ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : বেশ কয়েক সপ্তাহের টানাপোড়েন শেষে অবশেষে বরফ গলল। বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোদির ৭৫তম জন্মদিনের একদিন আগে এই ফোনালাপকে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের এক ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলা আলোচনার পরপরই এই ফোনটি আসে। উভয় পক্ষই এই আলোচনাকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছে। ফোনালাপের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক্স-এ একটি পোস্টে নরেন্দ্র মোদিকে অসাধারণ কাজ করার জন্য ধন্যবাদ জানান। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ভারতের সমর্থনের প্রশংসা করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদি ট্রাম্পকে বন্ধু বলে উল্লেখ করেন। বলেন যে দুই দেশই তাদের অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভারতের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, ৫০ শতাংশ শুল্কের অর্ধেকই হলো রাশিয়ার তেল ও অস্ত্র কেনার জন্য ভারতের ওপর আরোপিত জরিমানা। ভারত অবশ্য নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছিল এবং অভ্যন্তরীণ জ্বালানি চাহিদার কথা তুলে ধরে শুল্ককে অন্যায় বলে আখ্যা দিয়েছিল। এই তিক্ত বাক্যবিনিময়ের ফলে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনাও থমকে গিয়েছিল।
তবে মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে শুরু করে। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চের নেতৃত্বে একটি দল দিল্লিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। যদিও এই বৈঠককে পরবর্তী দফার আলোচনার শুরু হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি, তবুও এটিকে কীভাবে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, ট্রাম্প একদিকে যেমন ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন, তেমনি তিনি ভারতের ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্ক প্রত্যাহার করেননি। এমনকি গত সপ্তাহে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চীন এবং ভারতের ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের আহ্বান জানান, যাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করা যায়। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরপরই ভারত জানায়, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বড় অংশ চূড়ান্ত করার খুব কাছাকাছি রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি