[ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৫] দেশের বিভিন্ন ¯’ানে গতকাল অনুভূত হয় ভয়াবহ ভূমিকম্প। তীব্র ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ। আপনজন নিরাপদে আছেন কি-না, তা
খোঁজ নিতে শুরু করেন সবাই। আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তার মুহূর্তে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে
গ্রাহকদের পাশে দাঁড়ায় বাংলালিংক। প্রয়োজনের সময়ে বাংলালিংক গ্রাহকেরা যেন নিজেদের
কাছের মানুষ ও পরিবারের সদস্যদের সাথে নির্বিঘ্ধেসঢ়;ন যোগাযোগ করতে পারেন, এজন্য
বিনামূল্যে সকল অপারেটরে কল করার সুবিধা চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। সমাজের প্রতি নিজেদের
প্রতিশ্রæতির প্রতিফলনে সময়োপযোগী এ উদ্যোগ গ্রহণ করে বাংলালিংক।
নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে ফ্রি কলিং সুবিধার ঘোষণা দেয় বাংলালিংক;
পাশাপাশি, এসএমএস -এর মাধ্যমেও গ্রাহকদের এ ব্যাপারে জানিয়ে দেয়া হয়, যেন তারা
তাৎক্ষণিকভাবে কাছের মানুষদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এ ফ্রি কলিং সুবিধার মাধ্মে
গ্রাহকেরা বিভিন্ন অপারেটরে ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মিনিট আউটগোয়িং কল করেন।
মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে জরুরি ও মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে বাংলালিংকের এ উদ্যোগ
গ্রাহক ও অংশীজনদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া লাভ করে।
প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দৃঢ় প্রতিশ্রæতিবদ্ধ বাংলালিংক। এর আগে, আকস্মিক
বন্যার সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা দেয় বাংলালিংক;
একইভাবে, স¤প্রতি ঘটে যাওয়া তাপপ্রবাহের সময়ও খাওয়ার স্যালাইন ও পানির বোতল বিতরণ করে প্রতিষ্ঠানটি।
মানুষ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি
অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “দেশজুড়ে সবাই আতঙ্কে আর অনিশ্চয়তার মধ্যে
ছিলেন। এ সময় আমাদের মূল অগ্রাধিকার ছিল মানুষ ও সমাজের পাশে দাঁড়ানো। ভূমিকম্পের
পরপরই আমাদের ব্যব¯’াপনা কর্তৃপক্ষ ও ক্রাইসিস টিম নেটওয়ার্ক পরি¯ি’তি পর্যালোচনা করে।
এ সময় আমরা আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি কীভাবে গ্রাহকদের পাশে
দাঁড়ানো যায়, এ নিয়ে ভাবনা শুরু করি। মানুষ তখন পরিবার-পরিজনদের খোঁজ পাওয়ার জন্য মরিয়া
হয়ে উঠেছিলেন। এ সময়ই আমরা বিনামূল্যে কল করার মতো কার্যকর ও অর্থবহ সুবিধা নিয়ে
তাদের পাশে দাঁড়াই। দেশজুড়ে মানুষ আমাদের এ উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের প্রিয়জনদের সাথে
যোগাযোগ করতে পেরেছেন। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের উদ্দেশ্য হ”েছ ঠিক যখনই
গ্রাহকদের দরকার হবে, ঠিক তখনই তাদের পাশে দাঁড়ানো।”
গ্রাহক-কেন্দ্রিক লক্ষ্যকে সর্বো”চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে বাংলালিংক। এ বিষয়ে
প্রতিষ্ঠানটির চিফ মার্কেটিং অফিসার কাজী মাহবুব হাসান বলেন, “আমরা শুধু নেটওয়ার্ক
ব্যব¯’া নিয়েই কাজ করি না, আমাদের মূল দায়িত্ব ও লক্ষ্য হ”েছ গ্রাহকদের সেবা দেয়া। আমাদের যেকোন পণ্য ও যেকোন সেবা চালু করাসহ প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ শুরু হয় একটি সহজ
প্রশ্ন দিয়ে: এ মুহূর্তে আমাদের গ্রাহকদের কী প্রয়োজন? আমরা এমন সুবিধা নিয়ে কাজ
করাকে অগ্রাধিকার দেই, যার মাধ্যমে গ্রাহকেরা সত্যিকার অর্থেই সম্মানিত বোধ করবেন
এবং মনে করবেন বাংলালিংক তাদের সর্বো”চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করে। আমরা শুধুমাত্র
নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতেই ভূমিকা রাখছি না; আমাদের প্রচেষ্টা ডিও১৪৪০ -এর মাধ্যমে
গ্রাহকদের জন্য এমন ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা, যেন দিনের প্রতিটি মিনিটে,
প্রতিটি মুহূর্তে গ্রাহকদের পাশে থাকা যায়।
প্রয়োজনের সময়ে গ্রাহকদের পাশে থাকাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলালিংক সহমর্মিতা ও আন্তরিকতা নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মানুষ ও সমাজের জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাবে, যা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক মূলমন্ত্র ‘আপনার জন্যেই আমরা’, এ লক্ষ্যেরই প্রতিফলন।”
এ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদানের বাইরেও প্রয়োজনের সময়সহ মানুষের
পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে নিজেদের লক্ষ্যকেই পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলালিংক।







