সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বয়সের পার্থক্য পাঁচ বছরের। তবে, প্রেমে পড়ার সময় সেই তফাতটুকু নিয়ে বেশি ভাবনাচিন্তা করেননি অভিনেত্রী। বরং, নায়কের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছিলেন তিনি। অভিনেতা বিশেষ আমল না দিলেও কারিনা কাপুর খানের মনজুড়ে তখন শুধুমাত্র তিনিই ছিলেন। এমনকি, অক্ষয় খান্না সম্পর্কে প্রকাশ্যে সে কথা স্বীকার করতেও পিছপা হননি কারিনা কাপুর খান।
পতৌদি রাজপরিবারের পুত্রবধূ কারিনা। সাইফ আলি খান এবং কারিনা বর্তমানে বলিউডের ‘পাওয়ার কাপল’দের মধ্যে অন্যতম। তবে, কারিনার মনে নাকি এক সময় জায়গা করে ফেলেছিলেন অক্ষয়। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী নিজেই।
১৯৯৭ সালে ‘হিমালয়পুত্র’ নামের হিন্দি ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন অক্ষয় খান্না। এই ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন অক্ষয়ের বাবা তথা বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা বিনোদ খান্না। বড়পর্দায় অক্ষয়কে প্রথমবার দেখেই নাকি মুগ্ধ হয়ে পড়েছিলেন কারিনা।
‘হিমালয়পুত্র’ যখন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়, তখন কারিনা স্কুলে পড়তেন। কারিনা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘অক্ষয় খান্নাকে দেখে তখন সব মেয়েরাই পাগল হয়ে গিয়েছিল। আমিও সেই তালিকায় ছিলাম। দারুণ লাগত অক্ষয় খান্নাকে।”
অক্ষয়ের প্রেমে কারিনা এমন হাবুডুবু খাচ্ছিলেন যে, শুধুমাত্র অভিনেতাকে দেখার জন্য ‘হিমালয়পুত্র’ ছবিটি ২০ বার দেখে ফেলেছিলেন তিনি। যদিও বক্সঅফিসে সিনেমাটি একেবারেই ব্যবসা করতে পারেনি।
‘হিমালয়পুত্র’ মুক্তি পাওয়ার একই বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘বর্ডার’ ছবিটি। সেই ছবিতে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়ে গিয়েছিলেন অক্ষয় খান্না।
অন্যদিকে অক্ষয়ের বলিউডে পদার্পণের তিন বছর পর হিন্দি চলচ্চিত্রজগতে পা রেখেছিলেন কারিনা। ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবির হাত ধরে বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন নায়িকা। অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন কারিনা।
কারিনার দাবি, তিনি যখন স্কুলে পড়তেন তখন অনেক মেয়ের ‘স্বপ্নের পুরুষ’ ছিলেন অক্ষয় খান্না। কারিনাও সেভাবেই দেখতেন অক্ষয় খান্নাকে। বলিপাড়ায় পা রাখার চার বছরের মধ্যেই অক্ষয় খান্নার সঙ্গে বড়পর্দায় রোম্যান্স করার সুযোগ পেয়েছিলেন কারিনা।
২০০৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘হালচাল’ নামে রোম্যান্টিক কমেডি ঘরানার একটি ছবি। ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মালয়ালাম ভাষার ‘গডফাদার’ ছবির রিমেক ছিল সেটি। এই ছবিতেই কারিনা এবং অক্ষয় খান্নাকে প্রথম এবং শেষবারের মতো জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছিল।
‘হালচাল’ মুক্তি পাওয়ার দু’বছর পর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘৩৬ চায়না টাউন’। এই ছবিতে শাহিদ কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন কারিনা। অক্ষয় খান্না ছিলেন তার সহ-অভিনেতা।
২০০৯ সালে জোয়া আখতারের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘লাক বাই চান্স’। এই ছবিতে কারিনা এবং অক্ষয় খান্না দু’জনেই অভিনয় করেছিলেন। তবে, দুই তারকাকেই দেখা গিয়েছিল ক্যামিয়ো চরিত্রে।
‘হালচাল’ মুক্তির সময় এক সাক্ষাৎকারে কারিনা বলেছিলেন, ‘‘অক্ষয় খান্না এত ভাল অভিনেতা যে, তিনি হলিউডে যাওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন। দুর্দান্ত পারফর্ম করেন তিনি। মানুষ হিসেবেও ভীষণ ভাল।”
কারিনা প্রকাশ্যে অক্ষয়ের প্রেমে পড়ার কথা জানালেও তা নিয়ে কখনও কোনও মন্তব্য করেননি অভিনেতা। বরং কাজ এবং আচরণের দিক দিয়ে কারিনার সঙ্গে নিজের সাদৃশ্য রয়েছে, সে কথা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন অভিনেতা।
কারিনা প্রসঙ্গে অক্ষয় বলেছিলেন, “কারিনার মন খুব স্বচ্ছ। আমার মতোই কোনও রকম ভণ্ডামি পছন্দ করে না। তবে, আমার চেয়ে ও অনেক স্পষ্টবাদী। মুখের উপর স্পষ্ট করে কথা বলতে পারে।”
চলতি মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘ধুরন্ধর’। এই ছবিতে অক্ষয় খান্নার অভিনয় দর্শকের কাছে বহুল প্রশংসা কুড়িয়েছে। অন্যদিকে, ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সিংঘাম এগেইন’-এর পর কারিনাকে আর বড়পর্দায় দেখা যায়নি।
গত মাসে নেটফ্লিক্সের পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল ‘ডাইনিং উইথ কাপুরস’ নামের একটি তথ্যচিত্র। প্রয়াত অভিনেতা রাজ কাপুরের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কাপুর পরিবারের সদস্যরা খাওয়া-দাওয়ার জন্য এক ছাদের নিচে উপস্থিত হন। তার উপর ভিত্তি করেই তথ্যচিত্রটি বানানো হয়। সেখানেই শেষ দেখা গেছে কারিনাকে। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া







