জানা গেছে দেশটিতে আইনি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে অপো আর ওয়ানপ্লাস। সম্প্রতি অপোর বিরুদ্ধে পেটেন্ট আইন ভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল নোকিয়া। ম্যানহাইম স্থানীয় আদালত নোকিয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে। অপো ছাড়াও ওয়ানপ্লাসের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তুলেছিল ফিনল্যান্ডের কোম্পানিটি। দুই সংস্থার বিরুদ্ধেই আদালতে জয় পেয়েছে তারা।
২০২১ সালে এই দুই কোম্পানির সঙ্গে আলোচনায় সমাধান না পেয়ে চারটি দেশে আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নোকিয়া। আদালতের সিদ্ধান্তে জার্মানিতে অপো আর ওয়ানপ্লাস কোম্পানির ফোন বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রথম মামলায় নোকিয়া জিতলেও এই দুই কোম্পানির মধ্যে লম্বা আইনি লড়াই চলতে থাকবে। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অপো ও ওয়ানপ্লাস ফোন বিক্রি বন্ধ থাকবে জার্মানিতে। যদি পরবর্তী মামলা অপো আর ওয়ানপ্লাসের পক্ষে যায় তবে আবারও ফোন বিক্রি করতে পারবে তারা।
কেন মামলা করেছে নোকিয়া?
২০২১ সালে অপোর বিরুদ্ধে পেটেন্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিল নোকিয়া। সেই সময় ফ্রান্স, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সহ ইউরোপ ও এশিয়ার একাধিক দেশে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিল ফিনল্যান্ডের সংস্থাটি। নোকিয়ার অভিযোগ, কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়া অপো স্মার্টফোনে ওয়াইফাই স্ক্যানিংয়ের এমন প্রযুক্তিও ব্যবহার হয়েছিল যে পেটেন্ট নোকিয়ার দখলে রয়েছে।
কী বলছে অপো?
চীনা কোম্পানি অপো বলেছে, নিজেদের ও তৃতীয় পক্ষের ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটসকে সম্মানের সাথে রক্ষা করে তারা। ইন্ডাস্ট্রি পেটেন্ট লাইসেন্সিং সহযোগিতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের কোম্পানি। নোকিয়ার এই মামলাকে ‘অন্যায্য’ বলে অভিহিত করেছে চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাটি।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও পেটেন্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে নোকিয়ার আইনি পদক্ষেপের ফলে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা দিয়েছিল অ্যাপল। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত ও জার্মানিতে লেনেভোর বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিল তারা। ২০২২ সালের এপ্রিলে দুই কোম্পানি বসে সমস্যার সমাধান করেছিল।
সূএ: ঢাকা মেল ডটকম