ঢাকা, ২২ অক্টোবর ২০২৫: গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকার মানুষের স্বা¯’্য ও কল্যাণ উন্নয়নের লক্ষ্যে রবি আজিয়াটা পিএলসি ও গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে বান্দরবানের থানচি উপজেলার ওয়াকচাকু পাড়ায় নিরাপদ পানীয়জলের সুবিধা নিশ্চিত করেছে। রবির সিএসআর স্বা¯’্য উদ্যোগ ও টেকসই সম্প্রদায় উন্নয়নের প্রতিশ্রæতির অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে এই কার্যক্রম।
দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকচাকু পাড়ায় তীব্র পানির সংকট ছিল। এখন এই প্রকল্পের আওতায় ১৩৪ জন স্কুলশিক্ষার্থীসহ ৪১৭ জন বাসিন্দা সারা বছর সুপেয় পানির সুবিধা পা”েছন।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে দুটি ৫,০০০ লিটার ধারণক্ষমতার রিজার্ভার এবং ২,৫০০ ফুট দীর্ঘ পাইপলাইন ¯’াপন করা হয়েছে যা পাহাড়ি ঢালুর সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে পানি সরবরাহ ব্যব¯’া নিশ্চিত করেছে। এই ব্যব¯’ায় প্রাকৃতিকভাবে পানি পরিশোধন হয় এবং বর্ষাকালেও পানির সরবরাহ নির্বিঘœ থাকে।
এখন ১,৫০০ ফুট উঁচু পাহাড়ে উঠে অনিরাপদ উৎস থেকে পানি আনতে হয় না বলে পানি সংগ্রহের সময় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে এসেছে। ফলে বেঁচে যাওয়া সময়টুকু শিক্ষা, কর্মসং¯’ান ও গৃহ¯’ালি কাজে ব্যয় করতে পারছেন বাসিন্দারা। পাশাপাশি ডায়রিয়া, টাইফয়েড, কলেরা ও আমাশয়ের মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
রবি আজিয়াটা পিএলসির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, “নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা শুধু মৌলিক চাহিদা নয়; এটি স্বা¯’্য, শিক্ষা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের ভিত্তি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে পাশে থাকতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ রবি। এই প্রকল্প আমাদের সেই প্রতিশ্রæতিরই প্রতিফলন।”
গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ ফাহমি বলেন, “সৃজনশীল প্রকৌশল সমাধান এবং ¯’ানীয় জনগণের অংশগ্রহণে আমরা এমন একটি টেকসই পানির ব্যব¯’া তৈরি করেছি, যা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।”
এই প্রকল্প জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সুস্বা¯’্য ও কল্যাণ এবং বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন-এর সাথে সরাসরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। রবি একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান যারা টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য কার্যকর ভ‚মিকা রাখছে; এই উদ্যোগ তেমনই একটি পদক্ষেপ।