চুয়াডাঙ্গায় পাত্র সেজে পাত্রীর বাড়িতে গিয়ে গ্যাড়াকলে পড়েছে সোহেল রানা হিমেল (২৬) নামে এক ভুয়া পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শেখপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার নীচের বাজারের মুদি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম মানিক মঙ্গলবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার সোহেল রানা হিমেল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আমবাড়িয়া মন্ডলপাড়ার তিজারত মন্ডলের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোহেল রানা হিমেল চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে থাকা অবস্থায় আরেক আসামি আব্বাস হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয়। আব্বাস সম্পর্কে তার কাছে তথ্য থাকার কারণে কারাগার থেকে জামিন পেয়ে ২৮ মার্চ সোমবার দুপুরে জহুরুল ইসলামের ছোট ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি আলমডাঙ্গার ছত্রপাড়ার রিয়াজুলের বাড়িতে যায় হিমেল। তিনি জহুরুলের ছোট ভাই আব্বাস হোসেন নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জেলে থাকায় ছোট ভাইকে মুক্ত করে দেয়ার কথা বলেন।
হিমেল বলেন, আমি ওই মামালার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন। আমি আব্বাসকে ওই মামলা থেকে বেকসুর খালাস করিয়ে দেবো। খরচ বাবদ ১২ হাজার টাকা দিতে হবে। মঙ্গলবার বিকালে হিমেল টাকা নিতে জহুরুলের দোকানে যায়। এ সময় গল্পের ছলে তিনি নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে মেয়ে দেখার কথা বলেন। যেহেতু জহুরুলের মেয়ে অবিবাহিত তাই তার মেয়েকে দেখাতে হিমেলকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় হিমেলের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
পরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় গ্রেপ্তার হিমেলের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই মোটরসাইকেলটি ঝিনাইদহ থেকে চুরি করে নিয়ে আসেন হিমেল।
এ বিষয় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, গ্রেপ্তার সোহেল রানা হিমেল একাধিক মামলার আসামি। কয়েকদিন আগে পুলিশের পোশাক পরে ঝিনাইদহ থেকে একটি মোটরসাকেল চুরি করে নিয়ে আসেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।