ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার বতিহালা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. উজ্জল মিয়া হত্যা মামলায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ডের ও ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-নওশাদ, শাহাবুদ্দিন ও সবুজ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মরম, মহিম, কারিম, জসিম, মিয়া হোসেন ও জালাল উদ্দিন।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- ইসলাম, এমদাদুল, কুদ্রত আলী ও হাছেন আলী। এ মামলার আরেক আসামি রশিদ মামলার বিচার চলাকালে মারা যান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ব্যবসায়ী উজ্জল মিয়ার সঙ্গে আসামিদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ রাত ৯ টার দিকে পাশের এলাকা থেকে বার্ষিক দোলযাত্রা মেলা থেকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন উজ্জল মিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন নজর আলী ও কালাম। বতিহালা এবতেদায়ী মাদরাসার কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামিরা উজ্জলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে মারাত্মক জখম করে, দুই পা ভেঙে দেয়। উজ্জলের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। উজ্জলকে ধোবাউড়া হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় উজ্জলেল বড় ভাই কুদরত আলী ধোবাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল চন্দ্র সরকার।
২০১৫ সালের ২৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন সাক্ষ্য দেন।