আত্মগোপনে থাকা দুই মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

ফাইল ছবি

 

আত্মগোপনে থাকা দুই মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

 

গ্রেপ্তারের নাম মো. রনি ওরফে রাশেদ মাহমুদ ওরফে রনি (৩৫)। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-২ এর একটি দল।

 

আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক।

 

তিনি বলেন, বিগত ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল ডিএমপির সবুজবাগ থানায় মাদক মামলায় ও ২০১৫ সালের যাত্রাবাড়ী থানায় মাদক মামলার আসামি রনি। এই দুটি মামলায় আদালত ২০২০-২২ সালে মো. রনিকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর থেকে রনি আত্মগোপনে চলে যান গ্রেপ্তার এড়াতে। গতকাল কেরানীগঞ্জ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রনি জানায়, রনি মাদক চক্রের একজন পেশাদার সদস্য। তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, দস্যুতা ও মাদকের ৪টি মামলাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের বিভিন্ন জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ঢাকায় নিয়ে এসে তার সহযোগীদের কাছে সরবরাহ করত।

 

রনি মোট ১৬ মাস জেল খেটেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে থেকে মাদক কারবারি চালিয়ে যায়। রনি তার খালুর কাছে বড় হয়েছেন। এ জন্য মামলায় মা-বাবার নামের পরিবর্তে খালা-খালুর নাম দিয়ে থাকেন। এছাড়া ২০২৩ সালে দস্যুতা মামলায় নিজের পিতার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দেন। ২০০৭ সালে তার এনআইডি করেছে ও ২০১৩ সালে নিজেকে আত্মগোপনে রেখে মাদক কারবারির জন্য ওই এনআইডি পরিবর্তন করতে চেয়েছিল।

 

তিনি বলেন, রনি যখনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ধরা পড়ে তখনই সে ভুল নাম ও ঠিকানা দেয়। ফলে তার প্রকৃত মামলা কয়টি আছে তাও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। একটি মামলায় ধরা পড়লে বাকি মামলাগুলো অনলাইনে চেক করলে দেখা যাওয়ার কথা। কিন্তু নামের বিভ্রান্তি থাকায় তাকে ধরা যায়নি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে বাস চালকের মৃত্যু,আহত ১৫

» সাহসী প্রশ্ন তুলুন, বিভ্রান্তি নয় সত্য সামনে আনুন: সাংবাদিকদের শফিকুল

» রিকশাচালক হত্যা মামলায় দুইজন গ্রেপ্তার

» উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি বন্ধ করায় এখন কেউ পিডি হতে চান না

» নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?

» কুয়েত চেম্বারে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের বিশেষ সভা

» শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

» সাতরাস্তা মোড়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু

» ৬৮ কেজি গাঁজাসহ আটক ১

» গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আত্মগোপনে থাকা দুই মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

ফাইল ছবি

 

আত্মগোপনে থাকা দুই মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

 

গ্রেপ্তারের নাম মো. রনি ওরফে রাশেদ মাহমুদ ওরফে রনি (৩৫)। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-২ এর একটি দল।

 

আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক।

 

তিনি বলেন, বিগত ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল ডিএমপির সবুজবাগ থানায় মাদক মামলায় ও ২০১৫ সালের যাত্রাবাড়ী থানায় মাদক মামলার আসামি রনি। এই দুটি মামলায় আদালত ২০২০-২২ সালে মো. রনিকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর থেকে রনি আত্মগোপনে চলে যান গ্রেপ্তার এড়াতে। গতকাল কেরানীগঞ্জ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রনি জানায়, রনি মাদক চক্রের একজন পেশাদার সদস্য। তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, দস্যুতা ও মাদকের ৪টি মামলাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের বিভিন্ন জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ঢাকায় নিয়ে এসে তার সহযোগীদের কাছে সরবরাহ করত।

 

রনি মোট ১৬ মাস জেল খেটেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে থেকে মাদক কারবারি চালিয়ে যায়। রনি তার খালুর কাছে বড় হয়েছেন। এ জন্য মামলায় মা-বাবার নামের পরিবর্তে খালা-খালুর নাম দিয়ে থাকেন। এছাড়া ২০২৩ সালে দস্যুতা মামলায় নিজের পিতার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দেন। ২০০৭ সালে তার এনআইডি করেছে ও ২০১৩ সালে নিজেকে আত্মগোপনে রেখে মাদক কারবারির জন্য ওই এনআইডি পরিবর্তন করতে চেয়েছিল।

 

তিনি বলেন, রনি যখনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ধরা পড়ে তখনই সে ভুল নাম ও ঠিকানা দেয়। ফলে তার প্রকৃত মামলা কয়টি আছে তাও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। একটি মামলায় ধরা পড়লে বাকি মামলাগুলো অনলাইনে চেক করলে দেখা যাওয়ার কথা। কিন্তু নামের বিভ্রান্তি থাকায় তাকে ধরা যায়নি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com