লিয়াকত হোসাইন লায়ন,জামালপুর প্রতিনিধি \ পোল্ট্রি শিল্পে লেয়ার মুরগির খাদ্যের দাম
অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি ও ডিমের দাম কমে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে খামারীরা। কম দামে
ডিম বিক্রির বাধ্যবাধকতায় টানা লোকসান ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে একের পর এক বন্ধ হ”েছ খামার, ঝুঁকছেন অন্য পেশায়।
জানাগেছে,জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ১শত ৫০টি খামার রয়েছে। অধিকাংশ খামারীরাই খাদ্যের দোকানে বাকী , ব্যাংক লোনের জ¦ালায় দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা, পরিশ্রম ও বিনিয়োগ সবই ঝুঁকির মুখে পরায় ব্যবসা বাদ দিতে বাধ্য হ”েছ। বর্তমানে ৫০ কেজি লেয়ার খাদ্যের দাম ২ হাজার ৭০০ টাকা। অন্যদিকে প্রতি পিস ডিম ৮ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করেও ১ থেকে ১.৫ টাকা লোকসান দিতে হ”েছ।
ডিমের বাজার ধসে পড়ায় অনেক খামারি একসঙ্গে তাদের রিজেক্ট (বাতিল) মুরগি বিক্রি করছেন।
এতে রিজেক্ট মুরগির দামও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। একটি এক হাজার লেয়ার
ক্ষমতাসম্পন্ন খামারে, ডিম উৎপাদন শুরু হওয়া পর্যন্ত, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে প্রায় ৮- ৯ লাখ টাকা ব্যয় হয় । কিš‘ উৎপাদন শেষে রিজেক্ট মুরগি বিক্রি করে খামারিরা মাত্র চার লাখ টাকা পা”েছন। অর্থাৎ অর্ধেকই লোকসানে হ”েছ।
কাছিমা গ্রামের সফল উদ্যোক্তা খামারী মমতা বেগম বলেন, এইভাবে লস দিয়ে আর ব্যবসা
চালানো সম্ভব হ”েছনা। রিজেক্ট মুরগি বিক্রি করে অন্য ব্যবসায় যাওয়ার চিন্তা করছি।
বোয়ালমারী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও জুনাইন সাইয়ারা পোল্ট্রি ফার্ম এর স্বত্বাধিকারী
আজিজুর রহমান বিএসসি জানান, ব্যাংক লোন নিয়ে ফার্ম করেছি। কিš‘ এখন এমন
লোকসান যে কিস্তি শোধ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
খামার ব্যবসায়ী ফিরোজ খান লোহানী বলেন, শীতকালীন সবজি বাজারে বেশি আমদানী হওয়ায় রমজান পর্যন্ত ডিমের দাম আরও কমতে পারে। কাজী ফার্মের ডিলার সোহেল মিয়া আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এভাবে খামারগুলো বন্ধ হতে থাকলে আগামী বছরের জুন মাস থেকে ডিমের দাম হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে। তখন দেশে ডিম সংকটও দেখা দিতে পারে।
ইসলামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল আলিম বলেন, ডিমের মূল্যহ্রাস ও
খামারিদের সংকট সম্পর্কে অধিদপ্তর অবগত আছে। সরকার খাদ্যের দাম কমাতে কাজ করছে। এতে খামারিদের লোকসান আংশিক হলেও কমবে।
¯’ানীয় খামারিরা বলেন, সরকার দ্রæত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন রা করলে ইসলামপুরে লেয়ার পোল্ট্রি শিল্প পুরোপুরি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।







