সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নই আমাদের প্রধানতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া ‘স্টার নির্বাচনী সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এনসিপি সম্পর্কে নাহিদ বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট থেকেই রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা আত্মপ্রকাশ করছি ও সামনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নই আমাদের প্রধানতম লক্ষ্য।’
‘গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অনেক ধরনের বিতর্ক ও বিভাজন আছে। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বলতে আমরা প্রধানত তিনটা জায়গা বোঝাই। প্রথমটা হচ্ছে—গণতান্ত্রিক একটা বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা। দ্বিতীয়ত, বৈষম্যবিরোধী ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠা—যেখানে সমাজে ধনী-গরিবের বৈষম্য কমিয়ে আনতে পারব। মানুষের যে ন্যূনতম মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, নাগরিক অধিকারগুলো রয়েছে, তার শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কর্মসংস্থান—সেই জায়গাগুলো নিশ্চিত হবে। তৃতীয়ত, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যেন অক্ষুণ্ন থাকে ও জাতীয় মর্যাদা যেন কোথাও আপস না হয়।’
নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি রক্ষায় জোর দেন নাহিদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস হচ্ছে প্রতিশ্রুতি ভাঙার ইতিহাস। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরেও কিন্তু প্রতিশ্রুতি ভাঙা হয়েছিল। এর ফলাফল কিন্তু আসলে ভালো হয়নি। আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের দিকে গেলেও সেটা আবার একটা ফ্যাসিবাদের দিকে গিয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগের উপর দায় চাপাতে আমরা পারবো না। আমাদের এর আগের রাজনৈতিক দলগুলো যারা ক্ষমতায় ছিল যারা বিরোধী রাজনীতি করেছে তাদের সবাইকে দায় নিতে হবে এবং সেই দায় নেওয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আমরা আসলে ভুলগুলো করবো না। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব। আমাদের মনে হয়েছে এই জায়গাটাই জনগণ দেখতে চায়।’
সরকার-সুশাসন ও দুর্নীতি নিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘দুর্নীতি দমন করতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা সেটা হচ্ছে জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। নাহলে আসলে দুর্নীতি দূর করতে পারব না।’
‘কেবল দুদক না, বিচার বিভাগ-পুলিশ, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে দিতে পারি এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়, তাহলেই দুর্নীতি কমানো সম্ভব। সরকারের স্বচ্ছতা ও মানুষের তথ্য পাওয়াটা দরকার। স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ‘হিসাব দাও’ কর্মসূচির আওতায় সরকারের সকল প্রকল্পকে নিয়ে আসতে হবে।’
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করার কথা বলেন নাহিদ। আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে সামাজিক ফ্যাসিবাদের উত্থান প্রতিরোধে রাষ্ট্রের পাশাপাশি আমাদের নতুন নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক সম্প্রদায় লাগবে। যাতে করে দায়িত্বশীল নাগরিক তৈরি হবে, যারা নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে কথা বলতে পারবে।’








