সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গোটা বিশ্বই চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ বলে আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক।
সংস্থাটির নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ তীব্র তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে পড়বে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ মারাত্মক বন্যার হুমকির মুখে রয়েছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
‘ফ্রম রিস্ক টু রেজিলিয়েন্স: হেলপিং পিপল অ্যান্ড ফার্মস অ্যাডাপ্ট ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন কেস স্টাডি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ঘনবসতি, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশ্বে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের অন্যতম একটি দক্ষিণ এশিয়া।
গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী দশকে এ অঞ্চল বারবার আরও বিরূপ আবহাওয়ার মুখোমুখি হবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৮৯ শতাংশ চরম তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে পড়বে, আর ৪৬২ মিলিয়ন মানুষ গুরুতর বন্যার কবলে পড়তে পারে।
এ অবস্থায় ঝুঁকি মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছে সংস্থাটি। ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোর জন্য সহায়তা কর্মসূচি ও অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর নীতিমালা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, উপকূলের মানুষ ও নদীবিধৌত এলাকায় বসবাসকারীরা ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা পাচ্ছে। তবে বন্যা বা অন্যান্য দুর্যোগের সতর্কবার্তা এখনো অর্ধেকেরও বেশি পরিবারের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
হালনাগাদ তথ্য ব্যবহার করে লক্ষ্যভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে। দুর্যোগের সময় দ্রুত সহায়তা পৌঁছে দেওয়া গেলে দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করা সম্ভব।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, অনেক দেশের রাজস্ব আহরণে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যে কারণে শুধু সরকারি উদ্যোগই এ প্রতিঘাত মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়। সমন্বিত নীতি-সহায়তা নিয়ে বেসরকারি খাতের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি







