ফাইল ছবি
জঙ্গিবাদ দমনে পূর্বের ন্যায় ভবিষ্যতেও ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে রোল মডেল। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদবিরোধী কার্যক্রমে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হয় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ৩ হাজার ১৪ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে র্যাব।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার জঙ্গিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় যাতে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে না পরে সেজন্য র্যাব ফোর্সেস জামিনে মুক্তিপ্রাপ্তদের ওপর কঠোর নজরদারি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না গিয়ে জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত কেউ যদি কোনো অপরাধ/জঙ্গিবাদ কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে র্যাব।
রাষ্ট্রবিরোধী কিছু অপশক্তি দেশে উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে বলে অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা চালাচ্ছে।
র্যাবের মুখপাত্র আরও বলেন, উগ্রবাদে জড়িত দুস্কৃতকারী চক্রগুলো চিহ্নিত করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে র্যাব অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ শান্তি ও সম্প্রীতির দেশ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে দেশের সব মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে সব উৎসব, অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী অপশক্তিগুলোকে বিন্দুমাত্র ছাড় না দিয়ে সব ব্যাটালিয়নগুলোকে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে র্যাব ফোর্সেস জঙ্গিবাদ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, স্বাভাবিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টাকারী অপশক্তি বা গোষ্ঠীগুলোকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাবের প্রতিটি সদস্য বদ্ধপরিকর।