গাছ কাটার জেরে এক ব্যক্তিকে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ফাইল ছবি

 

ডেস্ক রিপোর্ট : ১৫ বছর আগের গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে আবু জাফর (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

 

বৃহস্পতিবার  রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জীবননগর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু জাফর মৃত খেলাফত হাজির ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে আলমগীর একটি হত্যা মামলা করে।

 

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে আবু জাফরকে তার বাড়ি থেকে সালিশের নামে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা। ১৫ বছর আগে একটি গাছ কাটা ও জমি নিয়ে ওই সালিশ ডাকা হয়। সালিশের জন্য রাতে আবু জাফরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় খেলাফত হাজির ছেলে আব্দুল আলী ও আমির মাতুব্বরের ছেলে সজিব। পরে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে একই এলাকার আব্বাস মাস্টার, আমির মাতুব্বর ও তার ছেলে সজিব, তরিকুলসহ কয়েকজন লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। উপর্যপুরি কিল-ঘুসি ও গোপনাঙ্গে আঘাত লেগে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন আবু জাফর।

 

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের ছেলে আলমগীর।

আসামিরা হলেন- জীবননগরপাড়ার আব্বাস মাস্টার, জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া ডাক্তার, নতুন কোলা গ্রামের জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, ডালভাঙ্গা গ্রামের শাহিন গাইন, সামন্তা গ্রামের (চারাতলাপাড়া) ফারুক হোসেন, আমির মাতুব্বর, তার ছেলে সজিব, জীবননগরপাড়ার দ্বীন মোহাম্মদ, ইসমাইল হোসেন, বাগদিয়া আইট গ্রামের সেলিম শহিদসহ ১৩ জন।

 

আলমগীর হোসেন বলেন, আমার বাবা-মা ১৩ বছর পর ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি আসেন। ইফতার শেষে উঠানে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবা। হঠাৎ সজিব আমাদের বাড়ি এসে আব্বাকে ডেকে নিয়ে যান। পরে বাড়ির বাইরে চিৎকার হলে দেখি আমার আব্বার নিথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ানবী জানান, আবু জাফর সহজ-সরল মানুষ। তিনি ঢাকাতে থাকতেন, বাড়িতে খুব কম সময় থাকেন। ১৫ বছর আগে নিজের লাগানো একটি গাছ তিনি কেটে ফেলেন। পরবর্তীতে জমি মাপ হলে গাছটি অভিযুক্ত আব্দুল আলীর জমির মধ্যে পড়ে। সেই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করেই মূলত এ হত্যাকাণ্ড।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়েজ উদ্দীন মৃধা (ওসি) জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে। ১৫ বছর আগে একটি গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ইসির ২ আইন সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন

» কল্কির সিক্যুয়েল থেকেও বাদ পড়লেন দীপিকা

» সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

» বাংলাদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করেছে: টুকু

» বায়তুল মোকাররম এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ শুরু

» সীমানা বিরোধ: আদালতের রায়ের পর সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

» নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের একগুচ্ছ নির্দেশনা তারেক রহমানের

» দুটি ব্যাংকের তিনটি কার্ড ব্যবহার করে ৬ লাখ টাকা প্রতারণার, গ্রেফতার ১

» বাংলাদেশে সবচাইতে আগে জরুরি জাতীয় নির্বাচন : জিল্লুর রহমান

» শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা জুলাই গণহত্যার জন্য দায়ী— সাক্ষ্য নাহিদের

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গাছ কাটার জেরে এক ব্যক্তিকে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ফাইল ছবি

 

ডেস্ক রিপোর্ট : ১৫ বছর আগের গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে আবু জাফর (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

 

বৃহস্পতিবার  রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জীবননগর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু জাফর মৃত খেলাফত হাজির ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে আলমগীর একটি হত্যা মামলা করে।

 

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে আবু জাফরকে তার বাড়ি থেকে সালিশের নামে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা। ১৫ বছর আগে একটি গাছ কাটা ও জমি নিয়ে ওই সালিশ ডাকা হয়। সালিশের জন্য রাতে আবু জাফরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় খেলাফত হাজির ছেলে আব্দুল আলী ও আমির মাতুব্বরের ছেলে সজিব। পরে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে একই এলাকার আব্বাস মাস্টার, আমির মাতুব্বর ও তার ছেলে সজিব, তরিকুলসহ কয়েকজন লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। উপর্যপুরি কিল-ঘুসি ও গোপনাঙ্গে আঘাত লেগে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন আবু জাফর।

 

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের ছেলে আলমগীর।

আসামিরা হলেন- জীবননগরপাড়ার আব্বাস মাস্টার, জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া ডাক্তার, নতুন কোলা গ্রামের জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, ডালভাঙ্গা গ্রামের শাহিন গাইন, সামন্তা গ্রামের (চারাতলাপাড়া) ফারুক হোসেন, আমির মাতুব্বর, তার ছেলে সজিব, জীবননগরপাড়ার দ্বীন মোহাম্মদ, ইসমাইল হোসেন, বাগদিয়া আইট গ্রামের সেলিম শহিদসহ ১৩ জন।

 

আলমগীর হোসেন বলেন, আমার বাবা-মা ১৩ বছর পর ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি আসেন। ইফতার শেষে উঠানে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবা। হঠাৎ সজিব আমাদের বাড়ি এসে আব্বাকে ডেকে নিয়ে যান। পরে বাড়ির বাইরে চিৎকার হলে দেখি আমার আব্বার নিথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ানবী জানান, আবু জাফর সহজ-সরল মানুষ। তিনি ঢাকাতে থাকতেন, বাড়িতে খুব কম সময় থাকেন। ১৫ বছর আগে নিজের লাগানো একটি গাছ তিনি কেটে ফেলেন। পরবর্তীতে জমি মাপ হলে গাছটি অভিযুক্ত আব্দুল আলীর জমির মধ্যে পড়ে। সেই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করেই মূলত এ হত্যাকাণ্ড।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়েজ উদ্দীন মৃধা (ওসি) জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে। ১৫ বছর আগে একটি গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com