মোটরসাইকেল আমাদের অনেকের কাছেই খুব জনপ্রিয় একটি বাহন। প্রতিদিনকার চলার পথে রাস্তার ঝামেলা, গণপরিবহন ওঠার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকেন। আর বাইকারের জন্য বচেয়ে জরুরি হেলমেট। তাছাড়া বাইকপ্রেমীদের ভালো স্টাইলিশ হেলমেটের দিকেও নজর থাকে।
হেলমেট ব্যবহার করলে আমাদের দুর্ঘটনায় অনেকটাই নিরাপদ রাখতে পারে। এছাড়া হেলমেটের কাচটা নামিয়ে পরলে ধুলোবালি সরাসরি চোখে-নাকে ঢুকতে পারে না। তবে বুঝে শুনে ভালো মানের হেলমেট কিনে নিজেকে নিরাপদে রেখে মোটরসাইকেলের আনন্দ উপভোগ করুন। তাই হেলমেট কেনার সময় কয়েকটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক হেলমেট কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি সে সম্পর্কে-
দেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের হেলমেট পাওয়া যায়। তার প্রায় ৮০ ভাগই আমদানি করা। ঢাকায় মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ কেনার আদর্শ স্থান হচ্ছে বংশাল, মিরপুর-১০ ও বাংলামোটর। বাজারে প্রচলিত হেলমেটগুলোর মধ্যে এইচজেসি, এক্সিস, সিএসবি, এক্সোর, এমটি, এলএসটু, শার্ক, ইয়োহি, এইরোহ, স্কোরপিয়ন, ভেগা, এসএমকে, স্টিলবার্ড, স্টুডস, অ্যারোস্টার ইত্যাদি জনপ্রিয়।
হেলমেট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মতে, হেলমেট কেনার সময় প্রথমেই দেখতে হবে নিরাপত্তার বিষয়টি। এরপর হেলমেটটি আরামদায়ক ও মানানসই কিনা, তা যাচাই করতে হবে।
একটি হেলমেট কতটুকু নিরাপদ, তা যাচাই করার বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বা সার্টিফিকেশন আছে। আন্তর্জাতিক সনদ থাকলেও আমাদের দেশের বাজারে হেলমেট বিক্রির আগে স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বা বিএসটিআই থেকেও সনদ নিতে হয়। গ্রাহককে যে কোনো একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সনদ দেখে হেলমেট কেনা উচিত।
হেলমেটটি আরামদায়ক কিনা, সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, মুখের আকারের সঙ্গে মানানসই ও আরামদায়ক না হলে, মোটরসাইকেল চালানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
হেলমেটের তিনটি প্রধান অংশ থাকে-শেল বা বহিরাবরণ, প্যাডিং বা ভেতরের নরম অংশ এবং মুখের সামনের ঢাকনা।
এর মধ্যে ভালো মানের বহিরাবরণগুলো পলিকার্বনেট, গ্লাস ও কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়। তবে এগুলোর দাম বেশি। আর বাজারের নিম্নমানের হেলমেটগুলো সাধারণ প্লাস্টিকের উপাদান দিয়ে তৈরি হয়, তবে তা অনিরাপদ ও দামে কম।
হেলমেটের দরদাম সম্পর্কে এবার জেনে নেয়া যাক। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সনদ পাওয়া ভালো মানের হেলমেটগুলো আড়াই হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
আর প্রিমিয়াম মানের হেলমেটগুলোর দাম সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দামের মধ্যে যেসব হেলমেট আছে, তাদের অধিকাংশের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সনদ নেই। আর এক হাজার টাকার কম দামে যেসব হেলমেট বাজারে পাওয়া যায়, সেসব হেলমেট একদমই নিরাপদ নয়।
সূএ: ডেইলি-বাংলাদেশ