ইসির প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট, নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণই বড়ো চ্যালেঞ্জ : ইইউ

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন এবং একইসঙ্গে জুলাই চার্টার সম্পর্কিত গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে ইইউ মনে করে, এমন এক প্রজন্মকে ভোটে অংশগ্রহণ করানো হবে নির্বাচনের সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ। ইসির এই চ্যালেঞ্জকে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে এবং আন্তর্জাতিক সুনাম পুনরুদ্ধারের এক বিশাল সুযোগ হিসেবে দেখছে ইইউ।

মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের কাছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

তিনি জানান, মক মহড়ার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পেয়েছি এবং ইসির উন্নত প্রস্তুতির স্তর দেখে মুগ্ধ হয়েছি। বিশেষ করে একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের লজিস্টিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ইসির উন্নত বিবেচনাকে আনরা স্বাগত জানাই।

ইইউ বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ‘অঙ্গীকার এবং পেশাদারিত্ব’ এবং ‘সুসংগঠিত নির্বাচন পরিচালনার সক্ষমতা’-কে স্বীকৃতি দেয়। ইইউ একটি বিশাল নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যা ২০২৬ সালের বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোর একটি পর্যবেক্ষণ করবে। এটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর ইইউর আস্থার নিদর্শন।

গণভোট ছাড়াও বাংলাদেশের নির্বাচনের সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মিলার বলেন, চ্যালেঞ্জ হবে যে, আপনাদের এমন একটি প্রজন্ম রয়েছে, যারা আগের নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা নিজেরাই সেই নির্বাচনগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিল, কারণ তারা জানত যে সেগুলো অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না, অথবা তারা ভয় পেয়েছিল যে ভোট দেওয়ার কাজটি সহিংসতার সঙ্গে হবে। সুতরাং, আপনাদের কাছে এমন এক প্রজন্ম এবং হয়ত আরও বেশিসংখ্যক ব্যক্তি রয়েছে যারা কখনও ভোট দেননি। এই পরিস্থিতিতে, নাগরিক ভোটার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সাধারণ ভোটারদের বোঝাতে হবে যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বলতে কী বোঝায় এবং গণভোটের তাৎপর্য কী।

তিনি জানান, আমরা এই সব ধরনের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট। নির্বাচন কমিশন দিনের সম্ভাব্য সব জটিলতা সম্পর্কে আগে থেকেই ভাবছে এবং তারা আমাদের কল্পনা করতে পারা সব প্রশমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, ইইউ ভোটদানের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে খুবই বুদ্ধিমানের কাজ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ট্রাকচাপায় পুলিশ সদস্য নিহত

» খালেদা জিয়াকে যে কারণে ‘ভিভিআইপি’ ঘোষণা করল সরকার

» খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় হাসপাতালে দায়িত্ব নিয়েছে এসএসএফ

» বাংলাদেশে কারো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» ইনুর বিরুদ্ধে ফের সাক্ষ্যগ্রহণ ৭ ডিসেম্বর

» দেশে এমন কোনো হৃদয় নেই যে খালেদা জিয়ার জন্য অশ্রু ঝরায়নি : আলাল

» খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা ও মর্যাদা বিবেচনায় ভিভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত : ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ

» তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে সরকার এখনো কিছু জানে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

» খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায়

» সবার দোয়ায় এ যাত্রায় হয়তো খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন: ডা. জাহিদ

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ইসির প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট, নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণই বড়ো চ্যালেঞ্জ : ইইউ

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন এবং একইসঙ্গে জুলাই চার্টার সম্পর্কিত গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে ইইউ মনে করে, এমন এক প্রজন্মকে ভোটে অংশগ্রহণ করানো হবে নির্বাচনের সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ। ইসির এই চ্যালেঞ্জকে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে এবং আন্তর্জাতিক সুনাম পুনরুদ্ধারের এক বিশাল সুযোগ হিসেবে দেখছে ইইউ।

মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের কাছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

তিনি জানান, মক মহড়ার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পেয়েছি এবং ইসির উন্নত প্রস্তুতির স্তর দেখে মুগ্ধ হয়েছি। বিশেষ করে একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের লজিস্টিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ইসির উন্নত বিবেচনাকে আনরা স্বাগত জানাই।

ইইউ বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ‘অঙ্গীকার এবং পেশাদারিত্ব’ এবং ‘সুসংগঠিত নির্বাচন পরিচালনার সক্ষমতা’-কে স্বীকৃতি দেয়। ইইউ একটি বিশাল নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যা ২০২৬ সালের বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোর একটি পর্যবেক্ষণ করবে। এটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর ইইউর আস্থার নিদর্শন।

গণভোট ছাড়াও বাংলাদেশের নির্বাচনের সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মিলার বলেন, চ্যালেঞ্জ হবে যে, আপনাদের এমন একটি প্রজন্ম রয়েছে, যারা আগের নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা নিজেরাই সেই নির্বাচনগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিল, কারণ তারা জানত যে সেগুলো অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না, অথবা তারা ভয় পেয়েছিল যে ভোট দেওয়ার কাজটি সহিংসতার সঙ্গে হবে। সুতরাং, আপনাদের কাছে এমন এক প্রজন্ম এবং হয়ত আরও বেশিসংখ্যক ব্যক্তি রয়েছে যারা কখনও ভোট দেননি। এই পরিস্থিতিতে, নাগরিক ভোটার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সাধারণ ভোটারদের বোঝাতে হবে যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বলতে কী বোঝায় এবং গণভোটের তাৎপর্য কী।

তিনি জানান, আমরা এই সব ধরনের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট। নির্বাচন কমিশন দিনের সম্ভাব্য সব জটিলতা সম্পর্কে আগে থেকেই ভাবছে এবং তারা আমাদের কল্পনা করতে পারা সব প্রশমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, ইইউ ভোটদানের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে খুবই বুদ্ধিমানের কাজ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com