হাদির দেখানো পথেই হাঁটছেন তাসনীম জারা

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  ঢাকা-৯ (খিলগাঁও, সবুজবাগ, মুগদা) আসনে নির্বাচনী প্রচারে নেমে ব্যতিক্রমী পথ হাঁটছেন ডা. তাসনীম জারা। প্রয়াত শহীদ শরিফ ওসমান হাদি যে আদর্শ ও পথ দেখিয়ে গেছেন, সেই ধারায় তিনি অনলাইনে নির্বাচনী অনুদান সংগ্রহ করছেন। মাত্র ২৯ ঘণ্টায় তার লক্ষ্যস্থিত ৪৭ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন, যা তার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থনের ইঙ্গিত দেয়।

ফেসবুক পোস্টে তাসনীম জারা লিখেছেন, আইন অনুযায়ী একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা বা ভোটারপ্রতি ১০ টাকা খরচ করতে পারেন। অথচ বাস্তবে শোনা যায়, অনেক প্রার্থী ২০ থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেন, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে দেখান মাত্র ২৫ লাখ টাকার হিসাব। ফলে সংসদে যাওয়ার পথ শুরু হয় আইন ভাঙা ও মিথ্যার মাধ্যমে।

তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আমি এই অসততা ও মিথ্যার রাজনীতি করবো না। আইনে অনুমোদিত টাকার বাইরে আমি এক টাকাও খরচ করবো না। ঢাকা-৯ আসনে ভোটার প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তিনি সর্বোচ্চ ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা খরচ করতে পারবেন এবং এই টাকা তিনি জনগণের কাছ থেকেই স্বচ্ছভাবে সংগ্রহ করছেন।

ডা. তাসনীম জারার শিক্ষাগত ও পেশাগত জীবন উল্লেখযোগ্য। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এভিডেন্স বেসড মেডিসিনে এমএসসি করেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও রয়্যাল প্যাপওয়ার্থ হাসপাতালে ইন্টারনাল মেডিসিনে রেসিডেন্সি করে এমআরসিপি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নারীস্বাস্থ্যে অবদানের জন্য তিনি রয়্যাল কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস থেকে ডিআরসিওজি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ভ্যাকসিন সচেতনতায় ভূমিকার জন্য যুক্তরাজ্য সরকার তাকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে। তার স্বামী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ অক্সফোর্ড থেকে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ল-এ মাস্টার্স করে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে কাজ করছেন।

তারা দুজনে মিলে তৈরি করেছেন ‘সহায় হেলথ’ নামের বাংলা অ্যাপভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রায় এক লক্ষ নারী স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ পাচ্ছেন। করোনাকালে সচেতনতামূলক ভিডিও তৈরির মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া ডা. তাসনীম জারা এখন রাজনীতিতে নেমেছেন নতুন ধারা, স্বচ্ছতা ও সততার প্রত্যয় নিয়ে।

বাংলাদেশের খুব কম লোকই বিদেশের জীবন ছেড়ে দেশে আসছে। যারা আসছে এবং সামনে থেকে কাজ করছে, তাদের মধ্যে অন্যতম তাসনীম জারা। খালেদা জিয়াও তাকে এই কথাই বলেছেন- ‘দেশেই থাকো।’ তাসনীম জারা বলেন, আমি জানি না কতটা সফল হবো। ভুল করলে ধরিয়ে দেবেন, ভালো কিছু করলে পাশে থেকে উৎসাহ দেবেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নির্বাচন কমিশনকে তফসিল সংশোধনের দাবি এনসিপির

» নুরু ও রাশেদকে দুই আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

» ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনটি জোনায়েদ সাকিকে ছেড়ে দিলো বিএনপি

» শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান

» তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: পূর্বাচল ৩০০ ফিটে নেতাকর্মীদের ঢল, এলাকাজুড়ে উৎসবের আমেজ

» উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

» গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে : দুদু

» এককভাবে ভোট করার ঘোষণা কর্নেল অলির

» আবাসন খাতের মন্দা স্থায়ী নয়, সুদিন ফিরবেই: রাজউক চেয়ারম্যান

» আয়ু শেষ হলে জাহাজের ভাগ্যে কী ঘটে জানেন?

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

হাদির দেখানো পথেই হাঁটছেন তাসনীম জারা

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  ঢাকা-৯ (খিলগাঁও, সবুজবাগ, মুগদা) আসনে নির্বাচনী প্রচারে নেমে ব্যতিক্রমী পথ হাঁটছেন ডা. তাসনীম জারা। প্রয়াত শহীদ শরিফ ওসমান হাদি যে আদর্শ ও পথ দেখিয়ে গেছেন, সেই ধারায় তিনি অনলাইনে নির্বাচনী অনুদান সংগ্রহ করছেন। মাত্র ২৯ ঘণ্টায় তার লক্ষ্যস্থিত ৪৭ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন, যা তার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থনের ইঙ্গিত দেয়।

ফেসবুক পোস্টে তাসনীম জারা লিখেছেন, আইন অনুযায়ী একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা বা ভোটারপ্রতি ১০ টাকা খরচ করতে পারেন। অথচ বাস্তবে শোনা যায়, অনেক প্রার্থী ২০ থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেন, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে দেখান মাত্র ২৫ লাখ টাকার হিসাব। ফলে সংসদে যাওয়ার পথ শুরু হয় আইন ভাঙা ও মিথ্যার মাধ্যমে।

তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আমি এই অসততা ও মিথ্যার রাজনীতি করবো না। আইনে অনুমোদিত টাকার বাইরে আমি এক টাকাও খরচ করবো না। ঢাকা-৯ আসনে ভোটার প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তিনি সর্বোচ্চ ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা খরচ করতে পারবেন এবং এই টাকা তিনি জনগণের কাছ থেকেই স্বচ্ছভাবে সংগ্রহ করছেন।

ডা. তাসনীম জারার শিক্ষাগত ও পেশাগত জীবন উল্লেখযোগ্য। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এভিডেন্স বেসড মেডিসিনে এমএসসি করেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও রয়্যাল প্যাপওয়ার্থ হাসপাতালে ইন্টারনাল মেডিসিনে রেসিডেন্সি করে এমআরসিপি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নারীস্বাস্থ্যে অবদানের জন্য তিনি রয়্যাল কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস থেকে ডিআরসিওজি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ভ্যাকসিন সচেতনতায় ভূমিকার জন্য যুক্তরাজ্য সরকার তাকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে। তার স্বামী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ অক্সফোর্ড থেকে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ল-এ মাস্টার্স করে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে কাজ করছেন।

তারা দুজনে মিলে তৈরি করেছেন ‘সহায় হেলথ’ নামের বাংলা অ্যাপভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রায় এক লক্ষ নারী স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ পাচ্ছেন। করোনাকালে সচেতনতামূলক ভিডিও তৈরির মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া ডা. তাসনীম জারা এখন রাজনীতিতে নেমেছেন নতুন ধারা, স্বচ্ছতা ও সততার প্রত্যয় নিয়ে।

বাংলাদেশের খুব কম লোকই বিদেশের জীবন ছেড়ে দেশে আসছে। যারা আসছে এবং সামনে থেকে কাজ করছে, তাদের মধ্যে অন্যতম তাসনীম জারা। খালেদা জিয়াও তাকে এই কথাই বলেছেন- ‘দেশেই থাকো।’ তাসনীম জারা বলেন, আমি জানি না কতটা সফল হবো। ভুল করলে ধরিয়ে দেবেন, ভালো কিছু করলে পাশে থেকে উৎসাহ দেবেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com