ধীরে ধীরে গন্ধবিচারের ক্ষমতা হারাবে মানুষ, জানালো গবেষণা

করোনার অন্যতম উপসর্গ ছিল স্বাদ এবং গন্ধের বোধ চলে যাওয়া। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই উপসর্গ না থাকলেও ডেল্টার ক্ষেত্রে ছিল। সম্প্রতি এক নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে, মানবজাতি হয়তো ধীরে ধীরে গন্ধবিচার করা ভুলেই যাবে। 

 

গবেষণায় জানা গেছে, মানুষ দুই রকম সেন্ট রিসেপ্টর অর্থাৎ গন্ধের স্নায়বিক সিগন্যাল বোঝার যন্ত্র বহন করছে। বায়ুবাহিত কেমিক্যাল যা আমাদের নাকে ঢোকে তা বোঝে অলফ্যাক্টরি রিসেপ্টরগুলো। কিন্তু এই রিসেপ্টরগুলো এক এক মানুষের ক্ষেত্রে এক এক রকম।

 

যে কোনও দুইজন মানুষের মধ্যে গন্ধ বিচারের জিনের তফাত অন্তত ৩০ শতাংশ। ২০১৩ সালের এক গবেষণাতেই এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছিল। এই কারণেই একজনের কাছে যেটা বদগন্ধ সেটা অন্যের কাছে সুগন্ধ।

 

সম্প্রতি নতুন গবেষণায় ১০০০ হান সম্প্রদায়ের চীনা মানুষ এবং নিউ ইয়র্কের ৩৬৪ জন জাতিগত ভাবে আলাদা মানুষের ওপর সমীক্ষা চালালেন সাংহাই ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড হেলথের বিজ্ঞানী বিঞ্জি লি এবং তার সহকর্মীরা।

 

দুই ধরনের লোকদের ১০ রকম গন্ধ শুঁকতে দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্তত দুইটি গন্ধ ছিল যা বেশিরভাগ মানুষ সহজে বুঝতে পারে না। যেমন- গ্যালাক্সোলাইড নামে একটি সিন্থেটিক মাস্ক যার অণুর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে মানুষের বগলের গন্ধের।

 

এই সমীক্ষা থেকে লব্ধ তত্ত্ব বলছে- যুগের সঙ্গে মানুষের গন্ধবিচারের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। কারণ গন্ধ বোঝার রিসেপ্টরের জিনে হয়েছে পরিবর্তন। অবশ্য এই তত্ত্বকে যে সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন তা নয়।   সূত্র- সায়েন্স এলার্ট। 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা এক মণ্ডপে ২০০-র বেশি প্রতিমা-বিগ্রহ! লাখো ভক্তের সমাগমের প্রস্তুতি

» সিটি ব্যাংক ও গার্ডিয়ানের অংশীদারিত্বে প্রথমবারের মত ব্যাংকিং অ্যাপ থেকে ইন্স্যুরেন্স পলিসি কিনতে পারবেন গ্রাহকেরা

» ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিজিটাল বীমা পলিসি ডক্যুমেন্ট প্রদানের সেবা চালু করল মেটলাইফ বাংলাদেশ

» নওগাঁয় মহিলাসহ ৪ ভুয়া পুলিশ আটক

» প্রাইম ব্যাংক ও প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স-এর মধ্যে পেরোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষর

» ইসির ২ আইন সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন

» কল্কির সিক্যুয়েল থেকেও বাদ পড়লেন দীপিকা

» সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

» বাংলাদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করেছে: টুকু

» বায়তুল মোকাররম এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ শুরু

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ধীরে ধীরে গন্ধবিচারের ক্ষমতা হারাবে মানুষ, জানালো গবেষণা

করোনার অন্যতম উপসর্গ ছিল স্বাদ এবং গন্ধের বোধ চলে যাওয়া। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই উপসর্গ না থাকলেও ডেল্টার ক্ষেত্রে ছিল। সম্প্রতি এক নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে, মানবজাতি হয়তো ধীরে ধীরে গন্ধবিচার করা ভুলেই যাবে। 

 

গবেষণায় জানা গেছে, মানুষ দুই রকম সেন্ট রিসেপ্টর অর্থাৎ গন্ধের স্নায়বিক সিগন্যাল বোঝার যন্ত্র বহন করছে। বায়ুবাহিত কেমিক্যাল যা আমাদের নাকে ঢোকে তা বোঝে অলফ্যাক্টরি রিসেপ্টরগুলো। কিন্তু এই রিসেপ্টরগুলো এক এক মানুষের ক্ষেত্রে এক এক রকম।

 

যে কোনও দুইজন মানুষের মধ্যে গন্ধ বিচারের জিনের তফাত অন্তত ৩০ শতাংশ। ২০১৩ সালের এক গবেষণাতেই এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছিল। এই কারণেই একজনের কাছে যেটা বদগন্ধ সেটা অন্যের কাছে সুগন্ধ।

 

সম্প্রতি নতুন গবেষণায় ১০০০ হান সম্প্রদায়ের চীনা মানুষ এবং নিউ ইয়র্কের ৩৬৪ জন জাতিগত ভাবে আলাদা মানুষের ওপর সমীক্ষা চালালেন সাংহাই ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড হেলথের বিজ্ঞানী বিঞ্জি লি এবং তার সহকর্মীরা।

 

দুই ধরনের লোকদের ১০ রকম গন্ধ শুঁকতে দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্তত দুইটি গন্ধ ছিল যা বেশিরভাগ মানুষ সহজে বুঝতে পারে না। যেমন- গ্যালাক্সোলাইড নামে একটি সিন্থেটিক মাস্ক যার অণুর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে মানুষের বগলের গন্ধের।

 

এই সমীক্ষা থেকে লব্ধ তত্ত্ব বলছে- যুগের সঙ্গে মানুষের গন্ধবিচারের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। কারণ গন্ধ বোঝার রিসেপ্টরের জিনে হয়েছে পরিবর্তন। অবশ্য এই তত্ত্বকে যে সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন তা নয়।   সূত্র- সায়েন্স এলার্ট। 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com