ফাইল ফটো
অনলাইন ডেস্ক : বরগুনার তালতলীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই ইউনিয়নের ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরাফাত শিকদারের ছুরিকাঘাতে মোটরসাইকেল চালক আরাফাত খান ইমন (২১) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আব্দুল্লাহ নামে আরও এক যুবক আহত হয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের কচুপাত্রা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরাফাত খান ওই ইউনিয়নের বাদুরগাছা গ্রামের জলিল খানের ছেলে ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক খানের ভাতিজা। সে ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করতো। একই ঘটনায় বাদুরগাছা গ্রামের ইলিয়াসের ছেলে আব্দুল্লাহ গুরুতর জখম হয়েছে।
স্থানীয়দের ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শারিকখালী ইউনিয়নের কচুপাত্রা বাজারে শহীদ শিকদারের সার কীটনাশক দোকানের সামনে বসে ভিকটিম আরাফাত খান ইমনকে একই ইউনিয়নের কলারং গ্রামের শহিদ শিকদারের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরাফাত শিকদার এবং তার সাথে থাকা লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারধর করে। এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আরাফাত খানের বুকে আঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ইমনের ডাক চিৎকারে ইলিয়াসের ছেলে আব্দুল্লাহ (২১) বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। আহত অবস্থায় দুই জনকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক আরাফাত খান ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং গুরুতর মুমূর্ষু অবস্থায় আব্দুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করে।
ওই ঘটনার পর কচুপাত্রা বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং ঘটনাস্থলে তালতলী থানা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, উপজেলার কচুপাত্রা বাজারে ছুরিকাঘাতে মোটরসাইকেল চালক আরাফাত খান নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।