শীতের শেষে বসন্তের আগমনে নানা রঙের ফুলে-ফলে প্রকৃতি সাজে নতুন রূপে। এ বুঝি এলো বসন্ত। প্রকৃতির পাশাপাশি ফাগুনের রঙ লেগেছে সবার মনে।
ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার রীতি বেশ পুরাতন। পাশাপাশি ভালোবাসা দিবস উদযাপনও এখন বাঙালি সংস্কৃতির অংশ। আর এবার বসন্তের আগমন ও ভালোবাসা দিবস একইদিনে হওয়ায় অন্যরকম মাত্রা পায় এই উৎসব।
এবার ইউরোপের দেশ গ্রিসের বাতাসেও যেন লেগেছিলো বাংলাদেশের ফাগুন হাওয়া। ফাগুন উৎসবে মেতেছিলো প্রবাসীরা। হলদে বরণ সাজ আর স্বত:স্ফূর্ত উপস্থিতিতে দূর প্রবাসেও যেন ভেসে উঠেছে এক টুকরো বাংলাদেশ।
এ যেন বিশ্বকবির ‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা, এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো’ আহ্বান। গ্রিসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবারগুলো রঙ বেরঙের শাড়িতে বাসন্তী সাজে বসন্ত ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করে।
চিতই পিঠা, নকশি পিঠা, দুধ পিঠা, ভাপা পিঠাসহ হরেক রকমের পিঠা তারা নিজের হাতে তৈরি করে নিয়ে আসেন অনুষ্ঠানস্থলে। রাজধানী এথেন্সে বাংলাদেশ দোয়েল সাংস্কৃতিক সংগঠন-দোয়েল একাডেমিতে এই বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব এর আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন ইসমাইল হোসেন রনি ও ইকবাল হোসেন। সার্বিক সহযোগিয়া ছিলেন আ: কুদ্দুস শিকদার, সোহরাব হোসেন ইসমাইল, ইসমাইল হোসেন রানা, আনাম মোহাম্মাদ, শিমুল সৈকতসহ আরও অনেকেই।