শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : আজ ১ ডিসেম্বর। শুরু হলো বাঙালির গৌরবময় বিজয়ের মাস। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ঘটনা মহান মুক্তিযুদ্ধ।

৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমার পর ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শুরু হয় সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধ। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ মাসেই পূরণ হয় বাঙালি জাতির হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্নসাধ। বছর ঘুরে আবার এসেছে সেই বিজয়ের মাস।

এ মাসে বেশ কিছু ঘটনা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে দ্রুত ত্বরান্বিত করে। প্রাণ বাঁচাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বীর বাঙালির কাছে আত্মসমর্পণের পথ খুঁজতে থাকে। বাংলাদেশ দ্রুত মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যায়। একপর্যায়ে সেই রেসকোর্স ময়দানেই পাকিস্তানি বাহিনী নতি স্বীকারে বাধ্য হয়।

রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পথ বেয়ে আসে পরম কাঙিক্ষত বিজয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল একটি দিন। এদিন দিল্লিতে রাজ্যসভার অধিবেশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার জন্য ইয়াহিয়া খানের প্রতি আহ্বান জানান।

ইন্দিরা গান্ধী বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য অপসারণই সমস্যার শ্রেষ্ঠ সমাধান। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের জনসাধারণকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

ইতিহাসের এদিনে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ভেতরে গেরিলা আক্রমণ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে সেনাবাহিনী আরও ভয়াবহভাবে নিরীহ জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বুড়িগঙ্গা নদীর অপর পারে জিঞ্জিরায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে একদিনেই হত্যা করা হয় ৮৭ জনকে। বাঙালির জন্মভূমি শত্রুমুক্ত করার লড়াইকে আড়ালে রাখতে পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে বেতারে ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। কিন্তু সেদিন তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই বাঙালিকে বিজয় অর্জন থেকে পিছিয়ে দিতে পারেনি।

এবার বিজয়ের মাস এসেছে এক নতুন রূপে, যেখানে আছে গণতান্ত্রিক মুক্তি আর অভিযাত্রার স্বপ্ন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শেখ হাসিনা-রেহানা-টিউলিপ যেখানেই থাকুন বিচারে বাধা নেই: আদালত

» ‘অপপ্রচারকারী ভুঁইফোড় পেজের বিরুদ্ধে মামলা করব’: ভিপি সাদিক কায়েম

» শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহর ক্ষয়ক্ষতিতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

» বিএনপিতে যোগ দিয়ে যা বললেন রেজা কিবরিয়া

» বাড়ছে বৈষম্য ও দারিদ্র্য

» বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হবে ৬৪ দলের ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট

» গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ গড়তে পারবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

» সায়েন্সল্যাব অবরোধ ঢাকা কলেজ উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের

» বিজয়-সৈকতদের বাদ দেওয়া নিয়ে বিসিবির অবস্থান স্পষ্ট করলেন মার্শাল

» ‘মুশফিকুর রহিমকে দলে নেওয়া সত্যিই খুব ভালো সিদ্ধান্ত’

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : আজ ১ ডিসেম্বর। শুরু হলো বাঙালির গৌরবময় বিজয়ের মাস। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ঘটনা মহান মুক্তিযুদ্ধ।

৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমার পর ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শুরু হয় সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধ। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ মাসেই পূরণ হয় বাঙালি জাতির হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্নসাধ। বছর ঘুরে আবার এসেছে সেই বিজয়ের মাস।

এ মাসে বেশ কিছু ঘটনা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে দ্রুত ত্বরান্বিত করে। প্রাণ বাঁচাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বীর বাঙালির কাছে আত্মসমর্পণের পথ খুঁজতে থাকে। বাংলাদেশ দ্রুত মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যায়। একপর্যায়ে সেই রেসকোর্স ময়দানেই পাকিস্তানি বাহিনী নতি স্বীকারে বাধ্য হয়।

রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পথ বেয়ে আসে পরম কাঙিক্ষত বিজয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল একটি দিন। এদিন দিল্লিতে রাজ্যসভার অধিবেশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার জন্য ইয়াহিয়া খানের প্রতি আহ্বান জানান।

ইন্দিরা গান্ধী বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য অপসারণই সমস্যার শ্রেষ্ঠ সমাধান। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের জনসাধারণকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

ইতিহাসের এদিনে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ভেতরে গেরিলা আক্রমণ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে সেনাবাহিনী আরও ভয়াবহভাবে নিরীহ জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বুড়িগঙ্গা নদীর অপর পারে জিঞ্জিরায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে একদিনেই হত্যা করা হয় ৮৭ জনকে। বাঙালির জন্মভূমি শত্রুমুক্ত করার লড়াইকে আড়ালে রাখতে পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে বেতারে ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। কিন্তু সেদিন তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই বাঙালিকে বিজয় অর্জন থেকে পিছিয়ে দিতে পারেনি।

এবার বিজয়ের মাস এসেছে এক নতুন রূপে, যেখানে আছে গণতান্ত্রিক মুক্তি আর অভিযাত্রার স্বপ্ন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com