হাঁটা আর দৌড়ানোর জুতা আলাদা, কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

ছবি সংগৃহীত

 

জুতা তো জুতাই, তাকে নিয়ে অত কথা বলার কী আছে। পায়ের নিচেই তার জীবন কাটে— এমনটাই ভাবনা বেশিরভাগ মানুষের। অথচ এই পাদুকা জোড়াই অনেকক্ষেত্রে ব্যক্তিত্ব তুলে ধরে। আবার সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জুতা। তার ওপরই দাঁড়িয়ে থাকে পুরো শরীরের ভিত।

 

পায়ের জন্য দাম দিয়ে ভালো জুতা কেনার প্ল্যান বেশিরভাগ মানুষেরই থাকে না। যেই জুতা পরে হাট-বাজারে যান, সেটি পরেই অফিসে। আবার একই জুতা পরে দুই পাক হেঁটেও আসেন। স্থান ও প্রয়োজন ভেদে কিন্তু জুতায় ভিন্নতা রয়েছে। যেই জুতা পরে আপনি পার্টিতে যাচ্ছেন তা পরে পাহাড় ট্রেকিং এ যেতে পারবেন না। আবার রোজকার হাঁটাচলার জুতা দিয়ে দৌড়ানো বা ব্যায়ামের কাজ সমীচীন নয়।

shoe2

হাঁটা বা দৌড়ানো কাছাকাছি কাজ হলেও জুতার ক্ষেত্রে কিছুটা তফাৎ রয়েছে। দেখতে একরকম হলেও ‘ওয়াকিং শু’ আর ‘রানিং শু’ কিন্তু এক নয়। খালি চোখে বোঝা না গেলে, পায়ে পরার পর পার্থক্য ঠিকই টের পাওয়া যায়।

দৌড়ানোর জুতা বা ‘রানিং শু’ পায়ে দিয়ে পার্কে এক চক্কর হাঁটা গেলেও হাঁটার জন্য তৈরি জুতা পরে দৌড়ানো যায় না। হাঁটা কিংবা দৌড়ানোর ক্ষেত্রে পদচালনা একইভাবে করা হয় না। দেহের ভরও একইভাবে পায়ের ওপর পড়ে না। তা কাজের ধরন এক রকম হলেও পায়ের পাতা কিংবা পেশির ওপর আলাদা রকম ভাবে চাপ ফেলে।

shoe3

তাই জুতা কেনার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি। দুই ধরনের জুতার মধ্যে পার্থক্য কী, চলুন জেনে নিই-

কুশনিং

‘ওয়াকিং’ কিংবা ‘রানিং’ জুতার মধ্যে ডিজাইন বা নকশাগত পার্থক্য খুব একটা না থাকলেও, গঠনগত পার্থক্য আছে। যেমন জুতার মধ্যে, অর্থাৎ পায়ের পাতা রাখার জায়গায় যে ‘কুশনিং’ থাকে, তা হাঁটা বা দৌড়নোর জুতার ক্ষেত্রে একেবারেই আলাদা হয়।

shoe4

দৌড়ানোর সময় পায়ের তলায়, বিশেষ করে গোড়ালি বা পায়ের পাতার সামনের দিকে আলাদা করে যে ‘সাপোর্ট’ বা ভর প্রয়োজন হয়, হাঁটার ক্ষেত্রে তা প্রয়োজন পড়ে না।

জুতার হিল

বাইরে থেকে এই দুই ধরনের জুতার হিলের উচ্চতা দেখলে আলাদা পার্থক্য বোঝা যায় না। কিন্তু দৌড়ানোর জন্য যে ধরনের জুতা পয়রা হয়, তাতে সাধারণত হিলের অংশটি বেশ উঁচু হয়। ওয়াকিং শু তে তুলনায় কম উঁচু হিল থাকে। যার ফলে হাঁটাচলা করতেও সুবিধা হয়।

shoe5

নমনীয়তা

পায়ের ক্ষতি রুখতে জুতার গঠন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই প্রয়োজনীয় বিষয় হলো তার নমনীয়তা। দৌড়ানোর জন্য যে ধরনের জুতা পাওয়া যায়, সেগুলো সাধারণত বেশি ‘ফ্লেক্সিবল’ হয়। হাঁটার জন্য যে ধরনের জুতো পাওয়া যায়, সেগুলো সেই তুলনায় কম নমনীয়।

 

হাঁটা আর দৌড়ানোর জুতা মিলিয়ে ফেলবেন না। দুটো কাজের জন্য ভিন্ন জুতা ব্যবহার করুন। এতে উপকার মিলবে দ্রুত। সুস্থ থাকবেন আপনি।  সূএ:ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» যেসব কারণে পাওয়া যাচ্ছে না ইলিশ, জানালেন মৎস্য উপদেষ্টা

» আওয়ামী লীগ কখনই মানুষ হতে পারে না, ওদের সাথে মানবতা দেখায়ে লাভ নেই : ইলিয়াস

» ডাকসু নির্বাচন চায়নি ছাত্রদল, ইশতেহার দেয় কিভাবে : বিন ইয়ামিন মোল্লা

» মুক্তিযুদ্ধের সময় পালিয়ে গিয়েছিল আ. লীগ, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন: মঈন খান

» লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা: এলএমজি ৫ লাখ, শর্টগানে ৫০ হাজার

» টিসিবির সয়াবিন তেলসহ ব্যবসায়ী আটক

» রাতে শিশু ঘুমাতে চায় না, কী করবেন?

» ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২৫১১ মামলা

» ইউক্রেনকে আর কখনোই আপসে বাধ্য করা যাবে না: জেলেনস্কি

» রাহুল গান্ধীর গালে আকস্মিক চুম্বন, সমর্থকদের হাতে চড় খেলেন যুবক

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

হাঁটা আর দৌড়ানোর জুতা আলাদা, কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

ছবি সংগৃহীত

 

জুতা তো জুতাই, তাকে নিয়ে অত কথা বলার কী আছে। পায়ের নিচেই তার জীবন কাটে— এমনটাই ভাবনা বেশিরভাগ মানুষের। অথচ এই পাদুকা জোড়াই অনেকক্ষেত্রে ব্যক্তিত্ব তুলে ধরে। আবার সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জুতা। তার ওপরই দাঁড়িয়ে থাকে পুরো শরীরের ভিত।

 

পায়ের জন্য দাম দিয়ে ভালো জুতা কেনার প্ল্যান বেশিরভাগ মানুষেরই থাকে না। যেই জুতা পরে হাট-বাজারে যান, সেটি পরেই অফিসে। আবার একই জুতা পরে দুই পাক হেঁটেও আসেন। স্থান ও প্রয়োজন ভেদে কিন্তু জুতায় ভিন্নতা রয়েছে। যেই জুতা পরে আপনি পার্টিতে যাচ্ছেন তা পরে পাহাড় ট্রেকিং এ যেতে পারবেন না। আবার রোজকার হাঁটাচলার জুতা দিয়ে দৌড়ানো বা ব্যায়ামের কাজ সমীচীন নয়।

shoe2

হাঁটা বা দৌড়ানো কাছাকাছি কাজ হলেও জুতার ক্ষেত্রে কিছুটা তফাৎ রয়েছে। দেখতে একরকম হলেও ‘ওয়াকিং শু’ আর ‘রানিং শু’ কিন্তু এক নয়। খালি চোখে বোঝা না গেলে, পায়ে পরার পর পার্থক্য ঠিকই টের পাওয়া যায়।

দৌড়ানোর জুতা বা ‘রানিং শু’ পায়ে দিয়ে পার্কে এক চক্কর হাঁটা গেলেও হাঁটার জন্য তৈরি জুতা পরে দৌড়ানো যায় না। হাঁটা কিংবা দৌড়ানোর ক্ষেত্রে পদচালনা একইভাবে করা হয় না। দেহের ভরও একইভাবে পায়ের ওপর পড়ে না। তা কাজের ধরন এক রকম হলেও পায়ের পাতা কিংবা পেশির ওপর আলাদা রকম ভাবে চাপ ফেলে।

shoe3

তাই জুতা কেনার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি। দুই ধরনের জুতার মধ্যে পার্থক্য কী, চলুন জেনে নিই-

কুশনিং

‘ওয়াকিং’ কিংবা ‘রানিং’ জুতার মধ্যে ডিজাইন বা নকশাগত পার্থক্য খুব একটা না থাকলেও, গঠনগত পার্থক্য আছে। যেমন জুতার মধ্যে, অর্থাৎ পায়ের পাতা রাখার জায়গায় যে ‘কুশনিং’ থাকে, তা হাঁটা বা দৌড়নোর জুতার ক্ষেত্রে একেবারেই আলাদা হয়।

shoe4

দৌড়ানোর সময় পায়ের তলায়, বিশেষ করে গোড়ালি বা পায়ের পাতার সামনের দিকে আলাদা করে যে ‘সাপোর্ট’ বা ভর প্রয়োজন হয়, হাঁটার ক্ষেত্রে তা প্রয়োজন পড়ে না।

জুতার হিল

বাইরে থেকে এই দুই ধরনের জুতার হিলের উচ্চতা দেখলে আলাদা পার্থক্য বোঝা যায় না। কিন্তু দৌড়ানোর জন্য যে ধরনের জুতা পয়রা হয়, তাতে সাধারণত হিলের অংশটি বেশ উঁচু হয়। ওয়াকিং শু তে তুলনায় কম উঁচু হিল থাকে। যার ফলে হাঁটাচলা করতেও সুবিধা হয়।

shoe5

নমনীয়তা

পায়ের ক্ষতি রুখতে জুতার গঠন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই প্রয়োজনীয় বিষয় হলো তার নমনীয়তা। দৌড়ানোর জন্য যে ধরনের জুতা পাওয়া যায়, সেগুলো সাধারণত বেশি ‘ফ্লেক্সিবল’ হয়। হাঁটার জন্য যে ধরনের জুতো পাওয়া যায়, সেগুলো সেই তুলনায় কম নমনীয়।

 

হাঁটা আর দৌড়ানোর জুতা মিলিয়ে ফেলবেন না। দুটো কাজের জন্য ভিন্ন জুতা ব্যবহার করুন। এতে উপকার মিলবে দ্রুত। সুস্থ থাকবেন আপনি।  সূএ:ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com