কবুতরের মাংস শারীরিক যেসব সমস্যার সমাধান করে

কবুতরের মাংসের স্বাদ মুরগির মাংসের চেয়ে আরও সুস্বাদু। আকারে ছোট হলেও কবুতরের মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে, যা গরুর মাংসের কাছাকাছি। এতে থাকা প্রোটিনের মান ১০০ গ্রামে ১৭.৫ গ্রাম, যা গরুর মাংসের কাছাকাছি ১০০ গ্রামে ১৮.৮ গ্রাম।

এমনকি এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও বেশি থাকে মুরগির মাংসের চেয়ে। একটি কবুতরের মাংসে আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন বি ১২ থাকে।

 

এসব উপাদান আমাদের মস্তিষ্ক ও ত্বকের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনকেও উন্নত করে। আবার কবুতরের মাংস দ্রুত রান্নাও করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কবুতরের মাংস খাওয়ার উপকারিতাসমূহ-

 

> কবুতরের মাংসে থাকা প্রোটিন শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি বিপাক ক্রিয়া উন্নত হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, চুল ও নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, শরীর আরও এনজাইম তৈরি করতে পারে ফলে ক্লান্তি কমে।

 

>> কবুতরের মাংসে উচ্চ খনিজ উপাদান আছে। বিভিন্ন খনিজগুলোরর মধ্যে অন্যতম হলো সেলেনিয়াম। যা ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে, থাইরয়েডের কার্যকারিতা বাড়ায়, রিউম্যাটিড আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমায়, পেশি ব্যথা কমায়, ত্বক ও চুলের বিবর্ণতা রোধ করে। এমনকি ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে নিয়মিত কবুতরের মাংস খেলে।

 

কবুতরের মাংসে যথেষ্ট পরিমাণ জিঙ্ক থাকে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আঁচিলের মতো চর্মরোগ প্রতিরোধ করে, কোষ বৃদ্ধি সমর্থন করে, দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে, গন্ধের অনুভূতি বাড়াতে, রক্তে শর্করার মাত্রা ও ক্ষুধা কমাতে, বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, বিষণ্নতা কমায় ও শিশুদের বিকাশ উন্নত করে।

 

কবুতরের মাংস আমাদের অঙ্গ ও রক্তের জন্যও ভালো। এর উচ্চ প্রোটিন ও খনিজ লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে, স্মৃতি ও বুদ্ধি বাড়ায়, রক্তচাপ কমানো, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।

 

কবুতরের মাংস ছাড়াও এর লিভার ও হাড়েও অনেক উপকারিতা আছে। কবুতরের লিভারে কোলিন থাকে যা শরীরে ভালো কোলেস্টেরলেল পরিমাণ বাড়ায় ও এথেরোস্ক্লেরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে (একটি রোগ যাতে আপনার ধমনীতে ফলক তৈরি হয়)।

 

এই পাখির হাড়ের মধ্যে এমন একটি পদার্থ আছে যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় ও রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

কবুতরের মাংসে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে

কবুতরের মাংস স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হলেও এর চামড়া বেশি চর্বিযুক্ত। তাই অতিরিক্ত কবুতরের মাংস খাওয়া উচিত নয়। অবশ্যই পরিমাণ মেপে তবেই খান কবুতরের মাংস।

সূত্র: ডা. হেলথ বেনিফিটস/দ্য গার্ডিয়ান

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে: নানক

» ভবিষ্যৎ মহামারি সামাল দিতে বিশ্বের জন্য দৃঢ় নেতৃত্ব প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী

» অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

» রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে আইওএম

» জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করলো নির্বাচন কমিশন

» থ্রি-জি সেবা বন্ধ করেছে বাংলালিংক

» লক্ষ্মীপুরে সয়াবিন উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বিক্রির টার্গেট ৫০০ কোটি টাকা

» ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে কালেকশন বুথ চালু করল ব্র্যাক ব্যাংক

» উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় চারটি ইউনিয়নের সকল ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপুন

» বজ্রপাতে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় ত্রুটি, ৩ কিলোমিটার যানজট

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কবুতরের মাংস শারীরিক যেসব সমস্যার সমাধান করে

কবুতরের মাংসের স্বাদ মুরগির মাংসের চেয়ে আরও সুস্বাদু। আকারে ছোট হলেও কবুতরের মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে, যা গরুর মাংসের কাছাকাছি। এতে থাকা প্রোটিনের মান ১০০ গ্রামে ১৭.৫ গ্রাম, যা গরুর মাংসের কাছাকাছি ১০০ গ্রামে ১৮.৮ গ্রাম।

এমনকি এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও বেশি থাকে মুরগির মাংসের চেয়ে। একটি কবুতরের মাংসে আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন বি ১২ থাকে।

 

এসব উপাদান আমাদের মস্তিষ্ক ও ত্বকের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনকেও উন্নত করে। আবার কবুতরের মাংস দ্রুত রান্নাও করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কবুতরের মাংস খাওয়ার উপকারিতাসমূহ-

 

> কবুতরের মাংসে থাকা প্রোটিন শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি বিপাক ক্রিয়া উন্নত হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, চুল ও নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, শরীর আরও এনজাইম তৈরি করতে পারে ফলে ক্লান্তি কমে।

 

>> কবুতরের মাংসে উচ্চ খনিজ উপাদান আছে। বিভিন্ন খনিজগুলোরর মধ্যে অন্যতম হলো সেলেনিয়াম। যা ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে, থাইরয়েডের কার্যকারিতা বাড়ায়, রিউম্যাটিড আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমায়, পেশি ব্যথা কমায়, ত্বক ও চুলের বিবর্ণতা রোধ করে। এমনকি ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে নিয়মিত কবুতরের মাংস খেলে।

 

কবুতরের মাংসে যথেষ্ট পরিমাণ জিঙ্ক থাকে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আঁচিলের মতো চর্মরোগ প্রতিরোধ করে, কোষ বৃদ্ধি সমর্থন করে, দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে, গন্ধের অনুভূতি বাড়াতে, রক্তে শর্করার মাত্রা ও ক্ষুধা কমাতে, বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, বিষণ্নতা কমায় ও শিশুদের বিকাশ উন্নত করে।

 

কবুতরের মাংস আমাদের অঙ্গ ও রক্তের জন্যও ভালো। এর উচ্চ প্রোটিন ও খনিজ লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে, স্মৃতি ও বুদ্ধি বাড়ায়, রক্তচাপ কমানো, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।

 

কবুতরের মাংস ছাড়াও এর লিভার ও হাড়েও অনেক উপকারিতা আছে। কবুতরের লিভারে কোলিন থাকে যা শরীরে ভালো কোলেস্টেরলেল পরিমাণ বাড়ায় ও এথেরোস্ক্লেরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে (একটি রোগ যাতে আপনার ধমনীতে ফলক তৈরি হয়)।

 

এই পাখির হাড়ের মধ্যে এমন একটি পদার্থ আছে যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় ও রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

কবুতরের মাংসে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে

কবুতরের মাংস স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হলেও এর চামড়া বেশি চর্বিযুক্ত। তাই অতিরিক্ত কবুতরের মাংস খাওয়া উচিত নয়। অবশ্যই পরিমাণ মেপে তবেই খান কবুতরের মাংস।

সূত্র: ডা. হেলথ বেনিফিটস/দ্য গার্ডিয়ান

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com