আসল জামদানি চেনার উপায়

বিশেষজ্ঞরা বলেন, জামদানি আসল নাকি নকল তা শাড়ির উল্টো দিকে নকশা দেখলেই বোঝা যায়। প্রকৃত জামদানি শাড়িতে ফুল, লতা ,পাতা হচ্ছে আসল জামদানি শাড়ির ট্র্যাডিশনাল ডিজাইন। এর মধ্যে এখন নিত্যনতুন মোটিফ তৈরি হচ্ছে।

 

ঢাকাই মসলিন বা ঢাকাই জামদানির উৎপত্তি স্থল ঢাকা জেলার নারায়ণগঞ্জের পাশে ডেমরাতে। মূলত কটন ও মসলিন ম্যাটেরিয়ালের ওপর হাতের বুননে শিল্পশৈলী ফুটিয়ে তোলা হত। মসলিন সুতা সেই সময় চরকায় কাটা হত। মসলিন সুতা একসময় তাঁতিরা হাতেই কাটতেন। ব্রিটিশরা নিয়ম জারি করেছিলেন সুতা মেশিনে কাটতে হবে। তাই নিয়ম না মানায় অনেক তাঁতিরই হাতের আঙুল কেটে নেয়া হয়।

 

যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন

 

শাড়ির উল্টোদিকে নকশার সুতো কাটা থাকলে তখন বুঝে নিতে হবে সুতা মেশিনে তৈরি।

 

সঠিক জামদানি শাড়ির ক্ষেত্রে নকশার পেছন দিকটা হাত দিয়ে ঘুরিয়ে যে সুতা বোনা হয় সেটা পরিষ্কার বোঝা যায়। কোনো সুতা কাটা থাকবে না। এক কথায় বুনন নিখুঁত থাকবে না।

 

উল্লেখ্য, জামদানি হচ্ছে কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত একধরনের পরিধেয় বস্ত্র যার বয়ন পদ্ধতি জটিল এবং আধুনিক। জামদানি বুননকালে তৃতীয় একটি সুতা দিয়ে নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। মসলিন বয়নে যেমন কমপক্ষে ৩০০ কাউন্টের সুতা ব্যবহার করা হয়, জামদানি বয়নে সাধারণত ২৬-৮০-৮৪ কাউন্টের সূতা ব্যবহৃত হয়।

সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

» ২১ জেলায় পানিতে ডুবেছে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল

» পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল

» আজ শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকা-মার্কেট বন্ধ

» জামায়াতে ইসলামী কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীর সঙ্গে জোট করবে না

» নতুন বন্দোবস্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না: আখতার হোসেন

» ইতিহাসের বিশেষ সময় অতিবাহিত করছি: জামায়াত সেক্রেটারি

» আমাদের আন্দোলন দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে : নাহিদ ইসলাম

» সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ

» বিএনপি দেশে দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় : গয়েশ্বর

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আসল জামদানি চেনার উপায়

বিশেষজ্ঞরা বলেন, জামদানি আসল নাকি নকল তা শাড়ির উল্টো দিকে নকশা দেখলেই বোঝা যায়। প্রকৃত জামদানি শাড়িতে ফুল, লতা ,পাতা হচ্ছে আসল জামদানি শাড়ির ট্র্যাডিশনাল ডিজাইন। এর মধ্যে এখন নিত্যনতুন মোটিফ তৈরি হচ্ছে।

 

ঢাকাই মসলিন বা ঢাকাই জামদানির উৎপত্তি স্থল ঢাকা জেলার নারায়ণগঞ্জের পাশে ডেমরাতে। মূলত কটন ও মসলিন ম্যাটেরিয়ালের ওপর হাতের বুননে শিল্পশৈলী ফুটিয়ে তোলা হত। মসলিন সুতা সেই সময় চরকায় কাটা হত। মসলিন সুতা একসময় তাঁতিরা হাতেই কাটতেন। ব্রিটিশরা নিয়ম জারি করেছিলেন সুতা মেশিনে কাটতে হবে। তাই নিয়ম না মানায় অনেক তাঁতিরই হাতের আঙুল কেটে নেয়া হয়।

 

যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন

 

শাড়ির উল্টোদিকে নকশার সুতো কাটা থাকলে তখন বুঝে নিতে হবে সুতা মেশিনে তৈরি।

 

সঠিক জামদানি শাড়ির ক্ষেত্রে নকশার পেছন দিকটা হাত দিয়ে ঘুরিয়ে যে সুতা বোনা হয় সেটা পরিষ্কার বোঝা যায়। কোনো সুতা কাটা থাকবে না। এক কথায় বুনন নিখুঁত থাকবে না।

 

উল্লেখ্য, জামদানি হচ্ছে কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত একধরনের পরিধেয় বস্ত্র যার বয়ন পদ্ধতি জটিল এবং আধুনিক। জামদানি বুননকালে তৃতীয় একটি সুতা দিয়ে নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। মসলিন বয়নে যেমন কমপক্ষে ৩০০ কাউন্টের সুতা ব্যবহার করা হয়, জামদানি বয়নে সাধারণত ২৬-৮০-৮৪ কাউন্টের সূতা ব্যবহৃত হয়।

সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com