ওমিক্রনে কারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন?

বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একদিকে যেমন বাড়ছে, অন্যদিকে দ্রুত সুস্থও হয়ে উঠছেন বেশিরভাগই। ওমিক্রনের উপসর্গ শরীরে মৃদুভাবে প্রকাশ পাওয়ার কারণ হলো, কোভিড ভ্যাকসিন।

 

যারা এরই মধ্যে করোনার দুটো ভ্যাকসিনই গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে ওমিক্রনের গুরুতর সংক্রমণ কমই দেখা যাচ্ছে।

যদিও টিকা ১০০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে না, তবুও এটি তীব্রতা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে দিতে পারে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

 

বিগত দুই স্ফীতিতে করোনার প্রভাব মূলত শ্বাসযন্ত্র ও ফুসফুসের উপরে সবচেয়ে বেশি পড়তে দেখা গেছে। তবে ওমিক্রন ফুসফুসের উপর কম প্রভাব ফেলায় হাসপাতালগামী আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম।

 

ওমিক্রন সংক্রমণে একেকজনের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ প্রকাশ পাচ্ছে। তবে এর সাধারণ কয়েকটি উপসর্গগুলো হলো সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া ও ক্লান্তি।

 

১১-১৮ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে জ্বর ও উপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ দেখা গেছে। অন্যদিকে কোভিডের অন্যান্য রূপে শ্বাসকষ্ট ও স্বাদ-গন্ধ হারানোর লক্ষণ বেশি দেখা গেলেও ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তা কম।

ওমিক্রনের আরও একটি উপসর্গ হলো পেটের সমস্যা। ওমিক্রনে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা দিচ্ছে পেটের সমস্যা। এক্ষেত্রে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, অসুস্থ বোধ করা (বমি বমি ভাব), ক্ষুধা কমে যাওয়া ও খাবার এড়িয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।

 

ওমিক্রনে আক্রান্তদের বেশিরভাগই মৃদু উপসর্গ নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন, তবে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে গুরুত্ব সমস্যা। কারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন?

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব ব্যক্তিরা আগে থেকেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে ওমিক্রন সংক্রমণের তীব্রতা অনেক বেশি লক্ষণীয়।

 

এ ছাড়াও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের শরীরে অন্যদের চেয়ে প্রভাব পড়ছে বেশি। এদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে। ওমিক্রনে আক্রান্ত একজন ব্যক্তির শরীরে ২-৩ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।

 

অন্যদিকে করোনার ডেল্টা রূপের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো শরীরে দেখা দিতে সাধারণত ৫-৬ দিন সময় লাগে। শুধু তাই নয়, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে রোগীরা ১০ দিনের মধ্যেই মোটামুটি সুস্থ হয়ে যান। আর ডেল্টার ক্ষেত্রে ১৫ দিন বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।

 

তবে দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, ওমিক্রনে আক্রান্তরা কোভিড নেগেটিভ হলেও পরবর্তী সময়ে হালকা কিছু উপসর্গ থেকে যাচ্ছে। ক্লান্তি ও মাথাব্যথা তার মধ্যে অন্যতম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলো মূলত লং কোভিডের লক্ষণ।

 

তবে গুরুতর কোনো সমস্যায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরেও বেশ কিছু দিন শরীরের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। সূত্র: লাইভমিন্ট

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» গুমের সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : সেনা সদর

» আশুরা-তাজিয়া মিছিলে অংশ নিতে ডিএমপির একগুচ্ছ পরামর্শ

» স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!

» যুবককে গলা কেটে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেফতার

» স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ১৯ হাজার ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট দিল চীন

» পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?

» সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

» ইতালির নাগরিক তাবেলা হত্যা: ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৪ জন খালাস

» টেলিকম নীতিমালায় সরকারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে বিএনপির উদ্বেগ

» এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ছুরিকাঘাত করে ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইল ছিনতাই

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ওমিক্রনে কারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন?

বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একদিকে যেমন বাড়ছে, অন্যদিকে দ্রুত সুস্থও হয়ে উঠছেন বেশিরভাগই। ওমিক্রনের উপসর্গ শরীরে মৃদুভাবে প্রকাশ পাওয়ার কারণ হলো, কোভিড ভ্যাকসিন।

 

যারা এরই মধ্যে করোনার দুটো ভ্যাকসিনই গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে ওমিক্রনের গুরুতর সংক্রমণ কমই দেখা যাচ্ছে।

যদিও টিকা ১০০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে না, তবুও এটি তীব্রতা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে দিতে পারে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

 

বিগত দুই স্ফীতিতে করোনার প্রভাব মূলত শ্বাসযন্ত্র ও ফুসফুসের উপরে সবচেয়ে বেশি পড়তে দেখা গেছে। তবে ওমিক্রন ফুসফুসের উপর কম প্রভাব ফেলায় হাসপাতালগামী আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম।

 

ওমিক্রন সংক্রমণে একেকজনের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ প্রকাশ পাচ্ছে। তবে এর সাধারণ কয়েকটি উপসর্গগুলো হলো সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া ও ক্লান্তি।

 

১১-১৮ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে জ্বর ও উপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ দেখা গেছে। অন্যদিকে কোভিডের অন্যান্য রূপে শ্বাসকষ্ট ও স্বাদ-গন্ধ হারানোর লক্ষণ বেশি দেখা গেলেও ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তা কম।

ওমিক্রনের আরও একটি উপসর্গ হলো পেটের সমস্যা। ওমিক্রনে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা দিচ্ছে পেটের সমস্যা। এক্ষেত্রে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, অসুস্থ বোধ করা (বমি বমি ভাব), ক্ষুধা কমে যাওয়া ও খাবার এড়িয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।

 

ওমিক্রনে আক্রান্তদের বেশিরভাগই মৃদু উপসর্গ নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন, তবে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে গুরুত্ব সমস্যা। কারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন?

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব ব্যক্তিরা আগে থেকেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে ওমিক্রন সংক্রমণের তীব্রতা অনেক বেশি লক্ষণীয়।

 

এ ছাড়াও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের শরীরে অন্যদের চেয়ে প্রভাব পড়ছে বেশি। এদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে। ওমিক্রনে আক্রান্ত একজন ব্যক্তির শরীরে ২-৩ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।

 

অন্যদিকে করোনার ডেল্টা রূপের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো শরীরে দেখা দিতে সাধারণত ৫-৬ দিন সময় লাগে। শুধু তাই নয়, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে রোগীরা ১০ দিনের মধ্যেই মোটামুটি সুস্থ হয়ে যান। আর ডেল্টার ক্ষেত্রে ১৫ দিন বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।

 

তবে দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, ওমিক্রনে আক্রান্তরা কোভিড নেগেটিভ হলেও পরবর্তী সময়ে হালকা কিছু উপসর্গ থেকে যাচ্ছে। ক্লান্তি ও মাথাব্যথা তার মধ্যে অন্যতম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলো মূলত লং কোভিডের লক্ষণ।

 

তবে গুরুতর কোনো সমস্যায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরেও বেশ কিছু দিন শরীরের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। সূত্র: লাইভমিন্ট

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com