‘দুর্ভাগ্য ১০০ বছরেও আরেকজন বেগম রোকেয়া সৃষ্টি করতে পারিনি’

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  গত ১০০ বছরে আরেকজন বেগম রোকেয়া সৃষ্টি না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ১০০ বছরে কতটা অগ্রসর হয়েছি? রোকেয়া সাংঘাতিক রকমের স্বপ্ন দেখেছেন, ওই আমলে, ওই পরিসরে। আজকে মনে হয় সুন্দর কথা বলেছেন, সুন্দর কথা না, বিপ্লবী কথা।

তিনি বলেন, আমরা ১০০ বছর পরেও আরেকজন রোকেয়া সৃষ্টি করতে পারিনি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। তিনি যেসব দিক-নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, যেসব স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন, সেই স্বপ্নকে আমরা আমলে আনতে পারিনি। কথা বলেছি, অগ্রসর হতে পারিনি।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকে তার জন্ম উপলক্ষে যে আয়োজন, সেটা শুধু তাকে স্মরণ করার জন্য না; আমাদের ব্যর্থতাগুলো খুঁজে বের করার জন্য। কেন আমরা ব্যর্থ হলাম? কেন এই ১০০ বছরেও আরও বেগম রোকেয়া এলো না আমাদের মাঝখানে? যে আমাদের পথ দেখাতো, এগিয়ে নিয়ে যেতো, ধাক্কা দিতো, মনে করিয়ে দিতো কোন পথে আমাদের যাওয়া দরকার। ১০০ বছর পরে কী হলো? কত অগ্রসর হলাম?

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোকেয়া স্বপ্ন দেখেছে, সাংঘাতিক রকমের স্বপ্ন; এরকম স্বপ্ন মানুষ দেখতে পারে সে আমলে—যে পরিসরে, সেটা বিশ্বাস করা যায় না। আজকে মনে হয় যে—হ্যাঁ, এটা তো সুন্দর কথা বলছে। সুন্দর কথা না; বিপ্লবী কথা। সমস্ত সমাজকে ঝাঁকুনি দিয়ে কথা, কিন্তু সে ঝাঁকুনি বহন করে নিয়ে যাওয়ার লোক আর আসলো না। এটি হলো দুর্ভাগ্য।

নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার পথে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেগম রোকেয়া চাকরি করার কথা বলেননি। আজকে আমরা বলছি—উদ্যোক্তা হতে হবে, এই হতে হবে; সে বহু কাল আগে এটা বলে চলে গেছেন। সেখান থেকে আমরা শিখতে পারছি না কেন? উৎসব করছি, সব করছি। কিন্তু শিখতে পারছি না।

বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালের একই তারিখে কলকাতায় তিনি মারা যান।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা নারীর শিক্ষা ও অধিকার, মানবাধিকার এবং নারী জাগরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চার বিশিষ্ট নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দেন। পদকপ্রাপ্তরা হলেন- নারীশিক্ষায় (গবেষণা) রুভানা রাকিব, নারী অধিকারে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার ক্যাটাগরিতে নাবিলা ইদ্রিস এবং নারী জাগরণে (ক্রীড়া) ঋতুপর্ণা চাকমা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ঢাকা-আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের আকস্মিক উত্তেজনায় সংঘর্ষ: ডিসি মাসুদ

» ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা ১১ ডিসেম্বর

» রাজশাহীতে পৃথক অভিযানে ২৯ জনকে গ্রেফতার

» দলীয় ইশতেহার তৈরিতে অনলাইনে জনগণের মতামত নেবে জামায়াত

» জনগণ কোনো শক্তিকে নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে দেবে না: নজরুল ইসলাম খান

» জনগণ দায়িত্ব দিলে বিএনপি আবারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়বে : তারেক রহমান

» দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীকে গুলি

» গাজীপুরে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ

» দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার

» চট্টলা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল, যাত্রায় বিলম্ব ২ ঘণ্টা

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

‘দুর্ভাগ্য ১০০ বছরেও আরেকজন বেগম রোকেয়া সৃষ্টি করতে পারিনি’

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  গত ১০০ বছরে আরেকজন বেগম রোকেয়া সৃষ্টি না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ১০০ বছরে কতটা অগ্রসর হয়েছি? রোকেয়া সাংঘাতিক রকমের স্বপ্ন দেখেছেন, ওই আমলে, ওই পরিসরে। আজকে মনে হয় সুন্দর কথা বলেছেন, সুন্দর কথা না, বিপ্লবী কথা।

তিনি বলেন, আমরা ১০০ বছর পরেও আরেকজন রোকেয়া সৃষ্টি করতে পারিনি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। তিনি যেসব দিক-নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, যেসব স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন, সেই স্বপ্নকে আমরা আমলে আনতে পারিনি। কথা বলেছি, অগ্রসর হতে পারিনি।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকে তার জন্ম উপলক্ষে যে আয়োজন, সেটা শুধু তাকে স্মরণ করার জন্য না; আমাদের ব্যর্থতাগুলো খুঁজে বের করার জন্য। কেন আমরা ব্যর্থ হলাম? কেন এই ১০০ বছরেও আরও বেগম রোকেয়া এলো না আমাদের মাঝখানে? যে আমাদের পথ দেখাতো, এগিয়ে নিয়ে যেতো, ধাক্কা দিতো, মনে করিয়ে দিতো কোন পথে আমাদের যাওয়া দরকার। ১০০ বছর পরে কী হলো? কত অগ্রসর হলাম?

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোকেয়া স্বপ্ন দেখেছে, সাংঘাতিক রকমের স্বপ্ন; এরকম স্বপ্ন মানুষ দেখতে পারে সে আমলে—যে পরিসরে, সেটা বিশ্বাস করা যায় না। আজকে মনে হয় যে—হ্যাঁ, এটা তো সুন্দর কথা বলছে। সুন্দর কথা না; বিপ্লবী কথা। সমস্ত সমাজকে ঝাঁকুনি দিয়ে কথা, কিন্তু সে ঝাঁকুনি বহন করে নিয়ে যাওয়ার লোক আর আসলো না। এটি হলো দুর্ভাগ্য।

নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার পথে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেগম রোকেয়া চাকরি করার কথা বলেননি। আজকে আমরা বলছি—উদ্যোক্তা হতে হবে, এই হতে হবে; সে বহু কাল আগে এটা বলে চলে গেছেন। সেখান থেকে আমরা শিখতে পারছি না কেন? উৎসব করছি, সব করছি। কিন্তু শিখতে পারছি না।

বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালের একই তারিখে কলকাতায় তিনি মারা যান।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা নারীর শিক্ষা ও অধিকার, মানবাধিকার এবং নারী জাগরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চার বিশিষ্ট নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দেন। পদকপ্রাপ্তরা হলেন- নারীশিক্ষায় (গবেষণা) রুভানা রাকিব, নারী অধিকারে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার ক্যাটাগরিতে নাবিলা ইদ্রিস এবং নারী জাগরণে (ক্রীড়া) ঋতুপর্ণা চাকমা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com