ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : গাজীপুরের শ্রীপুরে গড়গড়িয়া মাস্টার এলাকায় থেকে গলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছেন, গার্মেন্টস্ কর্মীর কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করা হয় রেজাউলকে।
আজ বেলা ১১টায় শ্রীপুর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আফজাল হোসেন, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম ও পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কর উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নেত্রকোনা জেলার সদর থানার টেংগা গ্রামের আলী ওসমানের ছেলে জুলহাস (৩৪), শ্রীপুরের উজিলাব গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫২) ও শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের বকুলতলা এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে শাহাদত হোসেন শান্ত (২৫)। এর গতকালই তাদের শ্রীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ভাসমান জনগোষ্ঠীর একটি অংশ।
নিহত রেজাউল করিম (৪০) নেত্রকোনা জেলার সদর থানার দুর্গাশ্রম গ্রামের ইসহাক মুন্সীর ছেলে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন রেজাউল করিম। তাকে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খুঁজে সন্ধান না পেলে শ্রীপুর থানা পুলিশের সহযোগিতা নেন স্বজনরা। গত ৯ মার্চ বিকেলে শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি ঢালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহটি গলে পচে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়নি। শ্রীপুর থানা পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। নিহতের ভাগিনা রিমন মরদেহের গায়ে থাকা শার্ট দেখে উদ্ধার হওয়া লাশটি তার মামা রেজাউল করিমের বলে শনাক্ত করেন। এরপরই শ্রীপুর থানার পুলিশের একাধিক টিম হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার পন্ডিত বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে জুলহাসকে শ্রীপুরের আনসার রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডে মোট চারজন অংশ নেয় বলে জানান এবং বাকী নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন। পরে জুলহাসের দেয়া তথ্য মতে নুরুল ইসলাম ও শান্তকে গ্রেফতার করা হয়। এঘটনায় আরো একজন জড়িত আছে। তদন্তের স্বার্থে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, গ্রেফতারকৃতদের শনিবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। বাকী আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।