সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা বহুল আলোচিত তিন মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রায়ের আগেই আদালত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আদালতের প্রধান ফটকগুলোতে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। এজলাস এবং আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া, গণমাধ্যমকর্মী এবং সাধারণ জনতার উপস্থিতিও বেশি দেখা গেছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করবেন। তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ৪৭ জন আসামি। ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধভাবে সরকারি প্লট বরাদ্দ, জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুদক।
প্রথম মামলাটি করা হয় ১৪ জানুয়ারি, যেখানে শেখ হাসিনাসহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। তদন্ত শেষে চার্জশিটে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ জনে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুরবী গোলদার, খুরশীদ আলম, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, নায়েব আলী শরীফ, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, শহিদ উল্লাহ খন্দকার ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
একই দিনে শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে আসামি করে দ্বিতীয় মামলাটি করে দুদক। তদন্ত শেষে এ মামলায় ১৭ জনকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাইফুল ইসলাম সরকার, পুরবী গোলদার, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, শহিদ উল্লাহ খন্দকার, আনিছুর রহমান মিঞা, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ প্রমুখ।
তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে জাল রেকর্ডপত্র তৈরি, অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দ গ্রহণ, সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের সুযোগ তৈরি। এ মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে আছেন- কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন, হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
এ মামলায় ৪৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষ দুদক। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম বলেন, প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করছি।







