ছবি সংগৃহীত
স্পোর্টস ডেস্ক :১৯৩০ থেবে ২০৩০ – বিশ্বকাপ ফুটবলের শতবছর পূর্তি উৎসব হতে যাচ্ছে আর ৫ বছর পর, ২০৩০ সালে। ১৯৩০ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল ফুটবল বিশ্বকাপের। এ কারণে ২০৩০ সালে বিশ্বকাপকে বিশেষভাবে উদযাপন করতে চায় ফুটবলের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফিফা। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপে খেলবে ৬৪টি দেশ। যদিও এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
এরই মধ্যে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্ধারণ করা হয়েছে। সেবারই প্রথম ৬টি দেশে আয়োজন হবে বিশ্বকাপের আসর। মরক্কো, স্পেন এবং পর্তুগাল এই তিন দেশ মূল আয়োজক। সে সঙ্গে আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়েতেও ম্যাচ হবে।
মূলত, ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল উরুগুয়ে। ফাইনালে খেলেছিল উরুগুয়ে এবং আর্জেন্টিনা। প্যারাগুয়েও খেলেছিল প্রথম বিশ্বকাপে। এই তিনটি দেশে একটি করে ম্যাচ হবে ২০৩০ সালের বিশ্বকাপে। শতবর্ষ উদযাপন করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাধারণত ফুটবল বিশ্বকাপ ৩২টি দেশকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৬ সালে সেই বিশ্বকাপ হবে ৪৮টি দেশকে নিয়ে। আয়োজক আমেরিকা, মেক্সিকো এবং কানাডা। ফিফার পক্ষ থেকে ৬৪ দেশের বিশ্বকাপের প্রস্তাবকে পর্যালোচনা করে দেখা হয়েছে।
ফিফার এক কর্মকর্তা এ নিয়ে বলেন, ‘বিশ্বকাপের ১০০তম বছরে ৬৪ দেশকে নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৫ মার্চ যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও এটা হবে কি না সেটা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ফিফার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘নতুন এই প্রস্তাবটি ফিফা বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। ফিফা কাউন্সিল মেম্বারদের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে আরও পর্যালোচনা করার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’ ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফ্যান্তিনোর এ প্রস্তাব পছন্দ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক টাইমস একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ইগনাসিও আলোনসো নামে উরুগুয়ের এক ডেলিগেট ৬৪ দলের বিশ্বকাপের এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পত্রিকাটি সূত্র উল্লেখ না করে দাবি করেছে, ‘এই প্রস্তাব যখন উত্থাপন করা হয়, তখন ফিফা কংগ্রেস পুরোপুরি চুপ হয়ে গিয়েছিলো। সবার কাছে প্রস্তাবটা অপ্রত্যাশিত হিসেবেই ঠেকেছে।’