জাবিতে বটতলার খাবারের দোকানে সন্দেহজনক মাংসের সন্ধান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বটতলার জান্নাতুল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে সন্দেহজনক মাংস পাওয়া গেছে। শনিবার (২ এপ্রিল) জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা রাত ৯ টার দিকে বটতলার খাবারের দোকানগুলো তদারকি করার সময় এ সন্দেহজনক মাংস পাওয়া যায়।

 

মাংসগুলো দোকানের পিছনে প্রক্ষালন কক্ষের পাশে একটি ছোট বালতির মধ্যে রাখা ছিল। পরবর্তীতে মাংশগুলো পাওয়া গেলে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেল একটি মাংস খেয়ে অস্বস্তি বোধ করেন। পরবর্তীতে হোটেল মালিক আব্দুল লতিফকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞসাবাদ করা হলে তিনি সন্দেহজনক কথাবার্তা বলতে শুরু করেন।

 

তিনি প্রথমে বলেন, ‘মাংসগুলো কার আমি জানিনা। হোটেলে মাংসগুলো কোথা থেকে আসলো সেটিও জানি না।’ পরবর্তীতে পাশের দোকানের রাধুনি বিষয়টি নিশ্চিত করলে চাপের মুখে মাংসগুলো তার দোকানের বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আসলে মাংসগুলো আমি শিক্ষার্থীদের খাওয়াতাম না। এগুলো আমি আমার কর্মচারীদের খাওয়ানোর জন্য রাখছি।

 

‘ পরে তার কাছ থেকে কিছু মাংস নমুনা হিসেবে চাইলে সে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সে বলে মাংস দিলে আমার ব্যাবসার ক্ষতি হবে। মূলত তার আচরণেই এই মাংসের প্রতি সবার সন্দেহ জাগে। পরবর্তীতে কিছু মাংস নমুনা হিসেবে নেওয়া হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্টের মাধ্যমে ল্যাবে পরীক্ষা করার জন্য।

 

জান্নাতুল হোটেলে পাওয়া সন্দেহজনক মাংসের ব্যাপারে কি ধরনের ব্যাবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘যে মাংস সরবরাহ করে আগামীকাল তাকে ডেকে তার সাথে কথা বলব। যে ব্যাবস্থা নিলে দোকানিরা ভেজাল খাবার খাওয়াবে না, হল প্রশাসনের সাথে কথা বলে আমরা সেই ধরনের ব্যাবস্থা নিব। দরকার হলে তাদের লিজ বাতিল করার ব্যবস্থা করবো।জাবি ছাত্রলীগ শুধু রমজান উপলক্ষে না, সারাবছরই এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

 

এসময় জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘খাবার আমাদের জীবনের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাবারে ভেজাল থাকলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণ শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা করে আমরা চাই যে আমাদের খাবারটা যেন স্বাস্থ্যকর হয়। আমরা এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে চালিয়ে যাব। আর তারা আমাদের কথা না শুনলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নিব।’ সূএ:বিডি২৪লাইভ ডট কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিএনপি ছাড়া কিছু রাজনৈতিক দল চাইছে নির্বাচন পেছাতে : রুমিন ফারহানা

» ক্ষমতায় এলে প্রথমে গুমের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করা হবে : সালাহউদ্দিন

» বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৫১৫ জন গ্রেফতার

» আ.লীগ ও জাপার হামলায় আহত রাশেদ খান, নেওয়া হলো হাসপাতালে

» ওসমান হাদীর পোস্টে সারজিস লিখলেন, ‘এ লড়াই আপনার একার নয়’

» গণঅধিকার পরিষদের শতাধিক নেতাকর্মীর পদত্যাগ

» দেশের মানুষ পেশিশক্তির রাজনীতি আর দেখতে চায় না : তাসনিম জারা

» নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে এবি পার্টির কড়া অভিযোগ

» চীনকে যতটা উন্নত ভাবি তার চেয়েও অনেক বেশি উন্নত: সারজিস

» বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে উৎসবমুখর বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ–শরণখোলা)আসন    

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

জাবিতে বটতলার খাবারের দোকানে সন্দেহজনক মাংসের সন্ধান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বটতলার জান্নাতুল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে সন্দেহজনক মাংস পাওয়া গেছে। শনিবার (২ এপ্রিল) জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা রাত ৯ টার দিকে বটতলার খাবারের দোকানগুলো তদারকি করার সময় এ সন্দেহজনক মাংস পাওয়া যায়।

 

মাংসগুলো দোকানের পিছনে প্রক্ষালন কক্ষের পাশে একটি ছোট বালতির মধ্যে রাখা ছিল। পরবর্তীতে মাংশগুলো পাওয়া গেলে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেল একটি মাংস খেয়ে অস্বস্তি বোধ করেন। পরবর্তীতে হোটেল মালিক আব্দুল লতিফকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞসাবাদ করা হলে তিনি সন্দেহজনক কথাবার্তা বলতে শুরু করেন।

 

তিনি প্রথমে বলেন, ‘মাংসগুলো কার আমি জানিনা। হোটেলে মাংসগুলো কোথা থেকে আসলো সেটিও জানি না।’ পরবর্তীতে পাশের দোকানের রাধুনি বিষয়টি নিশ্চিত করলে চাপের মুখে মাংসগুলো তার দোকানের বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আসলে মাংসগুলো আমি শিক্ষার্থীদের খাওয়াতাম না। এগুলো আমি আমার কর্মচারীদের খাওয়ানোর জন্য রাখছি।

 

‘ পরে তার কাছ থেকে কিছু মাংস নমুনা হিসেবে চাইলে সে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সে বলে মাংস দিলে আমার ব্যাবসার ক্ষতি হবে। মূলত তার আচরণেই এই মাংসের প্রতি সবার সন্দেহ জাগে। পরবর্তীতে কিছু মাংস নমুনা হিসেবে নেওয়া হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্টের মাধ্যমে ল্যাবে পরীক্ষা করার জন্য।

 

জান্নাতুল হোটেলে পাওয়া সন্দেহজনক মাংসের ব্যাপারে কি ধরনের ব্যাবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘যে মাংস সরবরাহ করে আগামীকাল তাকে ডেকে তার সাথে কথা বলব। যে ব্যাবস্থা নিলে দোকানিরা ভেজাল খাবার খাওয়াবে না, হল প্রশাসনের সাথে কথা বলে আমরা সেই ধরনের ব্যাবস্থা নিব। দরকার হলে তাদের লিজ বাতিল করার ব্যবস্থা করবো।জাবি ছাত্রলীগ শুধু রমজান উপলক্ষে না, সারাবছরই এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

 

এসময় জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘খাবার আমাদের জীবনের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাবারে ভেজাল থাকলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণ শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা করে আমরা চাই যে আমাদের খাবারটা যেন স্বাস্থ্যকর হয়। আমরা এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে চালিয়ে যাব। আর তারা আমাদের কথা না শুনলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নিব।’ সূএ:বিডি২৪লাইভ ডট কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com