ফেরি সংকটে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ঘাটে ঢাকামুখী যানবাহনের দীর্ঘ সরি তৈরি হয়েছে। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়ার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের অন্তত ছয় কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। ফলে ফেরির নাগাল পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন যাত্রী ও চালকরা।
ঢাকামুখী যাত্রী আলমাস ও হিরন মিয়াসহ কয়েকজন জানান, তারা কেউ ভোর আবার কেউ সকাল ৮টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে আটকা পড়েছেন। দুপুর পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে পারেননি। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বাসের বাইরে এসে ঘুরাফেরা করছেন। ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন, এখন ঘাটের এ অবস্থা হলে তখন কী হবে। ফেরি বাড়ানো ও পুলিশের সঠিক তদারকি হলে হয় তো ভোগান্তি কমবে।
ট্রাকচালক রুবেল ও সুমন বলেন, তরমুজ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ভোরে রওনা হলেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফেরি পাইনি। কখন পাবো তাও বলতে পারছি না। গরমে কিছু তরমুজ ফেটে পানি পড়ছে। আর যেগুলো ভাল আছে সেগুলোর অবস্থাও ভালো না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জাগো নিউজকে বলেন, আজ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় ১৯ টি ফেরির মধ্যে ১৬ টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। দুটি ফেরি পাটুরিয়া ভাসমান কারখানা ও একটি ফেরি নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। ঈদের আগে ও পরে কয়েকদিন পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। এ কারণে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বেড়ে দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।