রোজাদারদের সাহরি ও ইফতারে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে। পাশাপাশি পানি আছে এমন ফলমূল, ফলের রস, ডাব খাওয়া যায়। ভাজাপোড়া থেকে বিরত থাকলে ভালো। কারণ এতে শরীর আরও বেশি পানিশূন্য হয়। তৈলাক্ত খাবার না খেয়ে বরং ত্বক সতেজ রাখতে সিদ্ধ খাবার, ভিটামিন ‘এ’ ‘ই’ যুক্ত খাবার যেমন গাজর, টমেটো, ব্রকোলি খেয়ে নিন।
পরিষ্কার রাখুন ত্বক
প্রতিদিনই ত্বকের যত্ন নিতে হবে। ত্বকে জমে থাকা ধুলাবালি ও ঘাম ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে মুখের আলগা ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। ভালো মানের যে কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এরপর যে কোনো ন্যাচারাল জেল দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এতে করে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন হবে।
ফেসপ্যাক
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখতে ১ টেবিল চামচ পাকা পেঁপে ভালোভাবে চটকে এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস ও প্রয়োজনীয় চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো গলায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। পানিশূন্য ত্বকে নিয়মিত কাঠবাদামবাটা, ঠান্ডা দুধ ও গোলাপজল দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক পানিশূন্য ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
রাতের যত্ন
রাতে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। ভালো মানের যে কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করুন।
ত্বকের যত্নে যা করবেন না
ত্বকের যত্নে কখনোই ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করবেন না। সব সময় চেষ্টা করুন ত্বকে প্রাকৃতিক কিছু ব্যবহার করার। বেশি দাম দিয়ে পণ্য ব্যবহার করে ত্বকের ক্ষতি করার কোনো দরকার নেই। সতর্কতা ও সাবধানের সঙ্গে প্রতিদিন ত্বকের যত্ন নিন।
লেখা : সাদিয়া সারা।।। সূএ:বাংলাদেশ প্র্রতিদিন