সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : সবশেষ (২০২৪ সালের) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা পুনর্বিবেচনা করা এবং তাদের অযোগ্য ঘোষণা করা সাংবিধানিক ও নৈতিকভাবে অপরিহার্য। তারা কোনোভাবেই যেন এবার নির্বাচনে অংশ না নিতে পারেন। ডামি নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা যেন এবার অংশ না নিতে পারেন সেজন্য ইসিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রিফাত রশীদ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন ও তত্ত্বাবধান করা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন হয়নি। এ জন্য ডামি নির্বাচনের কেউ যাতে প্রার্থী না হতে পারে সেজন্য লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই নোটিশের মাধ্যমে সাতদিনের মধ্যে কিছু বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীর ভূমিকা তদন্ত করা হোক। যেসব প্রার্থী অবৈধ ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বৈধতা দিতে অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এ বিষয়ে একটি স্পষ্ট নীতিগত ও আইনগত সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যকর ও আইনসম্মত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে আমরা বাধ্য হয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের আইন অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করবো।
তিনি আরও বলেন, দেশে আওয়ামী লীগ নেই বলে যারা এবার আওয়ামী লীগের ভোট পুঁজি করে জয়ী হতে চায়, তাদেরও বিতাড়িত করা হবে।








