল। বাগানটা খুব সুন্দর — ছোট ছোট গাছ, ফুল, আর মাঝখানে একটা ছোট পেয়ারা গাছ। গাছের নিচে একটা পাকা পেয়ারা পড়ে আছে।- একেবারে হলুদ টসটসে!
রায়হান চোখ বড় করে বলল, “রাকিব, দেখ! ওই যে একটা পেয়ারা পড়ে আছে। চল, নিয়ে এসে দুজনে মিলে খাই!”
রাকিব একটু চিন্তিত হয়ে বলল, “কিন্তু কিভাবে আনবো? বাগানটা তো চারদিকে কাঁটাযুক্ত বেড়া দিয়ে ঘেরা। ভিতরে ঢোকা যাবে না।” ঠিক আছে রায়হান “তুই থাক, আমি নিয়ে আসি।” রায়হান একটু ভেবে বলল, “না থাক, আনতে হবে না। যদি বাগানের মালিক দেখে ফেলেন, তাহলে সমস্যা হবে।”
রাকিব বলল, “আরে না, ভয় পাইস না। কিচ্ছু হবে না।” সে কিছু ডালপালা সরিয়ে কাঁটাযুক্ত বেড়ার ফাঁক দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ল।
রাকিব পেয়ারাটা হাতে তুলতেই, হঠাৎ ইদ্রিস চাচা বাগানে ঢুকে পড়লেন! তিনি রাকিবের হাত চেপে ধরে বললেন, “এই জন্যই তো বলি, আমার বাগানের ফল যায় কই?”
রাকিব ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল, “চাচা, আমাকে ছেড়ে দিন। আমি এই ফল নিবো না।”
ইদ্রিস চাচা চোখ বড় বড় করে বললেন, “ফল সহকারে যখন ধরেছি, তখন কি আর ছাড়ি?”
রাকিবের মুখ মলিন হয়ে গেল। বুঝতে পারছিল, সে ভুল করেছে।
ওদিকে রায়হান রাস্তার এক কোণে একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে আছে। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে সে রাকিবের দিকে তাকিয়ে আছে। তার বুক ধুকপুক করছে। সে ভাবছে, “এখন কী হবে রাকিবের? বাড়ি গিয়ে তো বলতেও পারবে না! বাবা-মা যদি মারে!”
রায়হান ভয়ে কাঁপছে, কিন্তু তার মন বলছে—বন্ধুকে একা ফেলে রেখে যাওয়া ঠিক হবে না।
ইদ্রিস চাচা রাকিবকে খুব রাগ করে ধমক দিচ্ছেন। রাকিব ভয়ে কাঁপছে।
ঠিক তখনই রায়হান গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে বাগানের সামনে দাঁড়িয়ে বলল, “চাচা, ছেড়ে দিন আমার বন্ধু রাকিবকে!”
ইদ্রিস চাচা চোখ বড় করে বললেন, “তুই কে রে ছোকরা? আমাকে বলছিস ছেড়ে দিতে? ও তোর বন্ধু? তাহলে তো তোকেও বেঁধে রাখতে হয়!”
রাকিব চিৎকার করে বলল, “রায়হান, তুই চলে যা! তুই চলে যা!
রায়হান বলল, “না, আমি তোকে ফেলে যাব না।”
রাকিব বলল, “যা বলছি, যা!”
রায়হান বলল, “বলছি না, আমি যাব না!”
দুজনের চোখে অশ্রু, কিন্তু বন্ধুত্বের বাঁধন এতটাই শক্ত যে কেউ কাউকে একা ফেলে যেতে রাজি নয়।
ইদ্রিস চাচা রাগ করে বললেন, “তোর বন্ধুকে আমি ছেড়ে দিতে পারি, যদি তুই এই পেয়ারার দাম দিস।”
রায়হান কাঁদতে কাঁদতে বলল, “আমার কাছে তো টাকা নেই চাচা!”
ইদ্রিস চাচা বললেন, “তাহলে থাক, তোর বন্ধুকে আমি ছাড়ছি না। ওকে আমি রশি দিয়ে বেঁধে রাখবো।”
রায়হান বলল, “ওকে বাঁধেন না চাচা! আমি আপনাকে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।”
রাকিব বলল, “এই রায়হান, তুই টাকা পাবি কই? তার চেয়ে তুই বাড়ি চলে যা। আমার যা হওয়ার হবে।”
রায়হান বলল, “রাকিব, তুই ভয় পাইস না। আমি মাছ ধরে সেই মাছ বিক্রি করে টাকা নিয়ে আসব।”
ইদ্রিস চাচা গম্ভীর গলায় বললেন, “যা যা! কতক্ষণে মাছ ধরবি, সেই মাছ বিক্রি করবি, তারপর টাকা নিয়ে আসবি। যদি পারিস, তা করে টাকা নিয়ে আয়। ততক্ষণ তোর বন্ধু আমার কাছে বাঁধা থাক।”
রাকিব অসহায়ভাবে বন্ধুর দিকে তাকায়। রায়হানও মুখ মলিন করে তাকিয়ে থাকে, কিন্তু তার চোখে সাহসের ঝিলিক।
রায়হান ইদ্রিস চাচার কথা শুনে ছুটে যায় বিলে মাছ ধরতে। তার মনে শুধু একটাই চিন্তা—“আমাকে অনেক মাছ ধরতে হবে, সেই মাছ বিক্রি করে রাকিবকে ছাড়িয়ে আনতে হবে।”
সে চালন ফেলে ফেলে মাছ ধরতে থাকে। প্রতি চালনে ভালোই মাছ ওঠে। তার মুখে ঘাম, চোখে তাড়া। সে জানে, বন্ধুকে বাঁচাতে হলে এখনই কিছু করতে হবে।
অনেক মাছ ধরার পর সে পানি থেকে উঠে আসে। মাছ নিয়ে দৌড়ে হাটে যায়। সেখানে সে মাছ বিক্রি করে কিছু টাকা পায়। সে সেই টাকা হাতে নিয়ে ছুটে যায় ইদ্রিস চাচার কাছে। কাঁপা হাতে টাকা এগিয়ে দিয়ে বলে, “চাচা, এই নিন। আমি মাছ বিক্রি করে এনেছি।”
ইদ্রিস চাচা চোখ বড় করে তাকিয়ে বলেন, “বারে ছোকরা! তুই তো ঠিকই টাকা নিয়ে এসেছিস! যা, তোর বন্ধুকে ছেড়ে দিচ্ছি। নিয়ে যা।” ইদ্রিস চাচা টাকা পেয়ে রাকিবকে ছেড়ে দিলেন।
রাকিব হাত-পা থেকে রশি ছাড়িয়ে রায়হানের দিকে তাকিয়ে রইলো। রায়হান বলল, “কী তাকিয়ে আছিস? আয়, বুকে আয়!” রাকিব ছুটে এসে রায়হানকে জড়িয়ে ধরল। দুই বন্ধু একে অপরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। তাদের মুখে হাসি, চোখে আনন্দ।
দুজনের কাঁধে কাঁধ রেখে তারা হাঁটতে লাগল। একসঙ্গে বাড়ির পথে ফিরে চলল।
পথে তারা ভাবছিল, “ভুল করলে শাস্তি হয়, কিন্তু বন্ধুর মতো বন্ধু থাকলে সব ঠিক হয়ে যায়।”

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» যেসব সাংবাদিক মবের ভয়ে আছেন, তারা ফ্যাসিবাদের দোসর: প্রেস সচিব

» ১০ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় না গেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব: নাহিদ

» নিবন্ধনের দাবিতে টানা ৪৭ ঘণ্টার অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারেক

» বিমানবন্দরের ‘ফানেল’ আসলে কী?

» গণভোট ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়: গাজী আতাউর রহমান

» সন্তানধারণের পরিকল্পনা: পিরিয়ডের দ্বিতীয় দিন কেন বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

» তাওবার পর জীবনে পরিবর্তন আনবে এই ১৩ আমল

» বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদক, চুরি ঘটনায় ১৩ জন গ্রেফতার

» চিকেন পুরি তৈরির রেসিপি জেনে নিন

» দুইটি ৪ কেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হল ১৯ হাজার ৭০০ টাকায়

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বন্ধুত্বের বাঁধন

সুলেখা আক্তার শান্তা :
গ্রামের কিছু লোক দল বেঁধে বিলে মাছ ধরতে যায়। রায়হান আর রাকিব দূর থেকে দেখে খুব মজা পায়। তাদের মন চায়, “আহা! আমরাও যদি মাছ ধরতে যেতে পারতাম!” কিন্তু তাদের বাবা-মা বলেন, “মাছ ধরতে যাওয়া যাবে না। সময় নষ্ট করা যাবে না। পড়াশোনা করতে হবে।”
রায়হান আর রাকিব মন খারাপ করে। তারা ভাবতে থাকে, “আমরা যদি ছুটির দিনে যাই, তাহলে তো পড়াশোনার ক্ষতি হবে না!” তারা দুজনে মিলে ঠিক করে, শুক্রবার স্কুল বন্ধের দিন তারা মাছ ধরতে যাবে।
শুক্রবার সকালে তারা চালন আর পাতিল নিয়ে চুপিচুপি বেরিয়ে পড়ে। কাউকে কিছু না বলে তারা বিলের দিকে হাঁটতে থাকে। পথে যেতে যেতে তারা হাসে, গল্প করে, আর ভাবে—আজ কত মজা হবে! মাছ ধরার আনন্দে তাদের চোখে খুশির ঝিলিক।
হাঁটতে হাঁটতে তারা রাস্তার পাশে একটা ছোট্ট বাগান দেখতে পেল। বাগানটা খুব সুন্দর — ছোট ছোট গাছ, ফুল, আর মাঝখানে একটা ছোট পেয়ারা গাছ। গাছের নিচে একটা পাকা পেয়ারা পড়ে আছে।- একেবারে হলুদ টসটসে!
রায়হান চোখ বড় করে বলল, “রাকিব, দেখ! ওই যে একটা পেয়ারা পড়ে আছে। চল, নিয়ে এসে দুজনে মিলে খাই!”
রাকিব একটু চিন্তিত হয়ে বলল, “কিন্তু কিভাবে আনবো? বাগানটা তো চারদিকে কাঁটাযুক্ত বেড়া দিয়ে ঘেরা। ভিতরে ঢোকা যাবে না।” ঠিক আছে রায়হান “তুই থাক, আমি নিয়ে আসি।” রায়হান একটু ভেবে বলল, “না থাক, আনতে হবে না। যদি বাগানের মালিক দেখে ফেলেন, তাহলে সমস্যা হবে।”
রাকিব বলল, “আরে না, ভয় পাইস না। কিচ্ছু হবে না।” সে কিছু ডালপালা সরিয়ে কাঁটাযুক্ত বেড়ার ফাঁক দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ল।
রাকিব পেয়ারাটা হাতে তুলতেই, হঠাৎ ইদ্রিস চাচা বাগানে ঢুকে পড়লেন! তিনি রাকিবের হাত চেপে ধরে বললেন, “এই জন্যই তো বলি, আমার বাগানের ফল যায় কই?”
রাকিব ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল, “চাচা, আমাকে ছেড়ে দিন। আমি এই ফল নিবো না।”
ইদ্রিস চাচা চোখ বড় বড় করে বললেন, “ফল সহকারে যখন ধরেছি, তখন কি আর ছাড়ি?”
রাকিবের মুখ মলিন হয়ে গেল। বুঝতে পারছিল, সে ভুল করেছে।
ওদিকে রায়হান রাস্তার এক কোণে একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে আছে। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে সে রাকিবের দিকে তাকিয়ে আছে। তার বুক ধুকপুক করছে। সে ভাবছে, “এখন কী হবে রাকিবের? বাড়ি গিয়ে তো বলতেও পারবে না! বাবা-মা যদি মারে!”
রায়হান ভয়ে কাঁপছে, কিন্তু তার মন বলছে—বন্ধুকে একা ফেলে রেখে যাওয়া ঠিক হবে না।
ইদ্রিস চাচা রাকিবকে খুব রাগ করে ধমক দিচ্ছেন। রাকিব ভয়ে কাঁপছে।
ঠিক তখনই রায়হান গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে বাগানের সামনে দাঁড়িয়ে বলল, “চাচা, ছেড়ে দিন আমার বন্ধু রাকিবকে!”
ইদ্রিস চাচা চোখ বড় করে বললেন, “তুই কে রে ছোকরা? আমাকে বলছিস ছেড়ে দিতে? ও তোর বন্ধু? তাহলে তো তোকেও বেঁধে রাখতে হয়!”
রাকিব চিৎকার করে বলল, “রায়হান, তুই চলে যা! তুই চলে যা!
রায়হান বলল, “না, আমি তোকে ফেলে যাব না।”
রাকিব বলল, “যা বলছি, যা!”
রায়হান বলল, “বলছি না, আমি যাব না!”
দুজনের চোখে অশ্রু, কিন্তু বন্ধুত্বের বাঁধন এতটাই শক্ত যে কেউ কাউকে একা ফেলে যেতে রাজি নয়।
ইদ্রিস চাচা রাগ করে বললেন, “তোর বন্ধুকে আমি ছেড়ে দিতে পারি, যদি তুই এই পেয়ারার দাম দিস।”
রায়হান কাঁদতে কাঁদতে বলল, “আমার কাছে তো টাকা নেই চাচা!”
ইদ্রিস চাচা বললেন, “তাহলে থাক, তোর বন্ধুকে আমি ছাড়ছি না। ওকে আমি রশি দিয়ে বেঁধে রাখবো।”
রায়হান বলল, “ওকে বাঁধেন না চাচা! আমি আপনাকে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।”
রাকিব বলল, “এই রায়হান, তুই টাকা পাবি কই? তার চেয়ে তুই বাড়ি চলে যা। আমার যা হওয়ার হবে।”
রায়হান বলল, “রাকিব, তুই ভয় পাইস না। আমি মাছ ধরে সেই মাছ বিক্রি করে টাকা নিয়ে আসব।”
ইদ্রিস চাচা গম্ভীর গলায় বললেন, “যা যা! কতক্ষণে মাছ ধরবি, সেই মাছ বিক্রি করবি, তারপর টাকা নিয়ে আসবি। যদি পারিস, তা করে টাকা নিয়ে আয়। ততক্ষণ তোর বন্ধু আমার কাছে বাঁধা থাক।”
রাকিব অসহায়ভাবে বন্ধুর দিকে তাকায়। রায়হানও মুখ মলিন করে তাকিয়ে থাকে, কিন্তু তার চোখে সাহসের ঝিলিক।
রায়হান ইদ্রিস চাচার কথা শুনে ছুটে যায় বিলে মাছ ধরতে। তার মনে শুধু একটাই চিন্তা—“আমাকে অনেক মাছ ধরতে হবে, সেই মাছ বিক্রি করে রাকিবকে ছাড়িয়ে আনতে হবে।”
সে চালন ফেলে ফেলে মাছ ধরতে থাকে। প্রতি চালনে ভালোই মাছ ওঠে। তার মুখে ঘাম, চোখে তাড়া। সে জানে, বন্ধুকে বাঁচাতে হলে এখনই কিছু করতে হবে।
অনেক মাছ ধরার পর সে পানি থেকে উঠে আসে। মাছ নিয়ে দৌড়ে হাটে যায়। সেখানে সে মাছ বিক্রি করে কিছু টাকা পায়। সে সেই টাকা হাতে নিয়ে ছুটে যায় ইদ্রিস চাচার কাছে। কাঁপা হাতে টাকা এগিয়ে দিয়ে বলে, “চাচা, এই নিন। আমি মাছ বিক্রি করে এনেছি।”
ইদ্রিস চাচা চোখ বড় করে তাকিয়ে বলেন, “বারে ছোকরা! তুই তো ঠিকই টাকা নিয়ে এসেছিস! যা, তোর বন্ধুকে ছেড়ে দিচ্ছি। নিয়ে যা।” ইদ্রিস চাচা টাকা পেয়ে রাকিবকে ছেড়ে দিলেন।
রাকিব হাত-পা থেকে রশি ছাড়িয়ে রায়হানের দিকে তাকিয়ে রইলো। রায়হান বলল, “কী তাকিয়ে আছিস? আয়, বুকে আয়!” রাকিব ছুটে এসে রায়হানকে জড়িয়ে ধরল। দুই বন্ধু একে অপরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। তাদের মুখে হাসি, চোখে আনন্দ।
দুজনের কাঁধে কাঁধ রেখে তারা হাঁটতে লাগল। একসঙ্গে বাড়ির পথে ফিরে চলল।
পথে তারা ভাবছিল, “ভুল করলে শাস্তি হয়, কিন্তু বন্ধুর মতো বন্ধু থাকলে সব ঠিক হয়ে যায়।”

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com