চ্যাটিংয়ে কেউ মিথ্যা বলছে কি না বুঝবেন যেভাবে

কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগের সময় শারীরিক ভাষা, মুখের অভিব্যক্তি, কণ্ঠস্বর সবকিছুর মাধ্যমে বোঝা যায় তিনি সত্য নাকি মিথ্যা বলছেন। তবে তথ্যপ্রযুক্তির এ সময় অনলাইন চ্যাটিংয়ে কে সত্য আর কে মিথ্যা বলছেন, তা বোঝা মুশকিল।

 

এ কারণেই অনলাইনে প্রতরণার সম্মুখীন হন অনেকেই। যদিও চ্যাটিংয়ে কেউ মিথ্যা বলছেন কি না তা যাচাই করা মুশকিল। তবে কয়েকটি লক্ষণে কিন্তু তা ধরতে পারবেন আপনিও-

চ্যাটিংয়ে অনেকেই নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক ধরনের ঘটনা কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। আপনি যার সঙ্গে চ্যাটিং করছেন তিনিও যদি তার জীবনের কোনো ঘটনা বলে, তাও আবার কোনো প্রেক্ষাপট ছাড়াই তাহলে বুঝবেন নিশ্চয়ই ওই কাহিনিতে কোনো কিন্তু আছে!

 

কারণ সবাই নিজেকে ভালো রেখে অন্যদের উপর দোষ দিতে পছন্দ করেন। তিনি যদিও একইভাবে নিজেকে ভালো রেখে অন্যদেরকে খারাপ বলেন তাহলে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তি অর্ধেক সত্য আর অর্ধেক মিথ্যা মিশিয়ে আপনাকে গল্পটি শোনাচ্ছেন।

 

ধরুন আপনি হঠাৎ করেই চ্যাটিংয়ে কাউকে একটি প্রশ্ন করলেন, আর তিনি যদি সেটি দেখেও দ্রুত উত্তর না দেন তাহলে বুঝতে হবে নিশ্চয়ই ওই ব্যক্তি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি নিয়ে ভাবছেন।

 

আর আপনি যদি এ প্রান্ত থেকে দেখেন চ্যাটিংয়ের উপরে টাইপিং শব্দটি লেখা অর্থাৎ ওই ব্যক্তি লিখছেন আর লিখছেনই!

অর্থাৎ তিনি কি লিখবেন তা টের পাচ্ছেন না কিংবা সময় নিচ্ছেন। এমন ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি যে উত্তর দেবেন তা সত্য না হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি যদি সত্য বলতেন তাহলে ওই প্রশ্নের উত্তর দিতে তার এতোটা সময় লাগতো না!

 

আপনার প্রশ্নের বিপরীতে যে উত্তর দেওয়া হয়েছে তা কী খুব জটিল। অর্থাৎ বিষয়বস্তুকে যদি তিনি কিছুটা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে উত্তর দেন তাহলে বুঝবেন তিনি প্রশ্নটি এড়িয়ে যাচ্ছেন।

 

এক্ষেত্রে আবার অনেকেই ইমোজি বা চিহ্ন ব্যবহার করেন। এমন ব্যাক্তিরা প্যাথলজিক্যাল মিথ্যাবাদী। তাদের নৈপুণ্যে মিথ্যাটি ধরতে এলোমেলো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন।

আর যদি কেউ আপনার প্রশ্ন শুনেও সেটি এড়িয়ে যায় কিংবা রিপ্লাই না দেন তাহলেও বুঝতে হবে ওই ব্যাক্তি কোনো কিছু গোপন করছেন আপনার কাছ থেকে।

এক্ষেত্রে অনেকেই ‘জিটুজি’ লিখে রিপ্লাই করেন। এর অর্থ হলো গোট টু গু। চ্যাটিংয়ে কারও প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার এটি সহজ এক টেকনিক।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানে ‘কিল সুইচ’, ইউরোপজুড়ে চরম উদ্বেগ

» যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ইউক্রেন

» পুলিশের দুর্বলতায় ক্রমে বাড়ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড

» পুলিশকে সহযোগিতা করুন, এখন দরকার স্থিতিশীলতা: মাহফুজ আলম

» ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় হামলায় ৭ পুলিশ আহত, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ

» ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় জেনারেল ওসমানীর নাম বাদ: প্রেস উইং

» আজ বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকা-মার্কেট বন্ধ

» ইসলামপুরে গ্রাম পুলিশরা পেল রেইনকোর্ট 

» ইসলামপুরে চিনাডুলী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা দোয়া ও ইফতার মাহফিল

» বড়াইগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডারের অবৈধ মজুদ, জরিমানা আদায়!

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

চ্যাটিংয়ে কেউ মিথ্যা বলছে কি না বুঝবেন যেভাবে

কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগের সময় শারীরিক ভাষা, মুখের অভিব্যক্তি, কণ্ঠস্বর সবকিছুর মাধ্যমে বোঝা যায় তিনি সত্য নাকি মিথ্যা বলছেন। তবে তথ্যপ্রযুক্তির এ সময় অনলাইন চ্যাটিংয়ে কে সত্য আর কে মিথ্যা বলছেন, তা বোঝা মুশকিল।

 

এ কারণেই অনলাইনে প্রতরণার সম্মুখীন হন অনেকেই। যদিও চ্যাটিংয়ে কেউ মিথ্যা বলছেন কি না তা যাচাই করা মুশকিল। তবে কয়েকটি লক্ষণে কিন্তু তা ধরতে পারবেন আপনিও-

চ্যাটিংয়ে অনেকেই নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক ধরনের ঘটনা কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। আপনি যার সঙ্গে চ্যাটিং করছেন তিনিও যদি তার জীবনের কোনো ঘটনা বলে, তাও আবার কোনো প্রেক্ষাপট ছাড়াই তাহলে বুঝবেন নিশ্চয়ই ওই কাহিনিতে কোনো কিন্তু আছে!

 

কারণ সবাই নিজেকে ভালো রেখে অন্যদের উপর দোষ দিতে পছন্দ করেন। তিনি যদিও একইভাবে নিজেকে ভালো রেখে অন্যদেরকে খারাপ বলেন তাহলে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তি অর্ধেক সত্য আর অর্ধেক মিথ্যা মিশিয়ে আপনাকে গল্পটি শোনাচ্ছেন।

 

ধরুন আপনি হঠাৎ করেই চ্যাটিংয়ে কাউকে একটি প্রশ্ন করলেন, আর তিনি যদি সেটি দেখেও দ্রুত উত্তর না দেন তাহলে বুঝতে হবে নিশ্চয়ই ওই ব্যক্তি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি নিয়ে ভাবছেন।

 

আর আপনি যদি এ প্রান্ত থেকে দেখেন চ্যাটিংয়ের উপরে টাইপিং শব্দটি লেখা অর্থাৎ ওই ব্যক্তি লিখছেন আর লিখছেনই!

অর্থাৎ তিনি কি লিখবেন তা টের পাচ্ছেন না কিংবা সময় নিচ্ছেন। এমন ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি যে উত্তর দেবেন তা সত্য না হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি যদি সত্য বলতেন তাহলে ওই প্রশ্নের উত্তর দিতে তার এতোটা সময় লাগতো না!

 

আপনার প্রশ্নের বিপরীতে যে উত্তর দেওয়া হয়েছে তা কী খুব জটিল। অর্থাৎ বিষয়বস্তুকে যদি তিনি কিছুটা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে উত্তর দেন তাহলে বুঝবেন তিনি প্রশ্নটি এড়িয়ে যাচ্ছেন।

 

এক্ষেত্রে আবার অনেকেই ইমোজি বা চিহ্ন ব্যবহার করেন। এমন ব্যাক্তিরা প্যাথলজিক্যাল মিথ্যাবাদী। তাদের নৈপুণ্যে মিথ্যাটি ধরতে এলোমেলো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন।

আর যদি কেউ আপনার প্রশ্ন শুনেও সেটি এড়িয়ে যায় কিংবা রিপ্লাই না দেন তাহলেও বুঝতে হবে ওই ব্যাক্তি কোনো কিছু গোপন করছেন আপনার কাছ থেকে।

এক্ষেত্রে অনেকেই ‘জিটুজি’ লিখে রিপ্লাই করেন। এর অর্থ হলো গোট টু গু। চ্যাটিংয়ে কারও প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার এটি সহজ এক টেকনিক।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com