সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : নেইমারের মাঠে ফেরার পর যেন বদলে গেল সান্তোস। টানা তিন ম্যাচে জ্বলে উঠলেন তিনি। আগের দুই ম্যাচে গোল, একটিতে হ্যাটট্রিক; শেষ ম্যাচে গোল না পেলেও খেলার ছন্দ পুরো নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
ব্রাজিলিয়ার সেরি আতে মৌসুমের শেষ ম্যাচে ক্রুজেইরোকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় সান্তোস। দুর্দান্ত জয়ে লিগ শেষ করল দল। টানা তিন ম্যাচে চোট নিয়ে খেলে দলকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করার পর এই তারকা নিশ্চিত করলেন, অস্ত্রোপচনা হবে তার হাঁটুতে।
নেইমার বলেন, “আমি এখানে এসেছিলাম এটার জন্যই, দলকে সম্ভাব্য সেরা উপায়ে সহায়তা করতে। আমার জন্য সপ্তাহগুলি ছিল খুবই কঠিন। আমাকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করে গেছেন যারা, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তারা না থাকলে এমন চোট নিয়ে, হাঁটুর এত সমস্যা নিয়ে ম্যাচগুলি খেলতে পারতাম না। এখন আমার কিছুটা বিশ্রাম প্রয়োজন, এরপর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করাব।”
হাঁটুর চোটের ধরন বা কোন ধরনের অস্ত্রোপচার হবে তার, বিস্তারিত সেসব জানা যায়নি। তবে বিশ্বকাপের ছয় মাস আগে অস্ত্রোপচার মানে বিশ্ব আসরে তার খেলার সম্ভাবনায় আরেকটি বড় আঘাত অবশ্যই। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি জাতীয় দলে নেই। গত মে মাসে কার্লো আনচেলত্তি কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশ কবারই বলেছেন, কেবল পুরো ফিট হলেই নেইমারকে নেওয়া হবে জাতীয় দলে।
নেইমার নিজে অবশ্য চোট পাওয়ার পরও বলেছেন, বিশ্বকাপে খেলতে তিনি আশাবাদী। সেখান থেকে ধারণা করা যায়, তার হাঁটুর চোট হয়তো গুরুতর নয়। তার পরও শঙ্কা থাকছে প্রবলভাবেই।
ক্রুজেইরোর বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে নেইমারের জন্য ছিল ছোট একটি সম্মাননা অনুষ্ঠান। শৈশবের ক্লাবটির হয়ে ১৫০ ম্যাচ পূর্ণ করায় তাকে দেওয়া হয় বিশেষ স্মারক। পাশে ছিলেন তার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা। এরপর মাঠেও খেললেন প্রাণবন্ত ফুটবল, দলের জয়ে রাখেন বড় ভূমিকা। তিন ম্যাচ আগেও অবনমনের ভয় ছিল সান্তোসের সামনে। ঠিক সেই সময় হাঁটুর ব্যথা নিয়েই ম্যাচে নেমেছিলেন নেইমার। প্রতিটি ম্যাচে দলকে বাঁচাতে অবদান রাখেন তিনি। আগের ম্যাচে করেন দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক, তার আগের ম্যাচেও গোল। শেষ ম্যাচে গোল না পেলেও আক্রমণ সাজানো ও সুযোগ তৈরি করে দলের ৩-০ ব্যবধানে জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি।







