ছবি সংগৃহীত
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেঘরের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ কয়েকটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে আগে আসবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে উন্নতি করা। তারপরে ভারতে দেখানো ব্যাটিং ব্যর্থতার ইতি ঘটানো। সঙ্গে রয়েছে ইতিহাস গড়ারও হাতছানি।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এখনো সাদা পোশাকে জয় তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাটিতে জয়খরা কাটানো যায় কি না, সেদিকেই চোখ টাইগার বাহিনীর। আগামী সোমবার মাঠে প্রথম টেস্ট গড়ানোর আগে দুই দলই নিজেদের ঝালিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এই যাত্রায় বাংলাদেশের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেরসিক বৃষ্টি। গতকাল স্বাগতিকদের প্রথম অনুশীলন ছিল নতুন কোচ ফিল সিমন্সের অধীনে। কিন্তু এই অনুশীলন মাটি করেছে বৃষ্টি। তবু চেষ্টা করেছেন তাসকিন আহমেদরা।
গতকাল মিরপুরে বাংলাদেশের অনুশীলন ছিল দুপুর ২টা থেকে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা অনুশীলন করেছে। সফরকারীরা নির্বিঘ্নে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার কাজটি সারলেও বাংলাদেশ পড়েছে বিপদে। যখনই ইনডোরের আউটারে মূল অনুশীলন শুরু হবে তখনই বৃষ্টি ঝরা শুরু হয়েছে। উপায়ন্তর না পেয়ে তাসকিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসনরা বৃষ্টির মধ্যেই চেষ্টা চালিয়েছেন।
মিরপুরের সবুজ ঘাসে দৌড়ে তারা নিজেদের মতো করে গা গরম করেছেন। অন্যদিকে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশের অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন ফিল সিমন্স। তাকে মাঠে দেখে বিসিবির ফটোগ্রাফার দ্রুত কিছু ছবি তুলে নিয়েছেন। সিমন্সের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। বাংলাদেশের কন্ডিশন সম্পর্কে তেমন বেশি জানেন না ফিল সিমন্স। প্রধান কোচ হিসেবে গতকালই অভিষেক হয়েছে। এর আগে ঢাকায় পা রেখে একবার টু মেরেছিলেন মিরপুরে। গতকাল হয়েছে তার আনুষ্ঠানিকতা। তবে বৃষ্টির কারণে শিষ্যদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে তেমন কার্যক্রম চালাতে পারেননি। এই টেস্টে টাইগারদের মধ্যে বিশেষ নজর রয়েছে মিরাজের ওপরে। ঘরের মাটিতে কার্যকর বোলার হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে। ২৬-এর নিচে গড়ে বল করেন মিরাজ। মিরপুরে সেটি আরো কম। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন তিনি।
বৃষ্টির বাধায় বসে ছিলেন না মুশফিকুর রহিম-লিটন দাসরা। লিটন ইনডোরেই চালিয়েছেন ব্যাটিং অনুশীলন। আর পরিশ্রমী মুশফিক তো সময় ধরে ধরে অনুশীলন করেন না। মূল দল মাঠে আসার আগেই তিনি ঝালিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। এর আগে নাজমুল হোসেন শান্তরা যেমনটি করেছিলেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো সফল অনুশীলন সেরেছেন প্রোটিয়ারা। কাগিসো রাবাদারা চেষ্টা করেছেন বেশি করে ইন সুইং করার। উপমহাদেশের কন্ডিশনে পেসাররা এই কৌশলকে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। মিরপুরে এই অস্ত্র ব্যবহারের আপ্রাণ চেষ্টা যে তারা চালাবেন, সেটি গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার অনুশীলনে পরিষ্কার হয়েছে। কেশভ মহারাজরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি।
মিরপুরে দুই দলের অনুশীলনের পাশাপাশি গতকাল নজর ছিল স্টেডিয়ামের বাইরেও। সাকিব আল হাসানের দেশে ফেরা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ দল চালিয়েছেন আন্দোলন। একদল সাকিবকে দেশে ফেরাতে মরিয়া, আরেক দল চাচ্ছেন কোনোভাবেই যেন তিনি দেশে না আসেন। তাতে খেলার মাঠের বাইরেও চলছে তুমুল লড়াই। শেষ পর্যন্ত এই লড়াই কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়-সেটিই এখন সময়ের অপেক্ষা। তবে মিরপুর টেস্টে যে সাকিবের খেলা হচ্ছে না, সেটি নিশ্চিত। সূএ: বার্তাবাজার ডটকম