সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : নতুন বছরের আগেই পাঠ্যপুস্তকের অনলাইন সংস্করণ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক ও দাখিল স্তরের সব শিক্ষার্থী আজ থেকেই সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তকের সফটকপি অনলাইনে পড়তে পারবে।
আজ রবিবার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের সফটকপি ওয়েবসাইটে আপলোড কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ওয়েবসাইটে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন, ইবতেদায়ি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঁচটি ভাষা, মাধ্যমিক বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন, দাখিল, দাখিল ভোকেশনাল ও কারিগরি স্তরের মোট ৬৪৭টি পাঠ্যপুস্তকের অনলাইন সংস্করণ পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও সরবরাহের সর্বশেষ অগ্রগতির তথ্য জানিয়েছে এনসিটিবি। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের শতভাগ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ শেষ হয়েছে। মোট ১১ কোটি ৭০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬১টি বই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ফলে নতুন বছরের শুরুতে ১ জানুয়ারি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবে। পাশাপাশি মাধ্যমিক, দাখিল, দাখিল ভোকেশনাল ও কারিগরি স্তরের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও সরবরাহের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আশা করছে, মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথম দিনেই কয়েকটি মৌলিক বই হাতে পাবে। বাকি বিষয়গুলোর বই অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
এ পর্যন্ত এই স্তরের মোট পাঠ্যপুস্তকের ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ মুদ্রণ এবং ৫৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে। মোট বইয়ের সংখ্যা ১৮ কোটি ৩২ লাখ ৮ হাজার ৬৯৩টি।
পাঠ্যপুস্তকের সফটকপি ওয়েবসাইটে আপলোড অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব রেহানা পারভীন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী। এ সময় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি স্তরের শিক্ষার্থীরা শতভাগ বই পাবে ১ জানুয়ারি। ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির প্রায় সব শিক্ষার্থী একই দিনে বই পাবে। সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রায় ৭০ শতাংশ এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রায় ৬০ শতাংশ বই নতুন বছরের প্রথম দিনেই হাতে পাবে।








