১ কোটি ৭০ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ১২ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী টাইফয়েড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় প্রথম ১০ দিনে ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়।

 

এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ৯ মাস  থকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার  রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইপিআই, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।

চলমান টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য এবং শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পরিচালিত  টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তবে শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টিকাদানের হার তুলনামূলক কম।

 

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, বাংলাদেশে ১ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুরাই টাইফয়েড জ্বরে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২১ সালে বাংলাদেশে ৮ হাজার মানুষ টাইফয়েড জ্বরে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

এর মধ্যে প্রায় ৬ হাজার জন ১৫ বছরের নিচে। দূষিত পানি ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে মূলত টাইফয়েড ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছে, বড় কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 

সভায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির অগ্রগতি এবং শক্তিশালীকরণে পদক্ষেপ উপস্থাপন করেন ইপিআই অ্যান্ড সারভিলেন্স এর উপ-পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেসেনটিটিভ দপিকা শর্মা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ব্যবহারে জবাবদিহিতা জরুরি: এম সাখাওয়াত

» সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ড্রোন ব্যবহারের চিন্তা করছে সরকার

» সালমান শাহ হত্যা মামলায় বড় মোড়: ২৯ বছর পর ফেঁসে যাচ্ছেন যারা

» উদ্বোধনী জুটিতে ১০ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভাঙলেন সাইফ-সৌম্য

» যারা ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি, এনসিপিতে তাদের কোনো অবস্থান নেই: সারজিস

» আওয়ামী লীগ ডাকাতদের চেয়েও নৃশংস, পুনর্বাসিত হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই: আখতার

» অর্থের পেছনে না ছুটে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির

» ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকায় আসছেন ডিসেম্বরে

» বাতিল ইভিএম, ফিরল ‘না ভোট’

» প্রশাসন থেকে ধর্ষণের ঘটনাকে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ হিসেবে চিত্রিত করা দুর্ভাগ্যজনক: শায়ক আহমাদুল্লাহ

উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা,

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

১ কোটি ৭০ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ১২ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী টাইফয়েড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় প্রথম ১০ দিনে ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়।

 

এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ৯ মাস  থকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার  রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইপিআই, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।

চলমান টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য এবং শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পরিচালিত  টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তবে শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টিকাদানের হার তুলনামূলক কম।

 

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, বাংলাদেশে ১ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুরাই টাইফয়েড জ্বরে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২১ সালে বাংলাদেশে ৮ হাজার মানুষ টাইফয়েড জ্বরে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

এর মধ্যে প্রায় ৬ হাজার জন ১৫ বছরের নিচে। দূষিত পানি ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে মূলত টাইফয়েড ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছে, বড় কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 

সভায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির অগ্রগতি এবং শক্তিশালীকরণে পদক্ষেপ উপস্থাপন করেন ইপিআই অ্যান্ড সারভিলেন্স এর উপ-পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেসেনটিটিভ দপিকা শর্মা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা,

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com