রেল স্টেশন থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
রোববার সকালে সিলেট রেল স্টেশন ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিলে সিলেট রেল স্টেশনও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিকে মধ্যরাত থেকে কমতে শুরু করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বন্যার পানি।
সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিলোরোড, বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, মেয়েদের দুই হল, প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। যেসব জায়গায় কোমরপানি ছিল, তা এখন হাঁটুপানিতে নেমে এসেছে। তবে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢল আর অতি ভারী বৃষ্টিতে নদনদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো বিস্তৃতি ঘটেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগীয় কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে ০১৭১৬২৬০২১১ এবং ০১৭১৫৫০০৮৩৯ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দুই জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। সিলেটের সবকটি উপজেলা ও অর্ধেক শহর, সুনামগঞ্জের উপজেলা ও পৌর শহর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক ও সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু রহমান মহাসড়ক। দুই জেলায় শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।