খৎনা কত বছর বয়সে করানো উত্তম?

সংগৃহীত ছবি

 

ধর্ম ডেস্ক :খৎনা নবীজির গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। বড় বড় নবী-রাসুলরাও খৎনা করেছেন। সাইদ ইবনে মুসাইয়াব (রহ.) থেকে বর্ণিত, হজরত ইবরাহিম (আ.) হলেন খৎনার সুন্নত পালনকারী সর্বপ্রথম ব্যক্তি। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ২৬৪৬৭)

 

খৎনা ইসলামের শিয়ার বা মৌলিক নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। নবী কারিম (স.) বলেন, ফিতরাত (তথা নবীগণের সুন্নত) পাঁচটি- খৎনা করা, নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করা, বগলের পশম উঠানো, মোঁচ ছোট করা এবং নখ কাটা।’ (সহিহ বুখারি: ৬২৯৭)

শারীরিকভাবে শক্ত হওয়ার পরই সুবিধাজনক সময়ে ছেলের খৎনা করিয়ে দেওয়া অভিভাবকের দায়িত্ব। আর কোনো কারণে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে যদি খৎনা না করা হয় অথবা বয়স্ক হওয়ার পর কেউ ইসলাম গ্রহণ করে তাহলেও তার খৎনা করা জরুরি।

 

ইবনে শিহাব জুহরি (রহ) বলেন, কোনো ব্যক্তি যখন ইসলাম গ্রহণ করত তখন সে বড় হলেও তাকে খৎনা করার আদেশ করা হত। (আলআদাবুল মুফরাদ: ১২৫২)

 

খৎনার উত্তম সময়ের ব্যাপারে ফকিহগণ বলেন, শিশুর শারীরিক উপযুক্ততা ও তার বালেগ হওয়ার কাছাকাছি বয়সে পৌঁছার আগেই বা এর মাঝামাঝি সময়ে যেমন, ৭-১০ বছর বা অনুর্ধ্ব ১২ বছরের মধ্যে করে নেওয়া উত্তম।

আর খৎনা উপলক্ষ্যে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করার প্রমাণ নেই। তাছাড়া বর্তমানে যে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের রেওয়াজ শুরু হয়েছে তা অবশ্যই বর্জনীয়। এছাড়া এতে গান-বাদ্য ইত্যাদি শরিয়তবিরোধী কোনো কিছু থাকলে তা নাজায়েজ হবে।

 

(ফাতহুল বারি: ১১/৯২, ৯/৫০৩, ১০/৩৫৫, ৪/৪১৩; রদ্দুল মুহতার: ৬/৭৫১-৭৫২, ৬/২৮২; খুলাসাতুল ফতোয়া: ২/১৩২; আলবাহরুর রায়েক: ৭/৯৫-৯৬)

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

» মোরেলগঞ্জে লবণাক্ত জমিতে মিষ্টি শসার বাম্পার ফলন, ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি

» বড়াইগ্রামের বনপাড়া-পাবনা মহাসড়ক খানা-খন্দে এখন মৃত্যুফাঁদ

» দেশে এলো বাজেটে কড়া দেশের সেরা স্মার্টফোন ভিভো ওয়াই২১ডি

» রাজশাহীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ কার্যক্রমবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

» বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে বাস চালকের মৃত্যু,আহত ১৫

» সাহসী প্রশ্ন তুলুন, বিভ্রান্তি নয় সত্য সামনে আনুন: সাংবাদিকদের শফিকুল

» রিকশাচালক হত্যা মামলায় দুইজন গ্রেপ্তার

» উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি বন্ধ করায় এখন কেউ পিডি হতে চান না

» নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

খৎনা কত বছর বয়সে করানো উত্তম?

সংগৃহীত ছবি

 

ধর্ম ডেস্ক :খৎনা নবীজির গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। বড় বড় নবী-রাসুলরাও খৎনা করেছেন। সাইদ ইবনে মুসাইয়াব (রহ.) থেকে বর্ণিত, হজরত ইবরাহিম (আ.) হলেন খৎনার সুন্নত পালনকারী সর্বপ্রথম ব্যক্তি। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ২৬৪৬৭)

 

খৎনা ইসলামের শিয়ার বা মৌলিক নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। নবী কারিম (স.) বলেন, ফিতরাত (তথা নবীগণের সুন্নত) পাঁচটি- খৎনা করা, নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করা, বগলের পশম উঠানো, মোঁচ ছোট করা এবং নখ কাটা।’ (সহিহ বুখারি: ৬২৯৭)

শারীরিকভাবে শক্ত হওয়ার পরই সুবিধাজনক সময়ে ছেলের খৎনা করিয়ে দেওয়া অভিভাবকের দায়িত্ব। আর কোনো কারণে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে যদি খৎনা না করা হয় অথবা বয়স্ক হওয়ার পর কেউ ইসলাম গ্রহণ করে তাহলেও তার খৎনা করা জরুরি।

 

ইবনে শিহাব জুহরি (রহ) বলেন, কোনো ব্যক্তি যখন ইসলাম গ্রহণ করত তখন সে বড় হলেও তাকে খৎনা করার আদেশ করা হত। (আলআদাবুল মুফরাদ: ১২৫২)

 

খৎনার উত্তম সময়ের ব্যাপারে ফকিহগণ বলেন, শিশুর শারীরিক উপযুক্ততা ও তার বালেগ হওয়ার কাছাকাছি বয়সে পৌঁছার আগেই বা এর মাঝামাঝি সময়ে যেমন, ৭-১০ বছর বা অনুর্ধ্ব ১২ বছরের মধ্যে করে নেওয়া উত্তম।

আর খৎনা উপলক্ষ্যে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করার প্রমাণ নেই। তাছাড়া বর্তমানে যে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের রেওয়াজ শুরু হয়েছে তা অবশ্যই বর্জনীয়। এছাড়া এতে গান-বাদ্য ইত্যাদি শরিয়তবিরোধী কোনো কিছু থাকলে তা নাজায়েজ হবে।

 

(ফাতহুল বারি: ১১/৯২, ৯/৫০৩, ১০/৩৫৫, ৪/৪১৩; রদ্দুল মুহতার: ৬/৭৫১-৭৫২, ৬/২৮২; খুলাসাতুল ফতোয়া: ২/১৩২; আলবাহরুর রায়েক: ৭/৯৫-৯৬)

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com