সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যায় জড়িত সন্দেহে নম্বরের ভুলে গ্রেফতার হওয়া মোটরসাইকেল মালিক আব্দুল হান্নানকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
রবিবার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসান শাহাদাত।
এর আগে, ১৭ ডিসেম্বর পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্দুল হান্নান প্রকৃত মোটরসাইকেল মালিক নন। নম্বরের ভুলে তাকে আটক করা হয়েছিল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাদিকে গুলি করার পর গত ১৩ ডিসেম্বর সন্দেহভাজন হিসেবে আব্দুল হান্নানকে আটক করে র্যাব-২। পরবর্তী সময়ে তাকে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে ১৪ ডিসেম্বর তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় আটক করে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড চলাকালে তাকে শো-রুম মালিকের মুখোমুখি করা হয়।
এছাড়া, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) তার নামে রেজিস্ট্রেশন করা দুটি গাড়ির তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি সুজুকি জিক্সার ও আরেকটি ইয়ামা গাড়ি রয়েছে। তবে হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছে হোন্ডা ব্র্যান্ডের হর্নেট মডেলের গাড়ি। হান্নানের মোটরসাইকেলের নম্বর ঢাকা মেট্রো-ল ৫৪-৬৩৭৫, যা একটি সুজুকি ব্র্যান্ডের জিক্সার মোটরসাইকেল।
হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বরের সঙ্গে একটি সংখ্যার ভুল রয়েছে। যে নম্বরের শেষে ৬ থাকার কথা, সেখানে ৫ শনাক্ত করা হয়েছে। পরে রিমান্ড শেষে গত ১৭ ডিসেম্বর হান্নানকে কারাগারে পাঠানো হয়।
একইসঙ্গে পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্দুল হান্নান প্রকৃত মোটরসাইকেল মালিক নন। নম্বরের ভুলে তাকে আটক করা হয়েছিল।
গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। মোটরসাইকেলে করে আসা দুই আততায়ীর একজন চলন্ত রিকশায় থাকা হাদির মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সর্বশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।








