সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবস্থা গত এক মাসের মধ্যে এখন বেশ স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসনের সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আপনারা জানেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আজকে এক মাস প্রায় হয়ে যাচ্ছে, গত ২৩ নভেম্বর আজ ১৯ ডিসেম্বর যাবৎ এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এবং আলহামদুলিল্লাহ, কালকে আপনাদেরকে আমি বলেছিলাম আপনাদের প্রশ্নের উত্তরে যে উনার শারীরিক অবস্থা আপনাদের দোয়ায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমতে উনার শারীরিক অবস্থা গত এক মাসের মধ্যে এখন বেশ স্থিতিশীল আছে। এবং আজকেও উনার একটা ছোট প্রসিডিউর করা হয়েছে ওটিতে নিয়ে এবং সেটিও উনি অত্যন্ত সফলভাবে গ্রহণ করতে পেরেছেন, অর্থাৎ প্রসিডিউরটা সুন্দরভাবে করা হয়েছে। এবং উনি এখন উনার সিসিইউতে যে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ওখানে উনি আইসিইউ এর যে ব্যবস্থা, সে ব্যবস্থা সম্বলিত কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহধর্মিণী ডাক্তার জুবাইদা রহমানসহ পরিবারের সকলের পক্ষ থেকে এবং দলের পক্ষ থেকে আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে আমরা দোয়া চাই যেন একইভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের অধীনে যে চিকিৎসা, দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত যে মেডিকেল বোর্ড, সেই মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসা যেভাবে উনি নিতে পারছেন সেটি যেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উনাকে অব্যাহত রাখার তৌফিক দান করেন। এবং এখনকার যে অবস্থা আছে এ অবস্থা যাতে আরও সুস্থতার দিকে উনাকে নিয়ে যেতে পারে সেই দোয়া চাচ্ছি।
সামগ্রিকভাবে উনার শারীরিক অবস্থা কি উন্নতির দিকে বলা যায়? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, আমি তো আপনাদের বলেছি, আমি দুইটি শব্দ উচ্চারণ করেছি একটি বলেছি আলহামদুলিল্লাহ। দ্বিতীয়টি বলেছি, গতকালকেও আপনাদেরকে বলেছি সেই তুলনায় উনি আজকে উনার শরীরের ওপর একটা প্রসিডিউর করা হয়েছে সেটি উনি অত্যন্ত সফলভাবে গ্রহণ করতে পেরেছেন এবং উনি এখন এই মুহূর্তে উনার অবস্থা স্থিতিশীল আছে। অর্থাৎ উনার অবস্থা অবনতি ঘটে নাই।








