ডায়াবেটিক রোগীদের যে ফলগুলো এড়িয়ে চলা উচিত

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  সব ফলই স্বাস্থ্যকর। এ কথা যেমন সত্য, তেমনি এটাও সত্য যে ডায়াবেটিক ও প্রি-ডায়াবেটিকে আক্রান্তদের জন্য সব ফল উপযোগী নয়। অনেক ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হওয়ায় সেগুলো রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।

 

তবে এর মানে এই নয় যে ডায়াবেটিক রোগীদের সব ফল থেকে দূরে থাকতে হবে। বরং কিছু নির্দিষ্ট ফল এড়িয়ে গিয়ে কম জিআই এবং বেশি ফাইবারযুক্ত ফল খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি ফল যেগুলো ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলা উচিত, এবং কোন বিকল্প ফলগুলো হতে পারে উপকারী—

 

আম: আমে প্রাকৃতিক চিনি, বিশেষ করে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ মাত্রাতিরিক্ত। একটি মাঝারি আমে প্রায় ৪০-৪৫ গ্রাম চিনি থাকতে পারে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সাধারণত ৫১-৬০, যা রক্তে দ্রুত শর্করা বাড়িয়ে দেয়।

 

পাকা কলা: পাকা কলায় স্টার্চ রূপান্তরিত হয় চিনিতে, ফলে এর জিআই বেড়ে যায় ৬০-এর ওপরে। এতে কার্বোহাইড্রেট বেশি, আর প্রোটিন ও ফ্যাট কম থাকায় রক্তে শর্করা হঠাৎ বাড়তে পারে।

 

চিকু: চিকুতে ১০০ গ্রামে প্রায় ২০ গ্রাম চিনি থাকে এবং এর জিআই প্রায় ৬৫-৭০। ফাইবার কম হওয়ায় এটি খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়।

 

আঙুর: ১০০ গ্রাম আঙুরে প্রায় ১৬-১৮ গ্রাম চিনি থাকে এবং জিআই ৫০-৫৯ এর মধ্যে। পাতলা খোসা ও কম ফাইবারের কারণে এটি দ্রুত রক্তে গ্লুকোজ বাড়িয়ে দেয়।

 

আনারস: আনারসের জিআই ৬৬ থেকে ৯৪ পর্যন্ত হতে পারে, যা উচ্চমাত্রার। এতে কিছু ফাইবার থাকলেও একা খেলে বা বেশি খেলে তা শর্করা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়।

 

ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা ফল খাওয়ার সময় পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক সময় বেছে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ফল খাওয়ার আগে-পরে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করার অভ্যাসও গড়ে তোলা উচিত।সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সাগর রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা

» বিগত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি চুরি হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে : প্রেস সচিব

» ছোটখাটো বিষয়ে দুই কলেজের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই: ডিসি মাসুদ আলম

» পানগুছি-বলেশ্বরের রূপালি ইলিশে জেলেপল্লীতে উৎসব, নিম্ন আয়ের মানুষ ইলিশের স্বাদ নিতে পারছে না      

» জাপানি শিক্ষকদের জন্য বাংলাদেশে জাইকার প্রশিক্ষণ আয়োজন

» ২০২৫ সালের প্রথম ৮ মাসে ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের ১০,০০০ কোটি টাকার নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধির রেকর্ড

» পঞ্চমবারের মতো গার্টনারের স্বীকৃতি পেলো হুয়াওয়ের ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক সল্যুশন

» বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি

» বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভা অনুষ্ঠিত 

» জয়পুরহাটে বিএনপির লিফলেট বিতরণ ও পথসভা

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ডায়াবেটিক রোগীদের যে ফলগুলো এড়িয়ে চলা উচিত

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  সব ফলই স্বাস্থ্যকর। এ কথা যেমন সত্য, তেমনি এটাও সত্য যে ডায়াবেটিক ও প্রি-ডায়াবেটিকে আক্রান্তদের জন্য সব ফল উপযোগী নয়। অনেক ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হওয়ায় সেগুলো রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।

 

তবে এর মানে এই নয় যে ডায়াবেটিক রোগীদের সব ফল থেকে দূরে থাকতে হবে। বরং কিছু নির্দিষ্ট ফল এড়িয়ে গিয়ে কম জিআই এবং বেশি ফাইবারযুক্ত ফল খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি ফল যেগুলো ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলা উচিত, এবং কোন বিকল্প ফলগুলো হতে পারে উপকারী—

 

আম: আমে প্রাকৃতিক চিনি, বিশেষ করে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ মাত্রাতিরিক্ত। একটি মাঝারি আমে প্রায় ৪০-৪৫ গ্রাম চিনি থাকতে পারে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সাধারণত ৫১-৬০, যা রক্তে দ্রুত শর্করা বাড়িয়ে দেয়।

 

পাকা কলা: পাকা কলায় স্টার্চ রূপান্তরিত হয় চিনিতে, ফলে এর জিআই বেড়ে যায় ৬০-এর ওপরে। এতে কার্বোহাইড্রেট বেশি, আর প্রোটিন ও ফ্যাট কম থাকায় রক্তে শর্করা হঠাৎ বাড়তে পারে।

 

চিকু: চিকুতে ১০০ গ্রামে প্রায় ২০ গ্রাম চিনি থাকে এবং এর জিআই প্রায় ৬৫-৭০। ফাইবার কম হওয়ায় এটি খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়।

 

আঙুর: ১০০ গ্রাম আঙুরে প্রায় ১৬-১৮ গ্রাম চিনি থাকে এবং জিআই ৫০-৫৯ এর মধ্যে। পাতলা খোসা ও কম ফাইবারের কারণে এটি দ্রুত রক্তে গ্লুকোজ বাড়িয়ে দেয়।

 

আনারস: আনারসের জিআই ৬৬ থেকে ৯৪ পর্যন্ত হতে পারে, যা উচ্চমাত্রার। এতে কিছু ফাইবার থাকলেও একা খেলে বা বেশি খেলে তা শর্করা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়।

 

ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা ফল খাওয়ার সময় পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক সময় বেছে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ফল খাওয়ার আগে-পরে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করার অভ্যাসও গড়ে তোলা উচিত।সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com