অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : ”দেশে কতো সরকার আইলো আর গ্যালো, মোগো ব্রিজটা আর অইলো না। মোরা পঁয়ত্রিশ বছর ধইরা এই ব্রিজটা লইয়া দূর্ভোগ
পোহাইতেছি। এহন এলাকার পোলাপাইনে (কাঠ) হাঁটার লাইগ্যা তক্তা দিয়া পোলের (ব্রিজের) ব্যব¯’া করছে।” কথাগুলো বললেন আগৈলঝাড়া উপজেলার রাহুৎপাড়া গ্রামের ৭৫ বছরের বৃদ্ধ অমল হালদার।
¯’ানীয়সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রাহুৎপাড়া ও কাঠিরা দুই গ্রামের সংযোগ¯’লে ডা. প্রশান্ত রায়ের বাড়ি সংলগ্ন খালের উপর কাঠের ব্রিজ।
উপজেলার কালুরপাড়-রাহুৎপাড়া-রামের বাজার খালের উপরে রাহুৎপাড়া- কাঠিরা গ্রামের সংযোগ¯’ল ডা: প্রশান্ত রায়ের বাড়ি সংলগ্ন জরাজীর্ণ কাঁঠের একটি ব্রিজ। ওই কাঁঠের ব্রিজটি প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে তৈরি করা হয়েছিল। ওই ব্রিজ দিয়ে পাঁচটি গ্রামের জনগণ উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করে থাকেন।
ব্রিজের কাঠ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। খালের দুই পাড়ের হাজারো শিক্ষার্থী, শ্রমিক, কৃষক ও সাধারণ মানুষ এই ব্রিজ দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করে
থাকেন।
পূর্ব কাঠিরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কালীপদ রায় বলেন, একটি ব্রিজের কারণে রাহুৎপাড়া-কাঠিরা সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। এখানে রয়েছে একটা মিশনারী স্কুল, শ্রীশ্রী হরি ঠাকুরের মন্দির ও একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. প্রশান্ত রায়ের বাড়ি থাকায় অনেক রোগী আসা যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমবে।
¯’ানীয় আয়কর আইনজীবি সমীরণ রায় জানান, ব্রিজটির কাঠ নষ্ট হয়ে দীর্ঘদিন মানুষ চলাচল করতে পারছেনা। এলাকার যুবসমাজ এই ব্রিজটি কাঠ দিয়ে সংস্কার করেছে পায়ে হেঁটে চলাচল করার জন্য।
কিš‘ এখান দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। সরকারের কাছে আমরা দাবি জানা”িছ- অচিরেই এখানে ব্রিজটি নির্মাণ করার জন্য।
আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র নাথ চক্রবর্তী জানান, আমি বিষয়টি জেনেছি। ওই এলাকা থেকে ব্রিজের জন্য লিখিত আবেদন করা হলে আমি তদন্ত করে উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানাবো।
ব্রিজটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্মাণ করা হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী আফিসার লিখন বণিক জানান, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি। আমি উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করে জনস্বার্থে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ব্যব¯’া নেবো।