কবরের চার কোণে চার কুল পড়া সম্পর্কে ইসলাম যা বলে

অনেক এলাকায় প্রচলন আছে, মায়্যেতকে দাফন করার পর চার ব্যক্তি কবরের চার কোণে দাঁড়িয়ে চার কুল (অর্থাৎ সূরা কাফিরুন, ইখলাস, ফালাক, নাস) পড়ে। তবে কী কবরের চার কোণে চার কুল পড়া জায়েজ?

চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে-

কোনো মুসলিম ব্যক্তি মারা গেলে অপর মুসলমানের ওপর মৃতের গোসল, কাফন, জানাজা ও দাফন করার অবশ্যক হয়ে যায়। কেউ মারা গেলে দ্রুতই এই কাজগুলো সম্পাদন করতে হয়। হাদিসে এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) হজরত আলী রা.-কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘হে আলী! তিনটি জিনিসের ক্ষেত্রে বিলম্ব করবে না।

>>> নামাজের যখন সময় আসবে তখন নামাজ আদায় করা থেকে দেরি করবে না।

>> মৃত ব্যক্তির জানাজা যখন উপস্থিত হবে তখন কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে দেরি করবে না।

 

কোন অবিবাহিতা মেয়ের জন্য যখন কোন উপযুক্ত পাত্র পাবে তখন তাকে পাত্রস্থ করা থেকে বিলম্ব করবে না।’-(তিরমিজি ১/২০৬)

 

সমাজে বিভিন্ন সময় মানুষের মাঝে ধর্মীয় বিষয়ে ছড়িয়ে পড়েছে কিছু কিছু ভুল বিশ্বাস ও আমল। তেমনি অনেক এলাকায় প্রচলন আছে, মায়্যেতকে দাফন করার পর চার ব্যক্তি কবরের চার কোণে দাঁড়িয়ে চার কুল (অর্থাৎ সূরা কাফিরুন, ইখলাস, ফালাক, নাস) পড়ে। তারপর তারা কবরের চার কোণে চারটি তাজা ডাল পুঁতে দেয়।

 

কোথাও আবার চার কোণের চারটি খুঁটি হাতে চার কুল পড়ে খুঁটিগুলো গেড়ে দেয়। কোথাও চার খুঁটিতে সুতা পেঁচায়। আবার কেউ বলল, তাদের এলাকায় চারটি কঞ্চি হাতে চার কুল পড়ে কঞ্চি চারটি কবরের উপর রাখে।

 

এটি একটি মনগড়া রসম যার কোনো ভিত্তি নেই। কোনো হাদীসে বা সাহাবা-তাবেয়ীন থেকে এ আমলের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। সুতরাং তা বর্জনীয়। এজাতীয় মনগড়া কোনো রসমের পিছে না পড়ে প্রমাণিত কোনো আমল করা উচিৎ। যেমন দাফন শেষে মায়্যেতের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা এবং কবরের সুওয়াল জওয়াব সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করা। সূরা বাকারার শুরু থেকে মুফলিহুন (১-৫ আয়াত) পর্যন্ত এবং শেষে আমানার রাসূলু থেকে শেষ পর্যন্ত (২৮৫-২৮৬ আয়াত) তিলাওয়াত করে ইসালে সওয়াব করা ইত্যাদি।

সূত্র : উচ্চতর হাদিস ও গবেষণা বিভাগ মারকাযুদ্দাওয়াহ আল ইসলামিয়া ঢাকা

সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পিআর-ই হলো ‘মাদার অব অল রিফর্ম’: চরমোনাই পীর

» পাড়া মহল্লায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন: সাদিক কায়েম

» তারা ভেবেছিল, কয়েকটি আসনের লোভ দেখিয়ে আমাদের কিনে নেবে: নাহিদ

» বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক হতে বললেন ড. মঈন

» এবার বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক

» দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জামায়াত আমিরের উদ্বেগ

» ব্যাচেলর পয়েন্ট: মুহূর্তেই ছুঁয়ে দিচ্ছে মিলিয়নের ঘর

» হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী বিটচ্যাট, চলবে ইন্টারনেট ছাড়াই

» রাজসাক্ষী হিসেবে সহায়তার শর্তে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা : ট্রাইব্যুনাল

» বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ জন দগ্ধ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কবরের চার কোণে চার কুল পড়া সম্পর্কে ইসলাম যা বলে

অনেক এলাকায় প্রচলন আছে, মায়্যেতকে দাফন করার পর চার ব্যক্তি কবরের চার কোণে দাঁড়িয়ে চার কুল (অর্থাৎ সূরা কাফিরুন, ইখলাস, ফালাক, নাস) পড়ে। তবে কী কবরের চার কোণে চার কুল পড়া জায়েজ?

চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে-

কোনো মুসলিম ব্যক্তি মারা গেলে অপর মুসলমানের ওপর মৃতের গোসল, কাফন, জানাজা ও দাফন করার অবশ্যক হয়ে যায়। কেউ মারা গেলে দ্রুতই এই কাজগুলো সম্পাদন করতে হয়। হাদিসে এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) হজরত আলী রা.-কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘হে আলী! তিনটি জিনিসের ক্ষেত্রে বিলম্ব করবে না।

>>> নামাজের যখন সময় আসবে তখন নামাজ আদায় করা থেকে দেরি করবে না।

>> মৃত ব্যক্তির জানাজা যখন উপস্থিত হবে তখন কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে দেরি করবে না।

 

কোন অবিবাহিতা মেয়ের জন্য যখন কোন উপযুক্ত পাত্র পাবে তখন তাকে পাত্রস্থ করা থেকে বিলম্ব করবে না।’-(তিরমিজি ১/২০৬)

 

সমাজে বিভিন্ন সময় মানুষের মাঝে ধর্মীয় বিষয়ে ছড়িয়ে পড়েছে কিছু কিছু ভুল বিশ্বাস ও আমল। তেমনি অনেক এলাকায় প্রচলন আছে, মায়্যেতকে দাফন করার পর চার ব্যক্তি কবরের চার কোণে দাঁড়িয়ে চার কুল (অর্থাৎ সূরা কাফিরুন, ইখলাস, ফালাক, নাস) পড়ে। তারপর তারা কবরের চার কোণে চারটি তাজা ডাল পুঁতে দেয়।

 

কোথাও আবার চার কোণের চারটি খুঁটি হাতে চার কুল পড়ে খুঁটিগুলো গেড়ে দেয়। কোথাও চার খুঁটিতে সুতা পেঁচায়। আবার কেউ বলল, তাদের এলাকায় চারটি কঞ্চি হাতে চার কুল পড়ে কঞ্চি চারটি কবরের উপর রাখে।

 

এটি একটি মনগড়া রসম যার কোনো ভিত্তি নেই। কোনো হাদীসে বা সাহাবা-তাবেয়ীন থেকে এ আমলের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। সুতরাং তা বর্জনীয়। এজাতীয় মনগড়া কোনো রসমের পিছে না পড়ে প্রমাণিত কোনো আমল করা উচিৎ। যেমন দাফন শেষে মায়্যেতের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা এবং কবরের সুওয়াল জওয়াব সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করা। সূরা বাকারার শুরু থেকে মুফলিহুন (১-৫ আয়াত) পর্যন্ত এবং শেষে আমানার রাসূলু থেকে শেষ পর্যন্ত (২৮৫-২৮৬ আয়াত) তিলাওয়াত করে ইসালে সওয়াব করা ইত্যাদি।

সূত্র : উচ্চতর হাদিস ও গবেষণা বিভাগ মারকাযুদ্দাওয়াহ আল ইসলামিয়া ঢাকা

সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com